সানোয়ার হোসেন, তানোর প্রতিনিধি: ২ এপ্রিল ২০২৩ , ৩:৪৮:০৭ প্রিন্ট সংস্করণ
রাজশাহীর তানোরে জমি জোর করে দখলে নিতে জমিতে থাকা পাটগাছ ও ছোট ছোট আম গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে,চলতি মাসের (১ এপ্রিল)শনিবার সকালে উপজেলার পাঁচন্দর ইউপির ইলামদহী গ্রামে। এঘটনায় দুই পরিবারের মাঝে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের সংঘর্ষ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, পাঁচন্দর ইউপির ইলামদহী গ্রামের রোসদুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে ইলামদহী মৌজায় জেএল নং-৯৩ খতিয়ান আর এস-৩১ দাগ নং-২৭১ রকম ধানী পরিমাণ ৮৩ শতক জমি মায়ের ওয়ারিশ সূত্রে নানার বিক্রি কবলা মূলে রেজিস্ট্রি করে দেয়া মায়ের জমি দীর্ঘদিন ধরে ভোগদখল করে আসছিলো। কিন্তু হঠাৎ করে একই গ্রামের মৃত আব্বাস আলীর পুত্র খায়রুল ইসলাম(৩৮) ও সুলতান আলী(৪৫) রোসদুল ইসলামের নানার কাছে থেকে জমিটা কিনেছেন বলে একটি দলিল বের করে রোসদুল ইসলামকে জমিতে নামতে নিষেধ করেন। এতে করে রোসদুল ইসলাম তার কথাই কোন কান না দিয়ে জমিতে থাকা পাটগাছে সেচ দিতে লাগেন। এসময় খায়রুল ইসলাম ও সুলতান আলী হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে তেড়ে এসে মারপিট করতে লাগেন রোসদুল ও তার ছোট ভাইকে। ভুক্তভোগী রোসদুল ইসলাম জানান,তার মা নানার কাছে থেকে জমিটা বিক্রয় কবলা করে রেজিস্ট্রি মুলে কিনে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ করে খাচ্ছেন। মায়ের নামে ভূমি অফিসে নামজারিও করা আছে। এতোদিন পরে খায়রুল ও সুলতান একটা দলিল এনে আমাদের জমিতে নামতে নিষেধ করে মারপিট করছে। জমি যদি সে কিনে থাকে তাহলে আইনের আশ্রয় নিবে। এভাবে মারপিট করে জোর করে জমির পাটগাছ ও আম গাছ কেটে ফেলবে। এটা কেমন অবিচার। আমি প্রশাসনের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার কাছে এর কঠোর শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। অভিযুক্ত খায়রুল ইসলাম বলেন, রোসদুল ইসলামের নানা মারা যাওয়ার আগে তাদের কাছে জমি বিক্রি করেছেন। সেই জন্য তারা তাদের ক্রয়কৃত জমি দখল করেছেন বলে এড়িয়ে যান। বিষয়টি নিয়ে তানোর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি কামরুজ্জামান মিয়া জানান, এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে, তদন্ত সাপেক্ষ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।