মোঃ শরিফুল ইসলাম, বিশেষ প্রতিনিধি

রাজশাহী জেলাধীন তানোর উপজেলার ব্যুরো ধানের প্রতিটি মাঠে বোরো ধান কাটা ও মাড়াই শুরু করেছেন কৃষক গন। বর্তমানে আকাশের আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধান ও খড় ভালো ভাবে শুকিয়ে বাড়িতে তুলতে পারছেন বোরো চাষিরা। আসা করা যাচ্ছে সপ্তাহ কয়েক দিনের মধ্যে সব বোরো ধান কাটা ও মাড়াই করে সুষ্ঠু ভাবে ঘরে তুলতে পারবেন কৃষকরা। প্রতি বছরের ন্যায় এ বছর বোরো ধানের বাম্পার ফলন পাচ্ছেন কৃষকেরা। উপজেলার বিভিন্ন বোরো ধানের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,প্রায় বোরো জমির ধান পেকে সোনালী রঙে শোভা ছড়িয়ে দুলছে পুরো মাঠে।

অন্যদিকে আলু উত্তোলনের জমিতে লাগানো বোরো ধান সুবজ হয়ে বেড়ে উঠছে। বেশকিছু কৃষক জানান, এখনো বহিরাগত শ্রমিকরা না আসায় এলাকার শ্রমিক দিয়ে ধান কাটতে চরম হিমশিস হতে হচ্ছে কৃষকদের। বহিরাগত শ্রমিকরা না আসায় স্থানীয় শ্রমিকরা নিজেদের ইচ্ছে মতো শ্রমের মূল্য বাড়িয়ে কেউ পাইট হিসেবে কেউ জমি ঠিকে নিয়ে ধান কাটা ও মাড়াইয়ের কাজ করছেন । তবে আসা করা যাচ্ছে দু'এক দিনের মধ্যে বহিরাগত শ্রমিকরা চলে আসবে। এবছর বোরো ধানের যে পরিমাণ ফলন পাচ্ছেন কৃষকরা তা দু'পাঁচ বছরেও এমন ফলন পাননি। এবছর বোরো জমিতে প্রতি বিঘায় সর্বনিম্ন ৩০থেকে ৩৫ মন করে ফলন হচ্ছে। বাজারে দামও ভালো থাকায় ব্যাপক খুশি হলেও সামনে ধানের দাম ও আবহাওয়া নিয়ে অনেকটাই সংকিত রয়েছেন কৃষক মহল।

তানোর শিবনদী(বিলকুমারী)বিলের একেবারে নিচে থেকে মাথায় ও বাঁশের ভারে করে অনেক কষ্ট করে ধান নিয়ে এসে মাড়াই করছেন শ্রমিকরা। তারা জানান বিঘা প্রতি ৪ থেকে ৫ মন মুজরীতে ধান কাটা হচ্ছে। যে সব জমি একেবারেই নিচে সেগুলো থেকে ধান বহনে প্রচুর কষ্ট হয়। ওই সব জমিতে বিঘায় ৫ মন করে নেওয়া হয়। আর রাস্তার ধারের জমি সেগুলোতে ৪ মন করে নেওয়া হয়।

ধানের বাজার দাম জানা যায় যে, পাকি ১১শ টাকা মন ধান বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের দাম আরো বাড়বে। আমাদের উপজেলায় কাচি পাকি দুই ধরনের হিসাব হয়। ২৮ কেজিতে কাচি ১ মন, বাজার মুল্য ৭০০ টাকা, আর ৩৭ কেজিতে পাকি ১ মন বাজার মুল্য ১১০০ টাকা। কৃষক সমাজ আশা করেন সামনে মহান আল্লাহ যেন আবহাওয়া ভালো রাখেন ও ধানের দাম ভালো থাকে।