• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজধানী

    পুকুরিয়ার সামছেল হত্যাকান্ডে নতুন মোড় খুনের আসল রহস্য ফাঁস ১৫ লাখ টাকা হজমের চেষ্টা

      প্রতিনিধি ২০ জুন ২০২৩ , ২:২১:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদক :

    ভাঙ্গা পুকুরিয়ার সামছেল মোল্যা হত্যাকান্ডের ঘটনায় নতুন মোড়। ১৫ লাখ টাকায় সামছেল হত্যাকান্ডের ঘটনা হজম করার ব্যর্থ চেষ্টা। জানাযায়, ৩,৫২,০০০ হাজার টাকা লুট করতেই ছেলে ধরার নাটক সাজিয়ে কুঁপিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করা হলো ৪ সন্তানের বাবাকে। শেষ পর্যন্ত ফাঁস হলো কথিত ছেলে ধরার নামে গণপিটুনি দিয়ে হত্যার খায়েশী নাটকও।

    আসল রহস্য ফাঁস করলো নিহতের স্ত্রী ঝর্না বেগম। তিনি ২০/২৫ জন গনমাধ্যমকর্মীর সামনে এক মানবব্ধনের মধ্য কান্না জড়িত কন্ঠে আরে বলেন, আমার স্বামীর ঘনিষ্ট বন্ধু পাভেল মীরের সাথে জমির বিক্রীর টাকা কোমরে গুজে নিয়ে বের হওয়াই স্বামীর কাল হলো। । কাহারা কি কারনে আমার স্বামী খুন করছে এতদিন ভাঙ্গা থানার ওসির ভয়ে সাংবাদিক ভাইদের বলতে পারেননি।

    জমির বিক্রীর করার এককালীন এতগুলো টাকা পাওয়ায়, নিহত সামছেল এর বন্ধুরা পাভেল তার ভাই আবুবকর মীর গংরা মিষ্টি খাবার ছলে পুর্বপরিকল্পিতভাবে ঐ টাকা সহ পুকুরিয়া পেট্রোল পাম্পের মধ্যেই নিয়ে যায়। সেখানে ঐ টাকা লুট করতে গিয়ে ছেলে ধরার নাটক সাজানো হয়।

    স্বামীর উপর অনেক অত্যাচারের পর দারালো অস্ত্রের আাঘাতে ক্ষবিক্ষত কর হয় সামছেল মোল্যাকে। জীবন বাঁচাতে ঘটনার স্হান ছেড়ে দৌড়ে পুকুরিয়ার বাস ষ্টান্ডের কিরন শীলের সেলুনে ডুকলেও শেষ রক্ষা হয়নি তার। এর মধ্যেই ১৪/১৫ জন লোক সেলুনের ক্ষুর ও কাঁচি দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থানে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে শরীর থেকে প্রচন্ড রক্ত ক্ষরন ঘটায়। নিরব নিহত দেহটি ফেলে সব টাকা লুট নিয়ে যায় অনেকে। সামছেলের নিহত দেহটি ফরিদপুর মেডিকেলে নিলে কর্ত্যব্যরত চিকিৎসক মৃত্যু বলে ঘোষনা করে। উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।

    সামছেল মোল্যার স্ত্রীর দাবি আমি আমার শাশুড়ি, আমার ছোট সতীন বহুবার থানায় গেলেও থানার ওসি মাতুব্বরদের মাধ্যমে ছেলে ধরার ঘটনায় গণপিটুনিতে স্বামী নিহত হওয়ার ঘটনা মিটমাট করে ফেলতে বলেন। আমি যাদের নামে এজার দিয়েছি ওসি সাহেব সেই মামলা নেননি। ৩/৪ দিন ঘুরলেও থানায় মালনা নেয়নি বলে ঝর্নার অভিযোগ।

    এরপর ঘটনার ৬ দিন পর ভাঙ্গা পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাত নামা ১০০/১২০ জনকে আসামি দেখিয়ে একটি মামলা করেন মামলা নং ৪০/১৩৮ । পাশা-পাশি নিহতের বড় স্ত্রী ঝর্না বেগম বাদী হয়ে ফরিদপুর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আমলী আদালতে ১৭ জনকে আসামি করে একটি নালিশি আবেদন করেন। বিজ্ঞ আদালত বিষয়টি স্থানীয় পিবিআইকে মামলাটি তদন্তের দায়ীত্ব দেন। নালিশি ভাঙ্গা সিআর মামলা নং ১৮৩/২৩। এই বিষয় গনমাধ্যমের সাথে কথা ভাঙ্গা থানার মামলার বাদী অপূর্ব কুমার বাইনের সাথে তিনি বলেন একজন আসামি আটক হয়েছে।

    নিহত ব্যক্তির কিছু টাকা উদ্বার হয়েছে টাকা বাদী নিতে পারবে। জানা গেলোঐ টাকা জব্দ দেখানো হয়নি। কথা হয় ভাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জের সাথে তিনি গনমাধ্যমকে বললেন, যেহেতু নিহতের দুই বউ এবং মা আছেন, কেউ থানায় মামলা দেননি। তাদের বহু অনুরোধ করছি মামলা করতে তারা মামলা দেয়নি বিদায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করছেন।
    তবে এই হত্যাকান্ডের ঘটনায় থানায় এবং পিবিআইতে দুটি তদন্ত চলমান। পুলিশ জানিয়েছে ঘটনাস্থল থেকে কিছু টাকা উদ্বার হয়েছে। বাদীনি বললেন, এক লাখ টাকা। কিন্ত একলাখ টাকা উদ্বার হওয়ার বিষয় বিজ্ঞ আদালতে জানাননো বলে বাদীর আইনজীবী গনমাধ্যমকে জানিয়েছেন। এই রহস্যের হেতুবাদ কি।

    এই ঘটনার পিছনে ১৫ লাখ টাকা উড়ে এসে টোটাল হত্যাকান্ডের ঘটনা ফ্রী হয়ে থাকলেও সংবাদকর্মীদের সংবাদে তা আবার তাজা হয়ে উঠছে।

    আরও খবর

    Sponsered content