প্রতিনিধি ২৪ জুন ২০২৩ , ৪:২৫:৪৩ প্রিন্ট সংস্করণ
(বিশ্বনাথ প্রতিনিধি)::
গরিব অসহায়দের চিকিৎসা সেবার একমাত্র ভরসাস্থল সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। সেই ভরসাস্থলেও সঠিক সেবা নেই পাচ্ছেন না ইমারজেন্সি সেবা। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে বর্তমানে ডায়রিয়া, জ্বর ও সর্দি-কাশি রোগে শিশুরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। তাই চিকিৎসার জন্য অসহায় এসব রোগী চলে যায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সেখানে ভাগ্য ভালো হলে দেখা মিলে ডাক্তারের। ফ্রীতে পাওয়া যায় না ওষুধ, অভিযোগ পাওয়া গেছে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ইমারজেন্সি সেবা পাওয়া যেনো সোনার হরিণ, মধ্যে রাতে ইমারজেন্সি বহি বিভাগ ত্যাগ করেন কর্মরত চিকিৎসক ও নাইটগার্ড। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এমন অভিযোগ নিত্যদিনের। রোগীদের সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে রাজার হালে এ হাসপাতালে চাকরি করছেন কর্মকর্তারা।
গত ২০১৮ সালে সরকার মানুষের চিকিৎসাসেবার জন্য ৩১ শয্যার এ হাসপাতালকে প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয় করে ৫০ শয্যায় উত্তীর্ণ করে। কিন্তু সেখানে সেবাবঞ্চিত হচ্ছেন অসহায় মানুষ। এ হাসপাতালে ডাক্তার আছে, রোগীও আছে- নেই শুধু চিকিৎসাসেবা।
২৩/৫/২০২৩ইং শুক্রবার সকাল ৫:৩০ মিনিটে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়,জরুরী বিভাগের দরজায় থালা ঝুলে আছে,জরুরী সেবা মুঠোফোন টিও বন্ধ, পাওয়া যায়নি হাসপাতালে পহরি কেও।
উপজেলার কাদিপুর,দশদল, রামপাশা,আজিজনগর,চক রামপ্রসাদ, আমতৈল, গ্রামের সচেতন মহলে সাথে কথা বলে জানা যায় চিকিৎসার মান নিয়ে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছেন,তারা বলেন আমাদের এলাকায় সামান্য বিষয় নিয়ে হাত পা,মাথায়, আঘাতপ্রাপ্ত হলে জরুরী সেবার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্মরতরা চিকিৎসা সেবা না দিয়ে,রেফারেন্স করেন সিলেট ওসমানী মেডিকেল হসপিটাল সহ বেসরকারি হসপিটালে
এছাড়া উক্ত হাসপাতালে ভর্তি রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত পচা ভাসি খাদ্য,নাস্তা সরবরাহ করা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে,
হাসপাতালের ইমারজেন্সি এম্বুলেন্স সার্ভিস পাওয়া যেনো গরীবের জন্য সপ্ন, এম্বুলেন্স সার্ভিসের জন্য কল করা হলে কল রিসিভ হয়না বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা
অভিযোগ করেন বিশ্বনাথ নতুন বাজারে ব্যবসায়ী টিপু হঠাৎ অসুস্থ হয়ে শুক্রবার ভোরবেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গেলে কোন কর্তব্যরত সরকারী ডাক্তারের দেখা পাননি ভোরবেলা আশা ইমারজেন্সি রোগীর আত্মীয় স্বজনরা হাসপাতালের পাশে চায়ের দোকানে জিগ্যাসা করা হলে তারা বলেন রাত গভীর হলে ডাক্তাররা হাসপাতালে ডরমিটরিতে শুয়ে থাকেন, মোবাইল বন্ধ করে। ইমারজেন্সি সেবা নিতে আসা রোগীরা হতাশ হয়ে ব্যাগ পেতে হয় বেশীরভাগ সময়
এমন অভিযোগের বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন সুমন কে মোট ফোনে কল করে পাওয়া যায়নি। এরপর স্বাস্থ্য কেন্দ্রের আবাসিক চিকিৎসক ও
কর্মরত নাইটগার্ড কে হাসপাতালে পাওয়া যায়নি