• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    নোয়াখালীতে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী কর্তৃক গ্রাহককে কুপিয়ে জখম, আদালতে মামলা

      প্রতিনিধি ১৭ মে ২০২৩ , ১১:৪০:৪০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

    নোয়াখালী সদর উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের পশ্চিম নরোত্তমপুর গ্রামে গতকাল বেলা ১২ ঘটিকার সময় পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী কর্তৃক গ্রাহককে কুপিয়ে জখম করার অভিযোগে বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ১নং আমলী আদালত, নোয়াখালীতে মামলা করেছেন ভুক্তভোগী মোঃ ফারুক।

    আদালতের পিটিশন মামলা সূত্রে জানা যায় ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের পশ্চিম নরোত্তমপুর গ্রামে রাতে ঝড় বৃষ্টির সময় অলি উল্যাহ মুহুরীর বাড়ির ফারুকের ঘরের উপর নারিকেল গাছ ভেঙ্গে পড়ে পল্লী বিদ্যুতের মিটার বোর্ড থেকে খুলে যায়। তখন ভুক্তভোগী ফারুক বারবার অভিযোগ কেন্দ্রে ফোন দিলে আনুমানিক বেলা ১২ টার সময় পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারী শাকিল ও ইনচার্জ আলা উদ্দিন এসে কে অভিযোগ করেছে জানতে চাইলে ভুক্তভোগী ফারুক এসে অভিযোগ করার কথা জানালে শাকিল ও আলা উদ্দিন কী সমস্যা জানতে চাইলে বিষয়টি সরজমিনে দেখিয়ে সমস্যা সমাধানের কথা বলেন। শাকিল আলা উদ্দিনকে বলেন কাটার দিয়ে লাইন কেটে মিটারটি খুলে নিন। ভুক্তভোগী পল্লী বিদ্যুতের কর্মচারীদেরকে যখন বললেন আমার লাইনে বিদ্যুৎ আছে, লাইট জ্বলে আপনারা শুধু বোর্ডটি ঠিক করে দিন। তখন উত্তেজিত হয়ে শাকিল ও আলা উদ্দিন বলতে থাকেন কাজ আমরা করব না আপনারা করবেন। আমরা করলে মিটার খুলে নিয়ে যাব। নচেৎ ২ হাজার টাকা দিলে মিটার রেখে যাব। এটা শুনে ভুক্তভোগী প্রতিবাদ করলে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারীগণ উত্তেজিত হয়ে ভুক্তভোগী ফারুক এবং ফারুকের স্ত্রীর সাথে অসৌজন্যমূলক আচরন করতে থাকেন। এক পর্যায়ে মারমূখী আচরণ করে তেড়ে গিয়ে আশ পাশে কিছু না পেয়ে ফারুকের ঘরের সামনে পড়ে থাকা কৃষিকাজে ব্যবহৃত বড় কোদাল দ্বারা ফারুকের বাম পায়ে আঘাত করে। ফারুকের শৌরচিৎকারে পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী শাকিল এবং আলা উদ্দিন দৌড়ে পালিয়ে যায়। তখন উপস্থিত লোকজন এসে সিএনজি যোগে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃ ফারহান আল মুহিব, ভুক্তভোগী ফারুকের বাম পায়ে দুই জায়গায় ১৬টি সেলাই দেন। ফারুক হাসপাতালে যাওয়ার পর পল্লী বিদ্যুৎ কর্মচারী শাকিল এবং আলা উদ্দিন সহ আরও ১০/১২ জন এসে ফারুকের বাড়িতে ফারুকের মিটারটি খুলে নিয়ে যায় এবং বাড়ির অন্যান্য ৫/৬টি মিটারের লাইট কেটে দেয়। এই বিষয়ে সোনাপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার বলাই মিত্রের সাথে মোবাইলে কথা হলে তিনি বলেন, সে নিজে নিজে পা কেটে অন্যের ঘাঁড়ে দোষ চাপাচ্ছে। উনি মামলা করুক, আমরা তখন দেখব। আর ফারুকের ঘর ছাড়া অন্যদের ঘরের মিটারের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেছেন কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন অন্য মিটারের গ্রাহকরা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তামসা দেখছেন তাই সেগুলোও কেটে দেওয়া হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content