• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • জাতীয়

    শাল্লায় খোদ ইউপি সদস্যের স্ত্রী ও বোনের নামে ভিজিডি কার্ড ! এলাকায় চাঞ্চল্য

      প্রতিনিধি ২৯ মে ২০২৩ , ১:০৭:২৫ প্রিন্ট সংস্করণ

    শাল্লা (সুনামগঞ্জ)প্রতিনিধি-

    সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের এক সদস্য তাঁর স্ত্রী ও বোনের নামে ভিজিডি কার্ড করায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। গেল ৪ মাসের ভিজিডি’র চালও উত্তোলন করা হয়েছে তাদের নামে। সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর খাদ্য সহায়তা প্রকল্পের আওতায় ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য
    সহায়তা প্রদান করা হয়। কিন্তু সেই দরিদ্রদের জন্য ভিজিডি’র বরাদ্দ কার্ড করায় ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির আশ্রয় নিয়েছেন আটগাঁও ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের মেম্বার নূরুল হক।
    অনুসন্ধানে জানা যায়, উপজেলার আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ডের নির্বাচিত মেম্বার নূরুল হক ২০২৩-২৪ চক্রে মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তর থেকে ইস্যু করা ৫৯নং কার্ডটি তার স্ত্রী খালেদা খানম কলি ও আপন বোন মোছাঃ তাহেরা আক্তারের নামে ৬নং কার্ড ইস্যু করেছেন। অনুসন্ধানে জানা যায়, বৈবাহিক সূত্রে মেম্বার নূরুল হকের বোন তাহেরা আক্তার নেত্রকোনার খালিয়াজুড়ি উপজেলার কৃষ্ণপুর ইউনিয়নের কল্যাণপুর
    গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা। ওই ইউপি সদস্য উক্ত ভিজিডি কার্ডের আওতায় তার স্ত্রী ও বোনের নামে প্রতি মাসে ৬০কেজি করে চালও তুলছেন। ইতোমধ্যে তিনি ৪ মাসের চাল উত্তোলন করে ফেলেছেন এরই মধ্যে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক দুঃস্থ মহিলা বলেন, চেয়ারম্যান মেম্বারা আমাদের নামে কোন কার্ড করতে চায় না। যারা টাকা দিতে পারে তাদের নামেই কার্ড হয়। নূরুল হক মেম্বার তার আত্মীয় স্বজনের মধ্যেই সব ধরনের সরকারী সুযোগ সুবিধা দিয়ে থাকে। চেয়ারম্যান মেম্বারেরা যাদের কাছ থেকে টাকা নেয় তাদেরকে বলে কোনোদিন যেন মূখ না খুলে। যদি কেউ মুখ খুলে তাহলে ভবিষ্যতে কিছু পাবেনা। আর এ ভয়েই ওইসব প্রান্তিক জনগোষ্টি সর্বদাই নিরব থাকে বলেও
    জানান এলাকার সচেতন মহল। এ নিয়ে আটগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের ৭নং ওয়ার্ড সদস্য নূরুল হকের সাথে মুঠোফোনে
    কথা হলে প্রথমত তিনি বিষয়টি অস্বীকার করেন। পরে নাম ও কার্ড নাম্বার উল্লেখ করলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে তিনি বলেন, মেম্বারের স্ত্রী ও বোন কি গরীব হতে পারেনা।
    এ বিষয়ে আটগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আন্ নোমান বলেন, আমার একার পক্ষে সবকিছু দেখা সম্ভব নয়, যদি সত্যিই এটা হয়ে থাকে, তাহলে অনিয়ম হয়েছে। শাল্লা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেবের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে
    তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ নিয়মবহির্ভূত কাজ। উনার স্ত্রী ও বোন দুঃস্থ ও অসহায় কিনা ? তা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content