• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • ইসলামী জীবন

    তারাবিহের আলোচনা: তাওহিদের বর্ণনায় মুখরিত হবে আজকের তারাবিহ

      দিপু সরকার বিশেষ প্রতিনিধি: ১১ এপ্রিল ২০২৩ , ২:৪৫:০৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    তাওহিদের ঘোষণায় শুরু হবে ১৪৪৪ হিজরির ২০তম তারাবিহ। আজকের তারাবিতে সুরা ইয়াসিন (২২-৮৩), সুরা সাফফাত, সুরা সোয়াদ, সুরা যুমার (১-৩১) পড়া হবে। সে সঙ্গে ২৩তম পারার তেলাওয়াত শেষ হবে আজ। আল্লাহর ইবাদত ও তার দিকে ফিরে যাওয়ার ঘোষণায় শুরু হবে আজকের তারাবিহ। আল্লাহ তাআলা বলেন- وَ مَا لِیَ لَاۤ اَعۡبُدُ الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ وَ اِلَیۡهِ تُرۡجَعُوۡنَ

    ‘আর আমি কেন তাঁর ইবাদাত করব না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? আর তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।’ (সুরা ইয়াসিন: আয়াত ২২)
    তাওহিদ রেসালাত আখেরাত এবং আগের নবি-রাসুলদের নবুয়তের বিভিন্ন ঘটনা রয়েছে এ সুরাগুলোতে। বিশেষ করে হজরত ইবরাহিম আলাইহিস সালামের জীবনের প্রায় ঘটনাই পড়া হবে আজ। সুরাগুলোর সংক্ষিপ্ত আলোচ্যসূচি হলো-
    সুরা ইয়াসিন : (২২-৮৩)
    সুরা ইয়াসিন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মক্কী জীবনের শেষ পর্যায়ে এসে নাজিল হয়েছে। এ সুরায় মূলত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রিসালাতকে অকাট্য প্রমাণ দ্বারা সাব্যস্ত করার পাশাপাশি এ রিসালাতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করার দাওয়াত প্রদান করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন-
    وَ مَا لِیَ لَاۤ اَعۡبُدُ الَّذِیۡ فَطَرَنِیۡ وَ اِلَیۡهِ تُرۡجَعُوۡنَ
    ‘আর আমি কেন তাঁর ইবাদাত করব না যিনি আমাকে সৃষ্টি করেছেন? আর তাঁর কাছেই তোমাদের ফিরিয়ে নেওয়া হবে।’ (সুরা ইয়াসিন: আয়াত ২২)
    তিনি নিজের তওহিদবাদী হওয়ার কথা প্রকাশ করলেন, যাতে তাঁর উদ্দেশ্য নিজ সম্প্রদায়ের মঙ্গল কামনা ও তাদেরকে সঠিক পথের দিশা দেওয়া। এও হতে পারে যে, তাঁর সম্প্রদায় তাঁকে বলেছিল যে, তুমিও সেই উপাস্যের উপাসনা করছ, যার দিকে এই সকল রাসুল আমাদের আহবান করছে এবং তুমিও আমাদের উপাস্যকে বর্জন করে বসেছ? যার উত্তরে তিনি এ কথা বলেছিলেন। মুফাসসিরগণ তাঁর নাম হাবিব নাজ্জার বলেছেন। আর আল্লাহই অধিক জানেন।

