• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    ঈদগাঁওতে রবীন্দ্রনাথের সৃজনশীলতাকে শ্রদ্ধায় স্মরণ

      প্রতিনিধি ৮ মে ২০২৩ , ৫:২৭:৩৮ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ রেজাউল করিম, ঈদগাঁও (কক্সবাজার)।

    ঈদগাঁওতে পরম আবেগ ও শ্রদ্ধায় পালিত হয়েছে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একশত বাষট্টি তম জন্মবার্ষিকী। ঘটা করে কবিগুরুর জন্মদিন উদযাপন করেছে ঈদগাহ আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়। প্রতিষ্ঠানটির মোখতার আহমদ মিলনায়তনে এ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেয় বিদ্যালয়ের ফুলেশ্বরী সাংস্কৃতিক সংসদের শিল্পীরা। অনুষ্ঠানে বক্তৃতা, আবৃত্তি, একক ও সমন্বিত গান পরিবেশন করা হয়।
    সহকারি শিক্ষক শাহজালাল মুনিরের উপস্থাপনায় এতে শিক্ষকদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সহকারী শিক্ষক জসীম উদ্দীন (বাংলা) ও সহকারী শিক্ষক আবু বক্কর সিদ্দিক।
    শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ জসিম উদ্দিন। শুভেচ্ছা জ্ঞাপন ও সমাপনী বক্তব্য দেন প্রধান শিক্ষক খুরশীদুল জন্নাত। কবিতা আবৃত্তি করেন সিনিয়র শিক্ষক পূরনাম পাল। শিক্ষার্থীদের মধ্যে আবৃত্তি করে হুরাইন হাসনা (সপ্তম শ্রেণি) ও নওরিন পুস্প। অধ্যায়নরতদের মধ্যে আফিয়া আঞ্জুমান শাওরিন ও সামিয়া রশিদ তানিয়া বক্তব্য রাখে। একক গান পরিবেশন করে অর্ণব পাল ও আকিয়াব ইবনে আয়মান।দলীয় সংগীতের মধ্যে ছিল “আহা কি আনন্দ–“, “ফাগুন হাওয়ায়–“, ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে–” এবং ‘পুরনো সেই দিনের কথা–“। আলোচকরা বলেন, কালজয়ী এ কবি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে বিশ্বমানে উন্নীত করেছেন। তিনি বাঙালির চিন্তা ও মননে আধুনিকতার উন্মেষ ঘটিয়েছেন। জাতির মানস গঠনে তার ছিল অগ্রণী ভূমিকা। বক্তারা কর্ম ও সৃজনশীলতায়

    বাংলা সাহিত্যের এ সর্বশ্রেষ্ঠ সাহিত্যিক বিশ্ববাসীর কাছে চির জাগরুক থাকবে বলে মন্তব্য করেন।
    প্রধান শিক্ষক তার বক্তব্য বলেন, আত্মিক মুক্তি ও স্বনির্ভরতার প্রতীক হিসেবে নোবেল জয়ী রবীন্দ্রনাথ বাংলা সাহিত্যের সকল শাখায় অসামান্য দক্ষতার স্বাক্ষর রেখেছেন। তিনি ছিলেন একাধারে কবি, দার্শনিক, গীতিকার, সুরকার, শিক্ষাবিদ, চিত্রশিল্পী, নাট্য প্রযোজক ও অভিনেতা।
    তিনি বলেন, গীতাঞ্জলি কাব্যগ্রন্থ ইংরেজিতে অনুবাদের জন্য ১৯১৩ সালে এশিয়দের মধ্যে এ ঔপন্যাসিক প্রথম বাংলা সাহিত্যে বিশ্বের সর্বোচ্চ পুরস্কারে ভূষিত হন। সহকারি প্রধান শিক্ষক বলেন, বাঙালিদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তির ক্ষেত্রে তার গান- কবিতা অসামান্য অনুপ্রেরণার উৎস। তিনি দেশের প্রতিটি সংগ্রামে এ প্রবন্ধকারের রচনা চিরকাল প্রাণের সঞ্চার করে বলে মন্তব্য করেন। অন্যান্যরা বলেন, আমাদের জাতীয় সংগীত “আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি” এর রচয়িতা হচ্ছেন এ সংগীত স্রষ্টা। অনুষ্ঠান উপভোগ করেন সিনিয়র সহকারী শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক ও অধ্যয়ণরত শিক্ষার্থীরা।

    আরও খবর

    Sponsered content