ধর্মপাশায় কুরিয়ার সার্ভিসের অন্তরালে চোরাচালান ব্যাবসা

সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় প্রায় সাড়ে ৩০ লাখ টাকা মূল্যের ভারতীয় শাড়ির চালান জব্দ করেছে পুলিশ। এ সময় চারজনকে আটক ও দুটি পিকআপ ভ্যান জব্দ করা হয়। সোমবার ভোরে ধর্মপাশা উপজেলার সদর ইউনিয়নের পশ্চিমপাড়া নামক এলাকা থেকে এ চালান জব্দ করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ চালান নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়নের কানুহারী গ্রামের আ. রশিদের ছেলে মুরাদ চৌধুরীর।

নেত্রকোনা জেলা তাঁতী লীগের সভাপতি মুরাদ চৌধুরী দীর্ঘ বছর ধরে তিনি সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা গ্রামের পশ্চিমপাড়ায় শশুর মৃত কুতুব উদ্দিনের বাড়িতে বসবাস করেন। পাশাপাশি ধর্মপাশা বাজারে সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিসের ব্যবসা পরিচালনা করেন। হঠাৎ করে তিনি অনেক সম্পদের মালিক হয়েছেন। সোমবার ভোরে ওই চালান জব্দ হলে তার অবৈধ চোরাচালান ব্যবসার বিষয়টি সামনে আসে। কংস নদের পাড় ঘেষে মুরাদের শশুর বাড়ি অবস্থিত হওয়ায় নদী পথে ভারতীয় পণ্য সহজেই তার গুদামে নিয়ে আসতো এবং তা গভীর রাতে অন্যত্র পাচার করতো। স্থানীয়রা এতোদিন ভেবেছিলেন নৌপথে কুরিয়ার সার্ভিসের পার্সেল আসে। কিন্তু সে তার শ্যালক শাহ আলমকে নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে এ চোরা চালান ব্যবসা পরিচালনা করে আসছে। সোমবার ভোরে মুরাদের গুদাম থেকে দুটি পিকআপ ভ্যানে ৮২টি বস্তায় করে ৩০ লাখ ৪৩ হাজার ৮০০ টাকা মূল্যের ১,৬৯১টি শাড়ির চালান গাজীপুরে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল। পুলিশ খবর পেয়ে ভোর ৪টা ৪৫ মিনিটে ধর্মপাশা গ্রামের পশ্চিমপাড়ার ত্রিমূখী মোড়ে আসলে শাড়ি ও পিকআপ ভ্যান জব্দ করে। এ সময় পিকআপ ভ্যানে থাকা টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলার বড়চওনা গ্রামের সামছুল হকের ছেলে জাহিদ (২৩), সুরত আলীর ছেলে সাব্বির মিয়া (১৬), আজহার মিয়ার ছেলে রায়হান (১৭) ও হামিদপুর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে নাজমুলকে (২২) আটক করা হয়।
ধর্মপাশা থানার ওসি মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, আটক চারজনসহ মুরাদ চৌধুরী ও শাহ আলমের বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধর্মপাশা থানায় মামলা হয়েছে।