প্রতিনিধি ১১ মে ২০২৩ , ১২:০৬:৫৫ প্রিন্ট সংস্করণ
মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি
যশোরের অভয়নগর উপজেলার নওয়াপাড়ার ব্যবসায়ীদের যথেচ্ছা ব্যবহারের ফলে বিভিন্ন গ্রামের রাস্তার অবস্থা নাজেহাল। ফলে চরম দূর্ভোগে রয়েছে সাধারণ মানুষ। সরেজমিনে দেখা গেছে, নওয়াপাড়া বাজারের ব্যবসায়ীরা ভৈরব সেতুর ওপার ভৈরব নদের কোল ঘেঁষে মধ্যপুর, শংকরপাশা থেকে নগর দেয়াপাড়া ঘাট পর্যন্ত নিজেদের ব্যবসা বাড়াতে বিভিন্ন ঘাট তৈরি করেছে। সে সব ঘাটে কয়লা, বালু, সারসহ বিভিন্ন মালামাল ড্যাম্পিং করে বিক্রি করে থাকে। ফলে ওই সব ড্যাম্পিং থেকে প্রতিদিন শতশত ভারি যানবাহন ১০ চাকা বিশিষ্ট ট্রাক লোড হয়। যে সব ট্রাক লোড ৪৫/৫০ মেঃ টন মালামাল ওজনসহ গ্রামের কাঁচা পাকা রাস্তায় চলাচলের কারণে রাস্তা গুলো ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। ফলে ঐ সব অঞ্চলের সাধারণ মানুষ ব্যাপক দূর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন। ঐ সব রাস্তা ২/৩ টন ওজনের ধারণ ক্ষমতা থাকলেও ভারি যানবাহন চলছে প্রতিদিন যা দেখার যেন কেউ নেই। ঐ অঞ্চলগুলো ও ঐ অঞ্চলের সাধারণ মানুষ, নওয়াপাড়া ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। তথ্য অনুসন্ধানে জানা যায়, ঐ সব সুযোগ সন্ধানী ব্যবসায়ীরা ক্ষমতার দাপটে নিজেদের সুবিধার জন্য স্থানীয় কিছু অসাধু প্রভাবশালী নেতাদের মাসিক মাসোয়ারা দিয়ে হাত করে রেখেছে। ফলে সাধারণ মানুষ কেউ রাস্তা গুলোর বেহাল দশার প্রতিবাদ করতে গেলেই তার উপর জীবন নাসের হুমকিসহ নানান ধরনের বিপদ নেমে আসে। যে কারণে কেউ ভয়ে মুখ খুলেনা, সব নির্যাতন সাধারণ মানুষ নিরব কান্নার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা ছাড়া যেন করার কিছু নেই। উল্লেখ্য, সম্প্রতি ভৈরব সেতুর ওপার দক্ষিণ দেয়াপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন চলাচলের অনুপযোগী কালভার্টের উপর দিয়ে ভারি ভারি যানবাহন চলাচলের কারনে কালভার্ট ভেঙে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ব্যবসায়ী প্রভাবশালীদের সুবিধার্থে ভাঙা কালভার্টের নিচে কতিপয় ব্যবসায়ী নিজ উদ্যোগে ইটের গাঁথুনি দিয়ে মেরামত করতে দেখা গেছে। তথ্য সূত্রে জানা যায়, গ্রামে ছোট ছোট রাস্তাগুলোতে ভারি যানবাহন চলাচলের অনুপযোগী হলেও নওয়াপাড়া ব্যবসায়ীদের কিছু যায় আসেনা, তাদের ব্যবসা চলতেই হবে। অন্যদিকে ঐ সব অঞ্চলে কয়লা, বালু, সারসহ সকল মালামালের ড্যাম্প আবাসিক এলাকায় গড়ে তোলার কারণে প্রতিনিয়ত মানুষের শ্বাস কষ্ট জনিত রোগ বেড়ে চলেছে। এলাকার একাধিক ব্যক্তিরা দাবি করে জানিয়েছেন, অনতিবিলম্বে ব্যবসায়ীদের ভারি যানবাহন চলাচল বন্ধসহ কর্তৃপক্ষের নিদিষ্ট ধারণ ক্ষমতার মধ্যে যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা করে দেওয়া হোক। অন্যথায় আমাদের বেঁচে থাকা দুষ্কর হয়ে পড়েছে।
এবিষয়ে ৫নং শ্রীধরপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুল্লাহ জানান, ভারি ভারি যানবাহন ট্রাকগুলো ধারণ ক্ষমতার অধিক বহন করে চলাচলের কারণে আমার এলাকার একটি রাস্তা দিয়েও সাধারণ মানুষ চলতে পারেনা, এলাকা ধুলাবালিতে সয়লাব, ঐ সব রাস্তাগুলোর সাথে পানিসরা কালভার্ট গুলোও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এবিষয়ে কথা বলার জন্য উপজেলা প্রকৌশলী এম. ইয়াফি’র ০১৭০৮১৬১৪৭৯ মুঠোফোনে কল করলেও তিনি কল রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।