প্রতিনিধি ১৭ এপ্রিল ২০২৩ , ৫:২৯:৫৭ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশন ঘিরে তার সংলগ্ন এলাকার কিছু মানুষ টিকেট কালোবাজারি করে জীবন জীবিকা নির্বাহের রাস্তা খুঁজে পেয়েছে আরো বহু বছর আগে। এইটা এখন অনেকটা তাদের পারিবারিক বা এলাকাগত বংশ পরম্পরা’ই পাওয়া ব্যবসা। যদিও তাদের বেশির ভাগ নেশাগ্রস্ত ও মাদক ব্যবসায়ীও। আর এই সুযোগ টাকেই কাজে লাগিয়ে ওইসব এলাকার দুই-একজন সমাজ সেবক এর মুখোশ পড়া টপ টেরর অবৈধ ভাবে ইজারা নিয়ে রেখেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেল স্টেশন। তাদের গুন্ডাবাহিনি দিয়েই নিয়ন্ত্রণ করে সব কিছু।
তাদেরকে সবাই চিনে কারণ তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার নামি-দামি সম্মানি লোক, তাদের কথায় শুধু রেল স্টেশনের মাস্টার ও ফাঁড়ির উপপরিদর্শক ই নয়, প্রশাসন, প্রেসও নড়েচড়ে বসে। কারণ তারা সব জায়গাতে উপঢৌকন দিয়েই কাজ করে।
গতকাল মিলন সাহেবের ব্রাহ্মণবাড়িয়া নিয়ে পোস্টের পর দেখলাম তারা উনার উপর ক্ষেপে উনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার নোংরা প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
তবে তারা যা বলছে তা পুরোটা সত্য না হলেও, তাদের সিন্ডিকেট ভেঙে ব্রাহ্মনবাড়িয়াকে তাদের হাত থেকে মুক্ত করা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার! এইটা সত্য।।
কারণ আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসীরা’ই দুই নাম্বার। যারা প্রতিবাদ করলে কাজ হবে তারা নিজেরা অবৈধ সুবিধা পায় বলে প্রতিবাদ করে না। আর যাদের করার প্রবল ইচ্ছা তারা করার সাহস পায় না, বাধ্য হয়ে তারাই আবার ব্ল্যাকে টিকেট কাটে।।
এর থেকে মুক্তির একটাই উপায় ছিলো আমরা ব্রাহ্মণবাড়িয়াবাসী নিজেরা’ই সচেতন হয়ে কালোবাজারিদের থেকে টিকেট কাটা বন্ধ করে দিলে। কিন্তু এইটা তো আর হওয়ার নয়, কারণ বললাম না আমরা নিজেরাই দুই নাম্বার। >তাই অনুরোধ জানাচ্ছি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বগি গুলোতে ‘টিকেট যার ভ্রমণ তার’ নিয়মে নিয়মিত কিছু দিন এক নাগারে কঠোর ভাবে চেকিং এবং জরিমানা করুন।।
এইটা বাস্তবায়ন করলেই যদি কিছু হয়, তবে এইটা করতেও অনেক ঝাক্কি পোহাতে হবে। কারন ট্রেনের রুম এটেন্ডেন্ট এবং টিটির সাথেই ব্লেকারদের সিট বিনিময় হয়ে থাকে বহুদিন ধরে।।
এর বাইরে তিতাস এর মতো ট্রেন গুলো নিয়ে কথা বলতে চাই না, কারন তিতাসের ব্রাহ্মণবাড়িয়ার দ্বায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যাক্তি ব্রাহ্মণবাড়িয়া পৌরসভার সম্মানিত প্যানেল মেয়র এবং তিনি প্রেস ক্লাবের নির্বাচিত সাংবাদিক। ফেইসবুকে এখন নিয়মিত উনার পোস্ট দেখি উনি এলাকার সৎ এবং জনপ্রিয় জনপ্রতিনিধি। মাদকের বিরুদ্ধে, এলাকার চুর-ছিনতাইকারীদের বিরুদ্ধে, পুকুর খেকোদের বিরুদ্ধে উনার অবস্থান প্রশংসনীয়।
তাই আশা করি উনি নিশ্চয় তিতাস ট্রেনের টিকেট নিয়ে দুই নাম্বারি বা কালোবাজারি হতে দেন না। টিকেট কালোবাজারিদের বিরুদ্ধে নিশ্চয় উনিও সোচ্চার ব্যাক্তিত্ব!