বাণিজ্যিক ব্যাংকের বুথ, বড় বড় শপিং মলসহ, পাড়া-মহল্লায় রাতের দায়িত্বে থাকা বেশিরভাগ নিরাপত্তাকর্মীরই নেই উপযুক্ত প্রশিক্ষণ। তাদের হাতে অস্ত্র বলতে থাকে বাঁশ বা কাঠের লাঠি। ফলে দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরাই থাকেন বড় ঝুঁকিতে। তবে নীতিমালা মেনে নৈশ প্রহরীদেরও অস্ত্র বহনের সুযোগ আছে, বলছে পুলিশ।
রাজধানীর ধানমন্ডিতে একটি বাণিজ্যক ব্যাংকের বুথের নিরাপত্তার দায়িত্বে আছেন পঞ্চাশোর্ধ মো. রফিকুল ইসলাম। রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসেন ভাগ্য পরিবর্তনে। নানা প্রতিষ্ঠানে এই কাজটি করছেন তিন দশক ধরে। জানান, হাতে আশ্নেয়াস্ত্র না থাকায় নিরাপত্তাহীনতার ঝুকি পদে পদে।
রফিকুলের মতো, নৈশ প্রহরীর কাজ করেন- বরিশালের শাহ আলম, নোয়াখালীর বিল্লাল, পঞ্চগড়ের পলাশ চন্দ্র ও কিশোরগঞ্জের এমদাদ। পাঁচ থেকে সাত দিনের নামমাত্র প্রশিক্ষণ নিয়েই নেমে পড়েন নিরাপত্তার দায়িত্বে।
এসএসএসএলের ফিল্ড সুপার ভাইজার মো. আমিরুল ইসলাম বলেন, প্রশিক্ষণ বলতে যা দেওয়া হয় তাও আবার লাঠিসোটার। আগ্নেয়াস্ত্রের প্রশিক্ষণ কিংবা ব্যবহারের সুযোগ কোনোটাই নেই।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-কমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, বেসরকারি নিরাপত্তাকর্মীদের অস্ত্রবহনের সুযোগ আছে নীতিমালায়।
রাজধানীতে নিরাপত্তাকর্মীকে হতাহত করে টাকা লুটের একাধিক ঘটনা ঘটেছে ইতোমধ্যে।