    যারা বিশ্বনবির রিসালাতের ওপর বিশ্বাস স্থাপন করবে না তাদেরকে কঠিন শাস্তির ভীতি প্রদর্শন করে সতর্ক করা হয়েছে। সাথে সাথে অবিশ্বাসীদেরকে যুক্তি ও অকাট্য প্রমাণ দ্বারা এ বিষয়টি সুস্পষ্টভাবে বুঝিয়ে দেয়ার নীতি অবলম্বন করা হয়েছে। এ সুরায় তিন বিষয়ের প্রতি মনোযোগ আকর্ষণ করা হয়েছে-
    ১. তাওহিদ বা একত্ববাদ : প্রাকৃতিক নিদর্শন ও সাধারণ বিবেক-বুদ্ধির মাধ্যমে;
    ২. পরকাল সম্পর্কে : প্রাকৃতিক নিদর্শন, সাধারণ বিবেক-বুদ্ধি এবং স্বয়ং মানুষের অস্তিত্বের সাহায্যে;
    ৩. রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নবুয়ত ও রিসালাতের সত্যতা সম্পর্কে : এ ব্যাপারে বর্ণনা করা হয়েছে যে, বিশ্বনবি সম্পূর্ণ নিঃস্বার্থভাবে অসহনীয় কষ্ট, দুর্ভোগ, নির্যাতন সহ্য করে নবুয়তের মহান দায়িত্ব পালন করেছেন।
    এ দাওয়াত ছিল যুক্তিযুক্ত এবং বিবেক সম্মত। যার মধ্যে সবার জন্য কল্যাণ নিহিত। আল্লাহ তাআলা বলেন-
    اِنِّیۡۤ اٰمَنۡتُ بِرَبِّکُمۡ فَاسۡمَعُوۡنِ قِیۡلَ ادۡخُلِ الۡجَنَّۃَ ؕ قَالَ یٰلَیۡتَ قَوۡمِیۡ یَعۡلَمُوۡنَ بِمَا غَفَرَ لِیۡ رَبِّیۡ وَ جَعَلَنِیۡ مِنَ الۡمُکۡرَمِیۡنَ
    ‘আমি নিশ্চিতভাবে তোমাদের পালনকর্তার প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করলাম। অতএব আমার কাছ থেকে শুনে নাও। তাকে বলা হল, জান্নাতে প্রবেশ কর। সে বলল হায়, আমার সম্প্রদায় যদি কোন ক্রমে জানতে পারত- যে আমার পরওয়ারদেগার আমাকে ক্ষমা করেছেন এবং আমাকে সম্মানিতদের অন্তর্ভুক্ত করেছেন।’ (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ২৫-২৭)
    তওহিদের দাওয়াত দেওয়া ও একত্বকে স্বীকার করার ফলে তাঁর জাতি তাঁকে হত্যা করতে চাইলে তিনি পয়গম্বরগণকে সম্বোধন করে বললেন (উদ্দেশ্য নিজের ঈমানের উপর সেই পয়গম্বরগণকে সাক্ষ্য রাখা) অথবা তাঁর জাতিকে সম্বোধন করে বললেন (যার উদ্দেশ্য সত্য দ্বীনের উপর শক্তভাবে প্রতিষ্ঠিত থাকার কথা প্রকাশ ছিল), তোমরা যা ইচ্ছা করতে পার; কিন্তু ভালোভাবে শুনে নাও যে, আমার ঈমান সেই প্রতিপালকের উপরে আছে যিনি তোমাদেরও প্রতিপালক। বলা হয় যে, তারা তাঁকে মেরে ফেলেছিল এবং তাতে তাদেরকে কেউ বাধা দেয়নি।
    কোরআনের উপরোক্ত বাক্য থেকে এ দিকে ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, লোকটিকে শহীদ করে দেওয়া হয়েছিল। কেননা, কেবল জান্নাতে প্ৰবেশ অথবা জান্নাতের বিষয়াদি দেখা মৃত্যুর পরই সম্ভবপর। (কুরতুবি, ফাতহুল কাদির)
    হজরত কাতাদাহ রাহিমাহুল্লাহ বলেন, এ লোকটি তার সম্প্রদায়কে আল্লাহর দিকে আহবান জানিয়েছে এবং তাদের জন্য উপদেশ ব্যক্ত করেছে, কিন্তু তারা তাকে হত্যা করেছে।’ (তাবারি)
    যে ঈমান ও তওহিদের কারণে আল্লাহ তাআলা আমাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন, যদি সে কথা আমার সম্প্রদায় জানত, তাহলে তারাও ঈমান ও তাওহিদে বিশ্বাসী হয়ে আল্লাহর ক্ষমা ও তাঁর বিভিন্ন অনুগ্রহের হকদার হয়ে যেত। এইভাবে সে ব্যক্তি মৃত্যুর পরেও নিজ জাতির মঙ্গল চেয়েছেন। একজন প্রকৃত মুমিনকে এমনই হওয়া দরকার যে, সে সর্বদা মানুষের মঙ্গল কামনা করবে; অমঙ্গল নয়। তাদেরকে সঠিক পথ দেখাবে; পথভ্রষ্ট করবে না। তাতে মানুষ তার সাথে যেমনই ব্যবহার করুক না কেন; এমনকি যদিও তাকে মেরে ফেলে। (আহসানুল বয়ান)
    وَ اٰیَۃٌ لَّهُمُ الۡاَرۡضُ الۡمَیۡتَۃُ ۚۖ اَحۡیَیۡنٰهَا وَ اَخۡرَجۡنَا مِنۡهَا حَبًّا فَمِنۡهُ یَاۡکُلُوۡنَ وَ جَعَلۡنَا فِیۡهَا جَنّٰتٍ مِّنۡ نَّخِیۡلٍ وَّ اَعۡنَابٍ وَّ فَجَّرۡنَا فِیۡهَا مِنَ الۡعُیُوۡنِ لِیَاۡکُلُوۡا مِنۡ ثَمَرِهٖ ۙ وَ مَا عَمِلَتۡهُ اَیۡدِیۡهِمۡ ؕ اَفَلَا یَشۡکُرُوۡنَ
    ‘তাদের জন্যে একটি নিদর্শন মৃত পৃথিবী। আমি একে সঞ্জীবিত করি এবং তা থেকে উৎপন্ন করি শস্য, তারা তা থেকে ভক্ষণ করে। আমি তাতে সৃষ্টি করি খেজুর ও আঙ্গুরের বাগান এবং প্রবাহিত করি তাতে নির্ঝরিণী। যাতে তারা তার ফল খায়। তাদের হাত একে সৃষ্টি করে না। অতঃপর তারা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে না কেন?’ (সুরা ইয়াসিন : আয়াত ৩৩-৩৫)
    মৃত পৃথিবীকে জীবিত করে আমি তা থেকে তাদের খাবারের নিমিত্তে শুধু ফসলই উৎপন্ন করিনি বরং তাদের কাজ ও মুখের তৃপ্তির জন্য বিভিন্ন রকমের ফল অধিক মাত্রায় সৃষ্টি করেছি। এই আয়াতে শুধু দুই প্রকার ফলের কথা উল্লেখ হওয়ার কারণ হল, উক্ত ফল দুটি খুবই উপকারী এবং আরবদের নিকট অতি পছন্দনীয়ও বটে। তাছাড়া এই দুই ফলে

    আরও খবর

    Sponsered content