• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    অভয়নগরে পুলিশের সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে মাদক ব্যবসার ছড়াছড়ি

      প্রতিনিধি ১০ জুন ২০২৩ , ১২:৩২:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    বিশেষ প্রতিনিধি

    যশোরের অভয়নগরে পুলিশের সোর্সদের নিয়ন্ত্রণে মাদক ব্যবসার ছড়াছড়ি। তথ্য অনুসন্ধানে জানা গেছে, ইয়াবা, ফেনসিডিল, গাঁজাসহ বিভিন্ন ধরনের মাদক ব্যবসা এখন অভয়নগর থানা পুলিশের সোর্সেরা নিয়ন্ত্রণ করছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, থানার সোর্সেরা আসামি ধরার নামে পুলিশের সঙ্গে গাড়িতে ঘুরে বেড়ান। যে কারণে সোর্সরূপী মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে অভিযোগ করেও কোনো প্রতিকার পাওয়া যাচ্ছে না। এ অবস্থার কারণে উপজেলার সব স্থানে মাদকের ছড়াছড়ি। সংশ্লিষ্ট সূত্র বলছে, অপরাধী গ্রেফতারে নানা তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহযোগিতা করাই সোর্সের কাজ। পুলিশ এসব সোর্স নিয়োগ করে অপরাধীদের মধ্য থেকেই। বিনিময়ে তারা অর্থনৈতিক সুযোগ-সুবিধা পায়। কিন্তু সোর্সেরা অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীদের ধরিয়ে দিয়ে নিজেরাই ব্যবসা শুরু করছেন। এরা মাঝে মধ্যে বিরোধী গ্রুপের দু-চার জনকে গাঁজা, ইয়াবা, ফেনসিডিলসহ ধরিয়ে দিয়ে নিজেদের ব্যবসা নিরাপদ রাখেন। এই থানার কতিপয় দু’একজন অসাধু পুলিশ কর্মকর্তাদের ছত্রছায়ায় ঐসব সোর্সরা বেশ কিছু মাদকের স্পট গুলোতে বহালতবিয়তে রমরমা মাদকের কারবার করে আসছে। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে, ভৈরব সেতুর আশপাশের এলাকা, চেংগুটিয়া ঘাট এলাকা, দেয়াপাড়া, শংকরপাশা, লেবুগাতী ব্রিজ এলাকা,ধোপাদী, ভাঙ্গাগেট, লক্ষিপুর, আলীপুর, চলশিয়া, বারান্দি, রানাগাতি, সিদ্দিপাশা, রাঙ্গার হাট, গোপিনাথপুর, মথুরাপুর, হরিশপুর, বর্ণি, কামকুল, প্রেমবাগ, জিয়াডাঙ্গা,আমডাঙ্গা,পায়রাসহ নওয়াপাড়া পৌরসভার ড্রাইভারপাড়া,কলোনি এলাকা, হাজি সাহেবের বাফার ঘাট, মালেক হাজির গোডাউনের পেছনে রেললাইনের উপর, রেলওয়ে কোয়ার্টার এলাকা, প্রফেসরপাড়া, বুইকরা হাসপাতাল এলাকা, রাজঘাট, তালতলাসহ বিভিন্ন এলাকার সোর্সেরা সরাসরি মাদক সেবন ও ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। পুলিশের গাড়িতে চলাফেরার কারণে তাদের বিরুদ্ধে মানুষ ভয়ে মুখ খোলে না। এমনকি অনেক সময় সোর্সরা নিজেকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে অনেক অপকর্ম করে। আরও জানা যায়, অস্ত্র ও মাদক উদ্ধারে সাধারণত পুলিশের সোর্স প্রয়োজন হয়। এজন্য পুলিশের নিয়মিত বাজেটের একটা বড় অংশ সোর্সমানি হিসেবে বরাদ্দ রয়েছে। তবে এ সোর্সমানির টাকা কখনো সোর্সদের দেওয়া হয় না। তারা এলাকায় পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা করেই তাদের পাওনা পুষিয়ে নেন। আর এ কারণে সোর্সেরা কখনো ওই টাকা দাবিও করেন না। প্রতিনিয়ত তারা গাঁজা, ফেনসিডিল ও ইয়াবা ব্যবসার মাধ্যমে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন। সন্ধ্যার পর এদের তৎপরতা বাড়ে। রাতে গ্রাহকরা ভিড় করে সোর্সদের কাছে নিরাপদে মাদক ক্রয়ের জন্য। এ বিষয়ে কেউ প্রতিবাদ করলেই তাদের ওপর নেমে আসে নির্যাতন ও মামলা হামলার মতো ঘটনা। ফলে সোর্স ছাড়া অন্য কেউ যদি মাদক ব্যবসা করে তাহলে তাকে নিয়মিত মাসোহারা দিয়েই এসব কাজ করতে হয় বলে উপজেলার একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে। মাদক ও অস্ত্র মামলায় একাধিকবার পুলিশ ও র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিও এখন পুলিশের সোর্স হিসেবে পরিচয় দেয় বলে জানা যায়। এবিষয়ে অভয়নগর থানার অফিসার্স ইনচার্জ এবিএম মেহেদী মাসুদ বলেন, এ ধরনের অভিযোগ আমার জানা নেই। তবে তথ্য প্রমাণ পেলে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content