ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:- ১৮ এপ্রিল ২০২৩ , ৪:২৬:০৬ প্রিন্ট সংস্করণ
শেয়াল পন্ডিত। কোন এক রাজ্যে একটা শেয়াল বাস করতো, শেয়ালটি নিজেকে খুব চালাক ও বিদ্বান মনে করতো, যদিও সে ছিলো অতিমাত্রায় নির্বোধ, সবক্ষেত্রে তার নির্বুদ্ধিতার ছাপ ছিলো স্পস্ট, তবুও তার ভাবখানা এমন যে সব বিষয়ে সেই বেশি জানে ও বোঝে, যা তাকে অহংকারী করে তোলে। প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও সবখানে পান্ডিত্য দেখানো সহ অনর্থক কাজে তিনি ছিলেন সিদ্ধহস্ত। তার লক্ষ্যগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিলো ছলচাতুরী ও তোষামোদি করে সেই রাজ্যের রাজা ও ক্ষমতার কাছাকাছি পৌছানো, তোষামোদকারী ইনিয়ে বিনিয়ে মিথ্যা বলায় পারদর্শী ধর্মের লেবাসধারী শেয়ালটি একসময় নিজেকে পরিণত করে রাজার একান্ত অনুগত সারমেয়তে, যার উপহার স্বরূপ যোগ্যতা না থাকা সত্ত্বেও রাজা তাকে নিজের পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দেয়, ক্ষমতা প্রাপ্ত হয়েই শেয়ালটি বলতে শুরু করে এখানে সেই সর্বেসর্বা তার কথাই শেষ কথা, জুজুর ভয় দেখিয়ে সবাইকে তটস্থ করে রাখাই ছিলো তার কাজ। তার দ্বারা সমাজের জন্য ভালো কোন কাজ করতে দেখা যায়নি, সকলকে ঠকানোয় ওস্তাদ শেয়ালটির প্রায়শই লক্ষ্য থাকতো অন্যদের অবমূল্যায়ন করা। তিলকে তাল করার দক্ষতা, অপেক্ষাকৃত দুর্বল ও নিরীহদের অযথা বিপদে ফেলা, নিজের নাক কেটে অন্যের যাত্রা ভঙ্গ করা ছিলো তার চরিত্রগত বৈশিষ্ট। ছলচাতুরী, প্রতারণাকে পেশায় পরিনত করা শেয়ালটি একদিন অন্য একজনকে শায়েস্তা করার জন্য তার পাতা ফাঁদে নিজেই আটকা পড়ল, বিপদে পড়ে তার বোধোদয় হলো যে সে এতদিন যা করেছে তা সব ভুল ছিলো, সে অনুতপ্ত ও ক্ষমাপ্রার্থী, তাকে যেন ফাঁদ থেকে মুক্ত করা হয় সে জন্য অনেক কাকুতি মিনতি করলো কিন্তু কেউ এগিয়ে আসলো না অর্বাচিন শেয়ালটিকে উদ্ধারের জন্য, রাজাও পর্যন্ত তাকে বরখাস্ত করলো। ক্ষমতা হারিয়ে ফাঁদে পড়া শেয়ালটি নিঃসঙ্গ অবস্থায় চুড়ান্ত পরিনতির জন্য প্রহর গুনতে লাগলো।
(ক্ষমতা যে চিরস্থায়ী নয় এটা সকলের বোঝা উচিত না হলে শেয়ালের মত অবস্থা হতে পারে)