ধর্ম

বারমারী তীর্থ উৎসবের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন: নিরাপত্তার চাদরে তীর্থস্থান

  প্রতিনিধি ৩০ অক্টোবর ২০২৫ , ১২:৫৩:৪২ প্রিন্ট সংস্করণ

আব্দুল লতিফ ভ্রাম্যমান রিপোর্টার:

শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার বারমারী সাধু লিওর খ্রিস্টান ধর্মপল্লীতে শুরু হতে যাচ্ছে রোমান ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের অন্যতম বৃহৎ ধর্মীয় সমাবেশ—ফাতেমা রাণীর বার্ষিক তীর্থ উৎসব। আগামী ৩০ ও ৩১ অক্টোবর ২০২৫ দুই দিনব্যাপী এই ধর্মীয় উৎসবে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ভক্ত ও তীর্থযাত্রীরা বারমারীমুখী হচ্ছেন।

উৎসবকে ঘিরে ইতোমধ্যে চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আয়োজক কমিটি ও স্থানীয় প্রশাসন। প্রতি বছরের মতো এবারও তীর্থযাত্রীদের আগমনকে কেন্দ্র করে উৎসব প্রাঙ্গণ, ধর্মপল্লী এবং আশপাশের এলাকায় সাজানো হয়েছে নানা ধর্মীয় প্রতীক ও আলোকসজ্জা। তীর্থযাত্রীদের জন্য অস্থায়ী বিশ্রামাগার, পানীয়জল, চিকিৎসা সহায়তা ও পরিবহন সুবিধাসহ সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

কঠোর নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা

তীর্থস্থান জুড়ে গড়ে তোলা হয়েছে তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয়, যাতে ভক্তরা নির্বিঘ্নে ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পারেন। পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও আনসারের সদস্যরা একযোগে দায়িত্ব পালন করছেন। পুরো এলাকাকে আচ্ছাদিত করা হয়েছে সিসিটিভি নজরদারিতে, পাশাপাশি উৎসব চলাকালীন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা সার্বক্ষণিক তদারকি করবেন।

নালিতাবাড়ী উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং জরুরি সেবা টিমও প্রস্তুত রাখা হয়েছে। তীর্থস্থান সংলগ্ন এলাকায় যানবাহন চলাচলে নির্দিষ্ট নিয়ম আরোপ করা হয়েছে, যাতে ভিড়ের মধ্যেও শৃঙ্খলা বজায় থাকে।

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে উৎসবের প্রস্তুতি

বারমারী মিশনের ফাদার তরুণ বনোয়ারী বলেন, “সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আমরা আশা করি, ভক্তরা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে ফাতেমা রাণীর বার্ষিক তীর্থ উৎসব পালন করতে পারবেন।”

প্রতি বছর হাজারো খ্রিস্টভক্তের অংশগ্রহণে এই তীর্থ উৎসব পরিণত হয় এক অনন্য ধর্মীয় মিলনমেলায়। ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও আয়োজন করা হয় প্রার্থনা সভা, সঙ্গীত পরিবেশনা ও দাতব্য কার্যক্রমের। এবারের উৎসবেও থাকবে নানা ধর্মীয় কর্মসূচি ও প্রার্থনার আয়োজন।

শেরপুরের বারমারী এখন সাজছে ভক্তদের পদচারণায়—নিরাপত্তার বলয়ে মোড়া সেই তীর্থস্থান প্রস্তুত এক পবিত্র ও শান্তিময় আয়োজনের সাক্ষী হতে।

আরও খবর

Sponsered content