• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    গোখরা সাপের সাথে বসবাস

      প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২৩ , ১১:৫২:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

    ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি:

    ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলা সদরে গোখরা সাপের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। রাস্তায় হাঁটলেই সাপের ছোট ছোট বাচ্চা চোখে পড়ে বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। এতে রাস্তায় চলাচলকারী মানুষ ভয় পাচ্ছে। উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুদর্শন নামের এক রাখাল যুবক ৯ নভেম্বর সকালে উপজেলা সদরের দত্তপাড়ার একটি মাঠে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় তিনটি সাপের বাচ্চাকে ইটের স্তূপের ওপর রোদ পোহাতে দেখেন। পরে তিনি দুটি সাপের বাচ্চা মেরে ফেলেন।

    আবারও গরু নিয়ে যাওয়ার সময় আরও তিনটি সাপের বাচ্চার দেখা পান। তখন সুদর্শন তাঁর বাড়ির মালিক কাজল জ্যোতি দত্তকে বিষয়টি জানান। ১১ নভেম্বর উপজেলা সদরে দুজন নারী পথচারী দত্তপাড়ার রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় পাঁচটি সাপের বাচ্চাকে রাস্তার মাঝখানে ফণা তুলে শব্দ করতে দেখেন। তখন ওই দুই নারীর চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এসে তিনটি সাপ মেরে ফেলেন। এ সময় অপর দুটি সাপের বাচ্চা পালিয়ে যায়।

    দত্তপাড়ার মো. ফাহাদ নামের একজন বলেন, তিন-চার দিন আগে দত্তবাড়িতে গোয়ালঘরে হঠাৎ একটি বিষধর সাপের বাচ্চা দেখা যায়। প্রথমে এটা স্বাভাবিক ভেবে কেউ গুরুত্ব দেয়নি। দুই দিন পরই বাড়ির পাশে পুকুরপাড়ে একটি ছোট কালো সাপের বাচ্চা চোখে পড়ে। সাপটি মৃত ভেবে খুব কাছে থেকে মুঠোফোনে ছবি ও ভিডিও ধারণ করেন। তিনি আরও বলেন, ‘হঠাৎ সাপের এই উপদ্রব আমাদের সবাইকে অনেক আতঙ্কিত করেছে। দত্তবাড়িতে আমাদের ১৭-১৮ বছর ধরে চলাফেরা। আগে কখনোই আমাদের নজরে এমন বিষধর সাপ চোখে পড়েনি।’

    দত্তপাড়ায় বেশ কয়েক দিন ধরে কালো রঙের গোখরা প্রজাতির সাপ দেখা যাচ্ছে বলে শুনেছেন উপজেলার আতুকোঁড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সঞ্জয় কুমার দেব। তিনি সবাইকে সাপের বিষয়ে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।

    নাসিরনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) হালিমা খাতুন বলেন, যেখানে সাপ দেখা গেছে, স্থানীয় লোকজন জাল বিছিয়ে ব্লিচিং পাউডার ছিটিয়েছেন। হবিগঞ্জের বন্য প্রাণী সংরক্ষণ বিভাগকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। সেখানে থেকে বিকেলে কয়েকজন এসে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, সাপগুলো দৃশ্যমান নয় এবং এক জায়গায় থাকে না। এখন কিছু করতে গেলে সাপ পুরো উপজেলায় ছড়িয়ে পড়বে।

    বিশেষজ্ঞদের মতে সাপ বসবাস করার অবশিষ্ট শেষ জায়গাটুকুও আজ মানুষের দখলে। যেভাবে প্রাকৃতিক বন ধ্বংস করে বসতি স্থাপন করা হচ্ছে তাতে শুধু সাপ নয়, আমাদের দেশের নানা প্রকারের বন্যপ্রাণী আজ মারাত্মক হুমকির মুখে। বন থেকে বেরিয়ে লোকালয়ে এসে পড়ছে।

    আরও খবর

    Sponsered content