প্রতিনিধি ৮ জুন ২০২৩ , ১১:৩৩:০৯ প্রিন্ট সংস্করণ
ইবি প্রতিনিধি:
ব্যংক কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ কর্তৃক হামলার শিকার হওয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) শিক্ষক প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান নিজ ও নিজ পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার, শিক্ষক সমিতি ও প্রক্টর বরাবর ৩টি পৃথক আবেদন করেছে। বুধবার (৭ জুন) বিকালে লিখিতভাবে এ আবেদন জানান তিনি। একই সঙ্গে বিষয়টির সদ্য অবগতি ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণেরও অনুরোধ করেন তিনি।
আবেদন পত্রানুসারে, ২০২১ সাল থেকে পরিবারসহ হাউজিং ডি-৪৭০ নং বাসায় ভাড়ায় থাকে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আল হাদিস এন্ড ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান। প্রতিদিনের মতো ৫:৫০ মিনিটে বাসার পাশে হাউজিং ডি-ব্লক এবং সি-ব্লকের মাঝামাঝি রাস্তায় তিনি হাটছিলেন। এমতাবস্থায় সি ব্লকের (কুষ্টিয়া কৃষি কলেজের) সামনে আসা মাত্রই হাউজিং D- ব্লকের ১৬৭ নং প্লটের বাসিন্দা মোঃ সোহেল মাহমুদ তার উপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং শারীরিকভাবে আঘাত করে। সোহেল মাহমুদ অগ্রণী ব্যংক কুষ্টিয়ার চোরহাঁস শাখার প্রিন্সিপাল অফিসার। পরে সেখান থেকে ড. মোস্তাফিজ কোন রকম নিজেকে রক্ষা করে তার সহকর্মী প্রফেসর ড. মোঃ কামরুল হাসান ও প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল বারীকে ফোন করে।তারা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর প্রফেসর ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদকে জানায়।
পরে প্রক্টর সহকারী প্রক্টর ড. মোঃ হুমায়ুন শাহেদকে তার কাছে পাঠালে তাঁর সহযোগীতায় কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ১০ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি করানো হয় তাকে। কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করে পরবর্তী ব্যবস্থাপত্র দিয়ে তাকে বাসায় পাঠিয়ে দেন । বর্তমানে তিনি ডাক্তারের তত্ত্বাবধানে বাসায় চিকিৎসাধীন আছে। হামলাকারী ওই ব্যাংক কর্মকর্তা প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমানসহ পাঁচজন শিক্ষকের নির্মাণাধীন বিল্ডিং এর প্রতিবেশী।
এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. তপন কুমার জোদ্দার বলেন, এ বিষয়ে একটি আবেদন পত্র পেয়েছি। ক্যাম্পাস বন্ধ থাকায় শিক্ষক সমিতির বিভিন্নজন বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান করছেন। ক্যাম্পাস খোলার পর আমরা বিষয়টি নিয়ে বসবো।
এর আগে ৭ জুন ২০২২ ইং তারিখ আনুমানিক বিকেল ৬.৪৫ মিনিটে ড. মোস্তাফিজ ও তার সহকর্মী প্রফেসর ড. মো: আব্দুল বারী উক্ত সন্ত্রাসীর দ্বারা আক্রান্ত হয়েছিল বলে অভিযোগ তাদের। এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়ে গত ৮ জুন ২০২২ ইং তারিখে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর তিনি লিখিত অভিযোগ প্রদান করে।