মুহাম্মদ আলী,স্টাফ রিপোর্টার:
শুক্রবার (৩ নভেম্বর) সকালে পিসিএনপি কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এমন অভিযোগ তুলেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী মো. মজিবর রহমান।
এ সময় তিনি পার্বত্য জেলা পরিষদ স্বচ্ছভাবে নিয়োগ পরীক্ষা নিতে ব্যর্থ হলে ভবিষ্যতে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ও নিয়োগ পরীক্ষা গ্রহণ করার আহ্বান জানান।
‘বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে সকল সম্প্রদায়ের জনসংখ্যা অনুপাতে স্বচ্ছতার ভিত্তিতে বৈষম্যহীন নিয়োগ দানের দাবী’তে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সাংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কাজী মজিব বলেন, বান্দরবান শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের জেলা হওয়ার পরও ষড়যন্ত্রের বিষবাষ্প ছড়িয়ে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ও বাঙালিদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করছে একশ্রেণির স্বার্থান্বেষী মহল। সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা অনুসারে ১-১৬৬৭ পর্যন্ত রোল নম্বর অফিসিয়ালভাবে প্রকাশ করা হয়। কিন্তু লিখিত পরীক্ষার ফলাফলে ৪ জন অতিরিক্ত যোগ করে রোল নম্বর ১৬৭১ পর্যন্ত দেখানো হয়েছে। যা সম্পূর্ণ বেআইনি ও নিয়মবহির্ভূত। ইতিপূর্বে খাগড়াছড়িতে এমন একটি ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, ইলেক্ট্রনিক্স ও প্রিন্ট মিডিয়ায় ব্যাপক আলোচনার ঝড় উঠার পর বান্দরবানেও একই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তিনি এ ধরনের ঘটনা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানান।
সাংবাদিক সম্মেলনে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র সহ-সভাপতি আবুল কালাম,চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সিনিয়র নেতা আলম মাঝি'সহ বান্দরবান জেলা নাগরিক কমিটির নেতৃবৃন্দ ও প্রিন্ট ও ইলেক্সট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।