মুকুল রাজ,কুড়িগ্রাম জেলা,বিশেষ প্রতিনিধি: ৩ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:০০:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ
১৯৭৪সালের বহুল আলোচিত,সমালোচিত বাসন্তী রাণী। স্বাধীনতার ৫০বছর অতিবাহিত হলেও বাসন্তীপাড়ার তেমন কোনো উন্নয়ন হয়নি।আজও বাসন্তী রাণীসহ বাসন্তীপাড়ার মানুষ রিলিফ নির্ভর।প্রথম আলোর কলামিস্ট নাহিদ হাসান নলেজ জানান, কয়েকদিন আগে থানাহাট কলেজ মোড়ে বাসন্তী রাণীর সাথে দেখা হয়। ইউ এনও মহোদয়ের কাছে চালের বস্তা নিয়ে বাড়িতে ফিরছিলেন।
কিন্তু ”বাংলাদেশ প্রতিদিন ”পত্রিকার সম্পাদক নঈম নিজাম ভুলে ভরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে পত্রিকা ছাপিয়েছে,যা চিলমারীর মানুষজন ক্ষোপ ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন।
তাইতো অমরাবতী প্রকাশনীর প্রকাশক ও লেখক কবিতায় প্রকাশ করেছেন,বাসন্তী তোর ভাগ্য ভালো ভালো আজও আছিস বেচে,
তোর ছবিতে পত্রিকা হয়, হকাররা তাই বেচে। নিজাম সাহেব খবর লেখেন, মরেই গেছিস বুঝি, নাহিদ হাসান চিলমারীতে তোকে পেল খুঁজি। আজও পড়িস ভালো শাড়ি? আজও অনাহারী? তোর কারণে পাকা হবে সাংবাদিকের বাড়ি।
এটি বলছি কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলার রমনা ইউনিয়নের ব্রহ্মপুত্রের তীরবর্তী গ্রাম জোড়গাছ (বাসন্তী পাড়া)। পূর্বে হয়ত অন্য নাম ছিল তবে ৭৪ পরবর্তী অল্পকিছু জেলে পরিবার নিয়ে গড়ে উঠে বাসন্তী পাড়া। ৭৪ সালে মুজিব সরকারের সময় বিশ্ব মিডিয়ায় কভারেজ পেয়েছিল উপরে উল্লেখিত বাসন্তী রানী। চিলমারী উপজেলা সেসময় বন্যায় ভাসছিল। একদিকে যুদ্ধ বিধস্ত দেশ। দেশে চলছিল চরম খাদ্যাভাব, হতদরিদ্র বাসন্তী ইজ্জত ঢাকতে মাছ ধরা জাল পরে ভেলায় করে শাক পাতা সংগ্রহ করছিল। দারিদ্রতার সুচক হিসেবে মিডিয়া তখন বাসন্তী কে বিশ্বের কাছে তুলে ধরে। ব্যাপক সমালোচনার মুখে পরে তৎকালীন মুজিব সরকার (যদিও জাল পরার বিষয়টা নিয়ে নানা মতপার্থক্য আছে)।
মনোয়ারুল ইসলাম বলেন, বাসন্তী কে উপলক্ষ করে আসতে থাকে সরকারি -বেসরকারি ভাবে বিভিন্ন ত্রান সামগ্রী যা এখনো আসে। আর চিলমারী উপস্থাপন হতে থাকলো দেশের সবচেয়ে দারিদ্র প্রবণ উপজেলা হিসেবে।
তিনি আরও বলেন বাসন্তী পাড়ায় যা দেখেছি জেলেদের ছোট্ট একটি পাড়া। রিলিফ নির্ভর পরিবার গুলি বাসন্তিকে ব্যবহার করে নিজেরা রিলিফ পাবার আশায়।