• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • Uncategorized

    কয়রা উপজেলায় প্রচীন মসজিদ নিয়ে কিছু না জানা তথ্য

      এস এম আছাফুর রহমান খুলনা জেলা প্রতিনিধি : ৪ মার্চ ২০২৩ , ৬:০১:০২ প্রিন্ট সংস্করণ

    ঐতিহ্যবাহী খুলনা জেলার কয়রা উপজেলায় কপোতাক্ষ নদের তীরে অবস্থিত আমাদি ইউনিয়নের মসজিদকুড় গ্রাম। মসজিদকুড় (নয় গম্বুজ) মসজিদ এই এলাকার একটি প্রাচীন স্থাপনা।
    বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ ও মসজিদকুড়ের নয়গম্বুজ মসজিদের গঠন প্রণালী ও স্থাপত্যে সাদৃশ্য থাকায় এটি খানজাহান আলী (রহ.) কর্তৃক নির্মিত বা তার সমমায়িক বলে ধারণা করা হয়। মসজিদকুড় মসজিদের নকশার সাথে বাগেরহাটের ষাটগম্বুজ মসজিদের নির্মিত ইমারতগুলোর নকশা মিল রয়েছে। মসজিদটি বর্তমানে বাংলাদেশ সরকারের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগে তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হচ্ছে।
    জানা যায়, ১৪১৮-১৪৩২ খ্রিষ্টাব্দে গৌড়ের সুলতান ছিলেন জালাল উদ্দীন মুহাম্মদ শাহ। এই সময় হজরত খানজাহান আলী (রহ.) দক্ষিণবঙ্গে আগমন করেন। সর্বপ্রথমে তিনি যশোরের বারোবাজার তারপর মুরলী পর্যন্ত দ্বীন প্রচার করেন এবং সফল হন। এরপর মুরালী কসবা হতে খানজাহান আলী তার কাফেলাকে দুই ভাগে ভাগ করেন। এর মধ্যে কাফেলার একদল কপোতাক্ষ নদ বেয়ে সুদূর সুন্দরবন অঞ্চলে গিয়ে পৌঁছায়। এই কাফেলার আমির ছিলেন বোরহান খাঁ ওরফে বুড়ো খাঁ যিনি হজরত খানজাহান আলীর (রহ.) একান্ত সহচর ছিলেন। এই বুড়ো খাঁর এক সুযোগ্য ছেলে ফতেহ খাঁ। পিতা-পুত্র উভয় মিলে এখানে ধর্মপ্রচারে ব্রতী হন। এভাবেই এই কাফেলা সুন্দরবনের প্রাণকেন্দ্র আমাদিতে পৌঁছান। এটিই ছিল তাদের শেষ সীমানা। এ সময়কালে তারা খাঞ্জাহান আলী (রহ.) এর প্রতিনিধি হিসেবে খলিফাতাবাদের দক্ষিণ-পশ্চিম নিচু এলাকায় ধর্মপ্রচারের পাশাপাশি রাজ্য শাসন করতেন।
    মসজিদের দক্ষিণ দিকে বুড়ো খাঁ ও ফতেহ খাঁর কাছারিবাড়ি ও সমাধি ছিল, এর অনেকটাই কপোতাক্ষের বন্যায় ধুয়ে মুছে গেছে। মূল মসজিদও একসময় পলিতে তলিয়ে গিয়েছিল। সব এলাকা জঙ্গল হয়ে গিয়েছিল। জীবজন্তুর ভয়ে মানুষ মসজিদে যেতে সাহস করত না। পরবর্তীতে খননকার্য সম্পাদনা করে মাটির নিচের এই মসজিদটি আবিষ্কার করা হয়। মাটির নিচ থেকে খুঁড়ে মসজিদটি আবিষ্কৃত হয় বলে একে মসজিদকুড় নামে নামকরণ করা হয়েছিল।
    বর্গাকার এই মসজিদের প্রতি পাশের মাপ হচ্ছে ১৬ দশমিক ৭৬ মিটার, ভেতরের মাপ ১২ দশমিক ১৯ মিটার করে। কেবলামুখী দেয়াল বাদে বাকি তিন দেয়ালে মসজিদে ঢোকার জন্য তিনটি করে খিলান প্রবেশদ্বার আছে। মাঝের প্রবেশদ্বারগুলো অপেক্ষাকৃত বড়। কেবলামুখী দেয়াল কুঁদে অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব তৈরি করা হয়েছে। মাঝের মিহরাব অপেক্ষাকৃত বড়। মসজিদের ভেতরে চারটি স্তম্ভের ওপর ছাদ ভর করে আছে। এই চারটি স্তম্ভ মসজিদের ভেতরের অংশকে নয়টি সমবর্গক্ষেত্রে ভাগ করেছে। বর্গক্ষেত্রগুলো গম্বুজ দিয়ে ঢাকা। ইট-সুরকির তৈরি মসজিদটি দক্ষিণ বাংলার সবচেয়ে প্রাচীন প্রত্নসম্পদ।
    গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের কাছে ওই অঞ্চলের জনসাধারণের আকুল আবেদন যাতে করে দ্রুত এই মসজিদটি পুনরায় মেরামত করে ঐ একই নকশায় আবার সৌন্দর্য ফুটে ওঠে এটাই জনগণের কাম্য।

    আরও খবর

    Sponsered content