মোঃ ওমর ফারুক ভ্রামোমান প্রতিনিধিঃ
বগুড়ার সোনাতলায় মরা গরুর গোশত বিক্রিকালে জনতা কর্তৃক আটক অতপর ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার জোড়গাছা ইউনিয়নের চরপাড়া বাজারে।
২৪ জুলাই সোমবার সকালে প্রতিদিনের ন্যায় কসাই গোস্ত বিক্রিকালে স্থানীয় ক্রেতারা গোশত ক্রয় করতে আসে। এ সময় ক্রেতা গোশতের পঁচা গন্ধে বুঝতে পারে এটি মরা গরুর গোশত। ঘটনাটি হাটের ইজাজারাদার কে অবগত করেন। ইজারাদার তাৎক্ষণিক উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে অবগত করেন।
খবর পেয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার এবং উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান ঘটনাস্থলে যান। কর্মকর্তা নুসরাত জাহান প্রাথমিক যাচাই শেষে মরা গরুর গোশত সনাক্ত করেন। মরা গরুর গোস্ত বিক্রির দায়ে চরপাড়া বাজরের সততা গোশত ভান্ডার এর স্বত্ত্বাধিকারী জেলাল বেপারী কে ২০ হাজার টাকা জারিমানা করেন সহকারী কমিশনা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার। জেলাল জোড়গাছা ইউনিয়নের গোশাইবাড়ি গ্রামের মুন্টু বেপারীর ছেলে।
এ বিষয়ে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা নুসরাত জাহান এর সাথে কথা বললে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মাংসের কোয়ালিটি যাচাই করে বোঝা গেছে যে এটা আজকের জবাই করা গরুর মাংস না। গোশত ও কলিজার অবস্থা খুবই খারাপ। আজকে জবাই করা মাংস হলে রক্ত ফ্রেস থাকতো। মাংসে রক্ত নেই আর যেখানে আছে তা কালো হয়ে গেছে।
গোশত বিক্রির প্রতিটি প্রাণী জবাই হওয়ার পূর্বে চিকিৎসক কর্তৃক পরীক্ষা নীরিক্ষা নিশ্চিত হওয়ার কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমাদের তত্বাবধান করার কথা কিন্তু আমাদের জনবল কম থাকায় তা সম্ভব হয়না। তবে হাট ইজারা কর্তৃপক্ষ নিয়ম করছেন যে ইজারা কমিটি ও ফিল্ড কমীর্র উপস্থিতিতে প্রাণী জবাই হবে। উক্ত বিষয়ে সহকারী কমিশনা (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট কুরশিয়া আক্তার এর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, পঁচে যাওয়া মাংস থেকে বিশ্রী দূগন্ধ আসছিল। পঁচা মাংসগুলো জব্দ করে পুতে ফেলা হয়েছে এবং জেলাল নামক কসাইকে সতর্ক করন সহ বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।