• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    রাজশাহী গোদাগাড়ীতে এমপির নামে শিক্ষকের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ

      প্রতিনিধি ২৫ জুন ২০২৩ , ২:০৪:২২ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো: আকাশ ইসলাম রাজশাহী জেলা প্রতিনিধি

    রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে তিনিটি পদে রাজশাহী-১ (গোদাগাড়ী-তানোর) আসনের সংসদ সদস্য ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম ভাঙ্গিয়ে মোটা অংকের নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। এই নিয়োগ বাণিজ্যে মূল হোতা হচ্ছেন ওই স্কুলের সহকারী ধর্মীয় শিক্ষক ও উপজেলা আওয়ামী লীগের ধর্মীয় বিষয়ক সম্পাদক মাও. আবুল কালাম আজাদ। স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি মতিউর রহমানকে কজ্বায় রেখেই প্রার্থীদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে নিয়োগ দিতে মরিয়া হয়ে উঠেছে আবুল কালাম আজাদ।
    এলাকাবাসী বলছেন, এমপির নাম ভাঙ্গিয়ে আবুল কালাম আজাদ তিনটি পদে প্রার্থীদের নিকট থেকে প্রায় ৩৪ লাখ ৫০ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। এমপি এসব বিষয়ে জড়িত থাকেন না বলে আমরা জানি। ২২ জুন তিনটি পদে নিয়োগে গোপনে মোটা অংকের টাকা নেওয়া হচ্ছে বিষয়টি জানতে পেরে স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলী গত ২০ জন স্কুলের প্যাডে জরুরী নোটিশ জারি করে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা অনিবার্য করণ দেখিয়ে পরীক্ষা স্থগীত করে।
    পরীক্ষা স্থগিতের নোটিশ জারি করার পর আবুল কালাম আজাদ নিজের রাজনৈতিক প্রভাব খাটিয়ে যেকোন মূল্যে নিয়োগ প্রক্রীয়া সম্পন্ন করা হবে বলে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে। পরে গোদাগাড়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দুলাল আলমকে লাখ টাকার বিনিময়ে ম্যানেজ করে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোজাহার আলীকে নিজের অফিসে ডেকে চাকরীচুত্য কারা হুমকি দেন।
    নাম গোপন রাখা শর্তে একাধিক শিক্ষক জানান, শিক্ষা অফিসার দুলাল আলম ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে তার অফিসে ডেকে আবুল কালাম আজাদের উপস্থিতিতে বলেন, স্থানীয় এমপি আমাকে নির্দেশ দিলে আপনার চাকরী থাকবে না। শিক্ষা অফিসার দুলাল আলম নিজে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষককে প্রস্তাব দেয় কিছু টাকা নিয়ে নিজেদের মধ্যে ভাগবন্টন করে নিয়ে নিয়োগ প্রক্রীয়া সম্পন্ন করতে। হুজরাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে গত ২১ জুন নিয়োগ সংক্রান্ত জরুরী মিটিংয়ে প্রতিষ্ঠানের জন্য ৪ লাখ টাকা রেখে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি ফাইনাল হয়।
    সেই মোতাবেক পূর্ব নির্ধারিত প্রার্থীদের ঠিক রেখে নামমাত্র গত ২২জুন স্কুলে তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এতে নিরাপত্তা প্রহরী পদে বাউটিয়া গ্রামের জাহিদ আলী, আয়া পদে পাতিয়াপুকুর এলাকার আন্না সরেন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে হুজরাপুর গ্রামের সাদিকুল মেম্বারের ছেলে সেলিম রেজাকে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ করা হয়েছে। এসব বিষয়ে শিক্ষক মাও. আবুল কালাম আজাদের কাছে জানতে চাইলে টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা। নিয়োগের বিষয়ে এমপি জানে কিনা জানতে চাইলে বলেন, এই নিয়োগ বিষয়ে এমপি মহোদয় কিছুই জানেন না।
    উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা আফিসার দুলাল আলমের সাথে গত দুইদিন থেকে মোবাইলে ফোনদিয়ে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে এসএমএস করা হলেও নিশ্চুপ থাকে।
    স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপত মতিউর রহমান বলেন, টাকার বিনিময়ে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে না। অনেকে অনেক কথায় বলতে পারে। পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়ম অনুযায়ী নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়েছে।

    আরও খবর

    Sponsered content