বাঙ্গালহালিয়াম মন্দির ভবনের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে, পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি

বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত শংকর মঠ ও মিশনের নতুন ভবন উৎসর্গ অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
কর্ণফুলী সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছে বলেই সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেছে। তিনি আরো বলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুরের স্লোগান ধর্ম যার যার দেশ হলেও সবার। তাই বর্তমান সরকারের আমলে সারাদেশে ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রাম প্রতিটি পাড়ায় বসবাস রত সকল সম্প্রদায়ের মানুষের ধর্মীয় দৃষ্টি নন্দন উপাসনালয় গুলো নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। তিন আরো বলেন পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল সম্প্রদায়ের মানুষের কথা চিন্তা করে কর্ণফুলী সেতু নির্মাণের ঘোষণা দিয়েছেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। ৩রা মার্চ শুক্রবার সকালে রাঙ্গামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত শংকর মঠ ও মিশনে শ্রী শ্রীমৎ স্বামী জ্যোতিশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের ১১৪ তম শুভ আবির্ভাব এবং জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের ২৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বিশ্বশান্তি শ্রী শ্রী গীতাযঞ্জ ও সনাতন ধর্ম মহাসম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ১কোটি ২০লক্ষ টাকায় নির্মিত জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের নতুন ভবন ও উদ্বোধন অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বাঙ্গালহালিয়াতে আসছে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। আয়োজক কমিটিকে প্রধান সমন্বয়ক বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ জানান আগামী ৩রা মার্চ শুক্রবার সকালে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ১কোটি ১০লক্ষ টাকার ব্যায়ে বাস্তবায়নে বাঙ্গালহালিয়া জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনে নবনির্মিত দৃষ্টি নন্দন মঠ মন্দিরে নতুন ভবন উদ্বোধন ও উৎসর্গ ও আশ্রমে যাতায়াত সড়ক ৫০লক্ষ টাকার কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন অনুষ্ঠানে পার্বত্য মন্ত্রী এসব কথা বলেন। জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের প্রতিষ্ঠাতা অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী অভেদানন্দ মহারাজ সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্রগ্রাম সীতাকুণ্ড শংকর মঠ ও মিশনের অধ্যক্ষ পরম পুজ্যপাদ শ্রী শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী তুষির চাকমা, সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান চিংকিউ রোয়াজা, জ্যোতিশ্বর বেদান্ত মঠ ও মিশনের উপদেষ্টা ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য লক্ষীপদ দাশ, হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্ট্রী আমল কান্তি দাস, রাজস্থলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান উবাচ মারমা, উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ইউএনও শান্তনু কুমার দাশ, কাপ্তাই সার্কেল রোশনারা রফ, বাঙ্গালহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা,গাইন্দ্যা ইউপি চেয়ারম্যান পুচিংমং মারমা,ঘিলাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান রবার্ট ত্রিপুরা,হেডম্যান ক্যসুইথুই মারমাসহ দেশের বিভিন্ন মঠ আশ্রমের সাধু সন্ন্যাসী মহাত্মা মহারাজ বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ধর্মীয় অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট সঙ্গীত শিল্পী ছিলেন লালন সম্রাট ভজন ক্ষেপা ।