• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    অভয়নগরে রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় ভয়ঙ্কর কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসা নিয়ন্ত্রণহীন হয়ে পড়েছে

      প্রতিনিধি ৩ মে ২০২৩ , ১০:০৫:১৬ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

    যশোরের অভয়নগর উপজেলায় বড় ভাই সালাম দিছে, সামনে পার্টি.. কিংবা কাকা সালামি কই?’ ঈদ, নববর্ষ, থার্টিফাস্ট নাইটের নামে এভাবেই নিরবে চাঁদাবাজি করছে উঠতি বয়সী ছেলেরা। উপজেলার গ্রাম থেকে শুরু করে, নওয়াপাড়া শহরে রয়েছে এ রকম গ্যাং। ‘কিশোর গ্যাং ও মাদক ব্যবসার নামে অভয়নগর উপজেলা ও এর আশপাশের এলাকায় উঠতি বয়সীদের বেপরোয়া কর্মকাণ্ড চলছে বেশ কয়েক বছর ধরে। শুরুতে আড্ডা, পার্টি বা মেয়েদের উত্ত্যক্ত করার মতো অপরাধে যুক্ত থাকলেও এখন তা বিস্তৃত হয়েছে ভয়ঙ্করভাবে। আধিপত্য বিস্তার থেকে শুরু করে জবরদখল ও মাদকবাণিজ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বখাটে কিশোরদের। সম্প্রতি ঈদ উপলক্ষেও ‘সালামি’র নামে নিরবে চাঁদাবাজি করেছে এসব গ্যাং। এ রকম বেশকিছু কিশোর গ্যাংয়ের তথ্য রয়েছে গোয়েন্দাদের কাছে। এসব গ্যাংয়ের সদস্য অন্তত ১০০ থেকে ২০০। অন্যদিকে কিশোর গ্যাংকে ব্যবহার করে ফায়দা নিচ্ছেন স্থানীয় কিছু রাজনৈতিক নেতা। ফলে উপজেলায় বিভিন্ন অপরাধে বহুমাত্রিক বেড়ে গেছে। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যা হলেই ওই সব কিশোর গ্যাং সদস্যরা বিভিন্ন স্থানে জটলা বেঁধে আড্ডা বাজিতে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, এবং বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উপজেলার কিশোর গ্যাংদের হাতে। ফলে মরন নেশা মাদকের ছোবলে ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে কোমলমতি ছোট শিশুরা। মাদকের টাকা জোগাড় করতে মরিয়া কিশোর গ্যাং সদস্যরা। কখনো করছে ছিনতাই, কখনো করছে চুরি, কখনো করছে নিরব চাঁদাবাজি। ফলে অভিভাবক মহল রয়েছে চরম বিপাকে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে গত বেশকিছু দিন ধরে উপজেলায় বেড়ে গেছে ছিনতাই চুরিসহ নানান ধরনের অপরাধ। সূত্রে আরো জানা গেছে, উপজেলা গ্রাম থেকে শহর পযন্ত ঘিরে শতাধিক কিশোর সন্ত্রসাী মাদক ব্যবসায়ী জড়িয়ে পড়েছে। বিকেলের পর থেকে গভীর রাত পর্যন্ত তারা এমন কোনো অপরাধ নেই, যা তারা করে না। তাদের পকেটে বার্মিজ চাকু থাকে। আশপাশে লুকিয়ে চাপাতি-রামদাসহ অস্ত্র সরঞ্জাম লুকিয়ে রেখে অপকর্ম করে যাচ্ছে। স্থানীয়রা ভয়ে তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুলতে সাহস পায় না। তথ্য সূত্রে জানা যায়, মাদক ব্যবসা সেবনে নারীরাও থেমে নেই, বিভিন্ন বেশে বোরকা পরিহিত কিছু সুন্দরী নারীদেরও মাদকের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত হয়ে পড়তে দেখা গেছে, এরা মোবাইলের মাধ্যমে মাদক কেনাবেচা করে, এমন কি ওই সব সুন্দরী নারীরা মাদক সেবনেও পিছিয়ে পড়ে নেই, এদের বেশির ভাগ পরিচয় খালা ভাবি দাদি। অন্যদিকে সরেজমিনে আরো জানা গেছে উপজেলার প্রতিটি ছোট বড় বাজারে চা দোকানের আড়ালে গভীর রাত পযন্ত চলে কেরাম বোর্ড খেলা, ওই কেরাম বোর্ড খেলার আড়ালে বকাটে উটতি বয়সী যুবকেরা মাদক বিক্রি সেবনসহ রমরমা জুয়ার আড্ডায় মাতোয়ারা থাকলেও পুলিশ প্রসাশনের পক্ষ থেকে তেমন কোন পদক্ষেপ চোখে পড়েনা। ফলে উপজেলা ব্যাপি অপরাধ বেড়ে যুবসমাজ ধ্বংসের পথে। সচেতন মহলের দাবি জরুরি ভাবে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চা দোকানে গড়ে ওঠা কেরাম বোর্ড খেলা বন্ধসহ কিশোর গ্যাংদের অনৈতিক কর্মকান্ড বন্ধ করতে প্রসাশনের আসুহস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এবিষয়ে অভয়নগর থানার ওসি (তদন্ত) ভারপ্রাপ্ত মিলন কুমার মন্ডলের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content