• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    অভয়নগরে ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস জনিত গরুর রোগ, আতঙ্কে ক্ষুদ্র খামারীরা

      মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি: ৯ এপ্রিল ২০২৩ , ২:১৯:৩৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    যশোরের অভয়নগর উপজেলার সর্বত্র ছড়িয়ে পড়েছে ভাইরাস জনিত একধরণের গরুর রোগ। যা ‘লাম্পি স্কিন ডিজিস’ নামে পরিচিত। এতে গরুর গায়ে অতিরিক্ত তাপমাত্রা বেড়ে গিয়ে ফোসকা বা ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে। ফলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে গরু পালনকারী ক্ষুদ্র খামারী সহ সবধরণের খামারীদের মাঝে। তাদের অভিযোগ এ রোগ নিয়ন্ত্রনে প্রাণী সম্পদ বিভাগের নেই কোন জোর তদারকি গরু পালনকারীরা জানিয়েছেন। অভয়নগর উপজেলায় এ রোগের সবচেয়ে বেশী বিস্তার ঘটেছে। ফলে গরু পালনকারী খামারীদের মাঝে নতুন করে রোগ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এ উপজেলার প্রতিটি ক্ষুদ্র খামারীর পালনকরা গাভী বা গরু এ রোগে আক্রান্ত হয়েছে। এ রোগ নিয়ন্ত্রণে অভয়নগর প্রাণী সম্পদ বিভাগের কোন দেখভাল বা তদারকি জোর তৎপরতা না থাকার অভিযোাগ খামারীদের। ফলে খামারীরা তাদের পালনকরা গরু নিয়ে রয়েছেন চরম আতঙ্ক ও উৎকন্ঠায়। খামারীরা জানান, তাদের গরুর গায়ে প্রথমে ফোসকা দেখা দিচ্ছে। পরে তা গরুর সারা গায়ে ছড়িয়ে পড়ছে এবং ঘা বা ক্ষত দেখা দিচ্ছে। গরুর এ রোগ হলে গরু খাবার খাওয়া বন্ধ করে দিচ্ছে এবং গরু শুইয়ে থাকলে আর উঠে দাড়াতেও পারছেনা। গরুর এ রোগ উপজেলার প্রায় সব গ্রামেই ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসার অভাবে অনেকের গরু মারাও গেছে। অভয়নগর উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগে যোগাযোগ করা হলে তারা গরুর চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছে বলে সূত্র নিশ্চিত করেছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগের চিকিৎসককে গরুর চিকিৎসার জন্য ডাকা হলে ১৫০০ টাকা থেকে ২০০০ টাকা ভিজিট দিতে হয় তা না হলে গরুর চিকিৎসা সেবা সঠিক ভাবে মেলেনা। প্রাণী সম্পদ অফিস সংলগ্ন পশু চিকিৎসার ঔষধ দোকানগুলিতে একাধিক দালাল রয়েছে। দালালরাই মুলত প্রাণী সম্পদ অফিস নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। পশু হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে প্রযাপ্ত জনবল না থাকায় পশু চিকিৎসা করতে হাসপাতাল কতৃপক্ষের সম্ভব হয়ে উঠছেনা। সূত্রে জানা গেছে উপজেলা পশু কর্মকর্তা একজন কিন্তু তার দায়িত্ব ২টি উপজেলা অভয়নগর ও বাঘারপাড়া এই দুই উপজেলার দায়িত্ব পালনে একজন কর্মকর্তা হওয়ায় পশু চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষের স্বপ্নে পোষা পশু গুলো। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে উপজেলার ৫ নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের দিঘীরপাড় গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ ফারুক হোসেনের গরুর বাজার মুল্য প্রাই ৮০ হাজার টাকা হলেও অভয়নগর পশু হাসপাতালের ডাক্তারগণ চিকিৎসার নামে হাতিয়ে নিয়েছে ৫০/৬০ হাজার টাকা তার পরও তার গরুর মৃত্যু হয়েছে। এবিষয়ে ওই ইউপি সদস্য ফারুক হোসেন বলেন, আমার গরু অসুস্থ হলে পশু হাসপাতালের ডাক্তারদের খবর দিলে তারা নিয়মিত চিকিৎসার নামে ৬০ হাজার টাকার অধিক আমার থেকে হাতিয়ে নিলেও আমার গরু মারা গেছে। আমার গরু মারা যাওয়ার কারণে সংসারে অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে অভয়নগর উপজেলা পশু চিকিৎসক ডাঃ বিধান মন্ডল জানান, কারো কাছ থেকে বেশি টাকা গ্রহন করা হয়না, আর পশু চিকিৎসার ক্ষেত্রে আমরা সব সময় যথাসম্ভব চেষ্টা করে যাচ্ছি চিকিৎসা সেবা জোরদার করা হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content