আরিফ শেখ, পূবাইল প্রতিনিধি:
২১ জুন বুধবার সকালে পূবাইলের ইছালী তেলিনগর গ্রামে তার নিজ বাস ভবনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন। মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, দীর্ঘবছর যাবত আমি আমার পৈতৃক সম্পত্তি ভোগদখল করে আসছিলাম।
কিন্তু গত কয়েক বছর যাবত আমার প্রতিবেশী মিজানুর রহমান আমার পৈতৃক সম্পত্তির কিছু অংশ দখলের চেষ্টা করে আসছিলেন। পরে আমি কোর্টে মামলার মাধ্যমে মিজানুর রহমানের দখলে থাকা আমার পৈত্রিক সম্পত্তির রায় আমার পক্ষে পাই। কোর্টের রায় আমার পক্ষে আসার পর থেকেই মিজানুর রহমানও তার পরিবার আমাদের সাথে বিভিন্ন ধরনের জামেলায় লিপ্ত হয়ে আমাদের বিপদগ্রস্ত ও ক্ষতিসাধন করার চেষ্টা করে আসছিলো। এই পূর্বশত্রুতার জের ধরেই গত ১৫ জুন আমাদের গ্রামে একটি মারামারি ঘটনায় আমিসহ আমার পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধে মামলা করেন মিজানুর রহমানের ছেলে পারভেজ।
সেই মামলার সূত্র'ধরে গত ১৯ জুন রাত ৩ টায় পূবাইল থানা পুলিশের এস আই সাইফুল ইসলাম আমাকে ঘর থেকে বের করে বেধর মারধর করেন। এতে আমি গুরুতর যখম হই পরে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের থানায় নিয়ে কোর্টে প্রেরণ করেন। এ বিষয়ে মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহমেদ বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে মামলা হয়েছে সেটি একটি মিথ্যা ও সাজানো মামলা আমার পৈতৃক সম্পত্তি অন্যয়ভাবে দখলের জন্যই এই মিথ্যা মামলা দেওয়া হয়েছে। মামলায় যে মারামারির ঘটনা উল্লেখ্য করা হয়েছে আমি এই বিষয়ে কিছুই জানিনা।
এসময় মুক্তিযোদ্ধা ফরিদ আহমেদ আরও বলেন, যিনি এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ওনিও আমাকে গ্রেফতারের রাতে এসেছিলেন তবে তিনি আমার সাথে কোন খারাপ আচরন করেননি। কিন্তু এস আই সাইফুল ইসলাম আমার বিরুদ্ধে করা মামলার বাদি নয়। তার পরেও ওনি আমাকে অন্যায়ভাবে বেধর মেরেছে এবং আমার পাঞ্জাবির কলার ধরে আমার মুক্তিযোদ্ধার ব্যাচ খুলে ফেলেছেন সেই সাথে আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন।
এই ঘটনায় আমি একজন মুক্তিযোদ্ধাও বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসেবে সঠিক তদন্তের মাধ্যমে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর মাননীয় পুলিশ কমিশনার, মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর কাছে ন্যায় বিচারের দাবি জানাচ্ছি।