• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • সারাদেশ

    ৩৬টি ম্রো পরিবারকে বন্দোবস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে,সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি

      প্রতিনিধি ২৬ এপ্রিল ২০২৩ , ১০:৪৩:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    বান্দরবান জেলা প্রতিনিধি:-

    বান্দরবানের ‘লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রি লি:ও ম্রো ত্রিপুরাদের দীর্ঘদিনের জমি বিরোধ নিরসনকল্পে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পাবর্ত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২নং সাব-কমিটি। বুধবার (২৬ এপ্রিল) ১১টায় পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটি’র ২নং সাব-কমিটির উচ্চ পদস্থ এই দল সরই ইউনিয়নের ডলুছড়ি মৌজাস্থ তর্কিত ভূমি পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন দলে ছিলেন, পার্বত্য রাঙ্গামাটি সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার এমপি, রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি,খাগড়াছড়ির সাংসদ কজেন্দ্র লাল টিপুরা ও সংরক্ষিত (পার্বত্য) নারী সাংসদ বাসন্তি চাকমা। সাব কমিটির নেতৃদ্বয় সরেজমিনে তদন্ত কালে ‘ম্রো ত্রিপুরা, লামা রাবার ইন্ডাস্ট্রির লোকজন, সংশ্লিষ্ট হেডম্যান, কারবারী ও জনপ্রতিনিধিদের বক্তব্য শুনেন। এ সময় বিরোধপুর্ণ বিষয়ে বান্দরবান জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, লামা উপজেলা চেয়ারম্যান,লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার, গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান, সরই ইউপি চেয়ারম্যান বিরাজমান পরিস্থিতির সারমর্ম তুলে ধরে বক্তব্য প্রদান করেন।জনপ্রতিনিধিরা জানান,ইতোপূর্বে জেলার শীর্ষস্থানীয়দের প্রস্তাবনানুযায়ী ৩৬ টি পরিবারকে ৫ একর করে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান,শ্মশানের জন্য মোট ২০০শত ৬ একর জমি প্রদানের প্রস্তাব গৃহীত হয়। কিন্তু ম্রো ত্রিপুরাদের একাংশ প্রস্তাবটি নাকচ করে। এর ফলে বিরোধটি সমাধান হচ্ছেনা। এই বক্তব্য শ্রবণের পর সাব কমিটি ২ এর আহ্বায়ক রাউজানের সাংসদ এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী বলেন,স্থানীয়ভাবে গৃহীত প্রস্তাবটি ভালো ছিলো। তিনি আরো বলেন, বিষয়টি আমরা জানলাম দেখলাম। যেহেতু পার্বত্য চট্টগ্রামে সম্পাদিত শান্তি চুক্তির পর থেকে ভূমি বন্দোবস্তি বন্ধ,বিষয়টি সংসদীয় স্থায়ী কমিটির মাধ্যমে প্রয়োজনে আইন সংশোধন করে এই ৩৬টি ম্রো পরিবারকে বন্দোবস্তি দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। তিনি আরো বলেন,বিষয়টি দ্রত সময়ে মীমাংসা করা দরকার অন্যথায় সময় যত গড়াবে সবাই তত ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কথোপকথনে সাব কমিটির সদস্য সাংসদ দীপঙ্কর তালুকদার জানতে চায়, এখানে পাহাড়ি সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের ঝনঝনানি আছে কিনা থাকলে তাদের অবস্থান কত দূরে। এই প্রশ্নের জবাবে বান্দরবান পুলিশ সুপার তরিকুল ইসলাম বলেন সন্ত্রাসীদের এরকম কোন স্থায়ী অবস্থান এখানে নেই। পুলিশ সুপারের বক্তব্যের সমর্থনে গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যানও একই কথা বলেন। এ সময় গজালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান এই বিরোধের জন্য কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন ও লামা রাবারকে দায়ী করে বলেন,উভয় প্রতিষ্ঠানের জমি পরিমাপ করা হলে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে। আলোচনান্তে জেলা প্রশাসক বলেন,”সংশ্লিষ্ট উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বন্দোবস্তির বিধান চালু করলে আমি অতিদ্রুত ব্যবস্থা নিব। এ সময় লামা উপজেলা চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল সাব কমিটিকে অবহিত করেন যে, বিরোধ মীমাংসা করতে তাদের দাবি পুরণের লক্ষে আমার অফিসেও বৈঠক হয়েছিল। সেখানে ম্রো ত্রিপুরারা সব কিছু মেনে নেয়,কিন্তু পরবর্তীতে ৩য় কোনো পক্ষের ইন্ধনে সিদ্ধান্ত থেকে সরে যাওয়ায় স্থায়ী সমাধান করা সম্বভ হয়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content