পটিয়া (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি:-
চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলা প্রশাসনের আদেশকে বৃদ্ধাঙ্গুল দেখিয়ে শ্রীমতি খালে রাতের আঁধারে অবৈধভাবে একটি সিন্ডিকেট বালু ও কৃষি জমির মাটি লুট করে চলছে।এতে বিপাকে পড়েছে শত শত কৃষক। ঐ সিন্ডিকেট স্কেভেটর দিয়ে বালু উক্তলন ও ফসলি জমির মাটি কাটার ফলে উপজেলার হাইদগাঁও, শ্রীমাই ও বাহুলী এলাকায় খালের দৃশ্যপট পাল্টে গেছে। সরকারী দলের প্রভাব খাটিয়ে ও স্থানীয়দের নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বালু ও মাটি হরিলুট চলছে। এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার আতিকুল মামুন
গত গতমাস ও চলতি মাসে একাধিকবার অভিয়ান চালিয়ে আসলেও বালু ও মাটি ব্যাবসায়ী সিন্ডিকেট তাদের রোডম্যাপ পরিবর্তন করেন বালি মাটি কেটে বিক্রি করছে। বর্তমানে ঐ সিন্ডিকেট দিনের পরিবর্তে রাতে শ্রীমতি খালের বালু ও কৃষি জমি মাটি কেটে বিক্রি করছেন বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। বালু সিন্ডিকেট সদস্যদের তাদের এমন কাজে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে দেখানো হয় বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি। অসহায় এলাকার কৃষকরা উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় সংসদ সদস্যের সহযোগিতা চেয়েছে। গত ৭/৮ বছরে বাহুলী, শ্রীমাই ও হাইদগাঁও মৌজা এলাকায় খালের দুই পাড়ের ফসলি জমি বিলীন হয়ে গেছে। চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের বালুমহাল ইজারার শর্ত ভঙ্গ করে প্রতিবারই স্কেভেটর দিয়ে খালের বালু ও মাটি লুট করে চলছে। বর্তমানে যে স্থান থেকে বালু উক্তলম ও কৃষি জমি মাটি কেটে বিক্রি করছে সে স্থানে ইজারা দেওয়া হয়নি উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছেন। পটিয়া আসনের এমপি হুইপ শামসুল হক চৌধুরী হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ এনে শ্রীমতি খাল খনন করে পানি নিস্কানের ব্যাবস্তা করে মানুষের বাড়ি ঘর কৃষি জমি রক্ষা করেন।
বর্তমানে খালের বাহুলী ও হাইদগাঁও তুলাতুলি পয়েন্টে গভীর করে খালের মাটি কাটা চলছে। দেখে মনে হবে যেন পুকুর খনন করা হচ্ছে। ফলে কৃষকের ফসল ছাড়াও দক্ষিণ হাইদগাঁও গ্রামের হিন্দু সম্প্রদায়ের শ্রীমতি মন্দির, আশপাশের অসংখ্য বসতি এখন ঝুঁকিপূর্ণ। এ বিষয়ে কৃষক ও স্থানীয়রা পটিয়া উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করেছেন। দক্ষিণ হাইদগাঁও গ্রামের হারাধন চন্দ্র জানিয়েছেন, প্রভাবশালী মহল প্রতি বাংলা সনে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন অনুমতিবীহিন বালুমহাল শ্রীমাই খাল থেকে অবৈধভাবে বালু ও মাটি লুট করে নিচ্ছে। খাল থেকে মাটি কাটার কারণে ইতোমধ্যে আনুমানিক শতাধিক শত শত একর কৃষি জমি বিলীন হয়েছে। মানুষের জমি শ্রীমাই খালে বিলীন। মাটি কাটা বন্ধ করা না গেলে আগামী ২/১ বছরের মধ্যে আবারও ভিটেবাড়ি হারিয়ে কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়ার আশংকা স্থানীয় কৃষকদের । এ বিষয়ে পটিয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কল্পনা রহমান জানান, শ্রীমতি খালর বাহুলি এলাকায় কৃষকের কৃষি জমির মাটি কেটে বিক্রি এ ধরনের অভিযোগ এখনো পায়নি, য়দি কৃষকরা লিখিত অভিযোগ দিলে এ বিষয় সত্যিতা যাচাই করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।