প্রতিনিধি ২২ মে ২০২৩ , ৩:১৩:১১ প্রিন্ট সংস্করণ
জেলা প্রতিনিধি বরগুনাঃ
বরগুনায় মিথ্যা মামলা দিয়ে সাবেক স্ত্রীকে হয়রানির করছেন সাবেক স্বামী, এমনই অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী ওই নারী। সাবেক স্বামীর হয়রানি থেকে পরিত্রাণ চেয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিন সন্তানের জননী ভুক্তভোগী শারমিন বেগম।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সদর উপজেলার ৬নং বুড়িরচর ইউনিয়নের আকন মার্কেট এলাকার জনৈক ফটিক গাজীর ছেলে ইব্রাহিম গাজীর সাথে ইসলামি শরিয়ত মোতাবেক বিয়ে হয় ৫নং আয়লা পাতাকাটা ইউনিয়নের বধুঠাকুরানী গ্রামের বেলায়েত আলী মুন্সির মেয়ে শারমিন বেগমের সাথে। দাম্পত্য জীবনে ইব্রাহিম গাজী ও শারমিন বেগমের কোল জুড়ে জন্ম নেয় তিনটি কন্যা সন্তান। ছোট মেয়ে জন্মের পর অর্থাৎ ৯ বছর ধরে ইব্রাহিম গাজী শারমিন বেগমের কোন খোজ খবর না নিয়ে অন্যত্র বসবাস করে আসছেন। তিন মেয়ে নিয়ে অন্যের বাড়িতে কাজ করে জীবন যাপন করে আসছেন শারমিন বেগম। গত এক বছর আগে শারমিন বেগমকে তালাক দিয়ে কোর্টের মাধ্যমে কাবিনের ত্রিশ হাজার টাকাও দিয়ে দেন ইব্রাহিম গাজী। শারমিন বেগম বাবার বাড়িতে ফরায়েজ সুত্রে পাওয়া জমি বিক্রয় করে সদর উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের আকন মার্কেট এলাকায় জমি বায়নাপত্র করে তার মেয়েদের নিয়ে বসবাস করে আসছিলেন। কিন্তু সেখানেও ষড়যন্ত্র করে হয়রানি করছেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শারমিন বেগম ও এলাকাবাসী।
শারমিন বেগমের নামে বায়নাপত্র করা জমির উপর নির্মিত ঘর নিজের দাবী করে, গত ০৮ মে তারিখ সেই ঘর ভাংচুর করে ঘরের মালামাল লুটপাটের অভিযোগ এনে বরগুনা চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেছেন ইব্রাহিম গাজী। অথচ ভাংচুর ও মালামাল লুটপাটের ঘটনা সম্পর্কে কিছুই জানেন না আশেপাশে লোকজন।
ভুক্তভোগী শারমিন বেগম বলেন, আমিও আমার স্বামী ইব্রাহিম গাজী আমরা প্রায় ৯ বছর যাবৎ আলাদা থাকি। আমার তিন মেয়ে এই ৯ বছর যাবৎ লালন পালন করেছে আসছি। আমার ছোট মেয়েটার বয়সও ৯ বছর। গত এক বছর আগে আমার তালাক হয়, আমর স্বামী আমার কাবিনের টাকা দিয়ে দেয় কোর্টের মাধ্যমে, গত ৯ মে আমার প্রাক্তন স্বামী আমাদের নামে একটা মিথ্যা মামলা করেন, আমি বর্তমানে সন্তানদের নিয়ে যে বাড়িতে থাকি এই বাড়ি তার চোখে পরেছে বলে এই নাটকীয় মামলা করেন। গত ৮তারিখ আমার এই বাড়িতে মারধর ও খুন জখমের ঘটনা দেখিয়ে আমাদের তিন জনকে আসামী করে কোর্টে একটি মালা দায়ের করেন মামলা নং ৫৭১/২০২৩(বর)। এই বাড়ি বায়না সুত্রে আমার নামে, আমার বাবার বাড়ির জমি বিক্রি করে এই বাড়ির জমি ক্রায় করি। দুই মেয়ে বলেন, আমরা সব সময়ই বাড়িতে থাকি আমার বাবা আমাদের সাথে থাকেন না। তিনি তার দ্বিতীয় সংসার নিয়ে বরগুনায় একটি ভাড়া বাসায় থাকেন। আমাদের মা’কে এক বছর আগে তালাক দেন আমাদের বাবা, ওই থেকে আমরা মায়ের সাথেই থাকি। গত ৮ তারিখ আমাদের বাড়ি কোনো ঘটনাই ঘটেনি কারন বাবা এক বছর হলো এই বাড়িতে আসেন না।
শারমিন বেগমের দুলাভাই ছালাম পহলান বলেন, আমি আমার শালির কোনো ব্যাপারেই কথা বলি না, আমার বাড়ি পাশাপাশি হওয়াতেও আমি তার বাড়ি কখনোই আসি না, তারপরও আমার নামে ইব্রাহিন গাজী মিথ্যা একটি মামলা দায়ের করছে বরগুনা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টে। ভুক্তভোগীর ভাই আবু সালেহ বলেন, আমার বাড়ি ৫নং ইউনিয়নের বধু ঠাকুরানী। আমি হত ৮ তারিখ আমার বাড়িতে ছিলাম ওই দিন আমার স্ত্রী অসুস্থ ছিলো আমার স্ত্রী একজন প্রতিবন্ধী আমার ছেলে মেয়ে নেই, আমার তিন ভাগিনী কে আমার মেয়ের মত করে লালনপালন করে বড় করেছি। ভাগনীদের পাশে থাকার কারনে আজ মামলার শিকার হতে হয়েছে আমাকেও। ইব্রাহিম গাজীর সাথে বারবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও দেখা না পাওয়ায় যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।