• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • খুলনা

    নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক মফিজুরের কান্ড

      প্রতিনিধি ৯ জুলাই ২০২৩ , ৯:৫১:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মোঃ কামাল হোসেন, বিশেষ প্রতিনিধি

    ভোকেশনাল বিভাগের এক টেকনিক্যাল শিক্ষকের কান্ড!শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে প্রতিনিয়ত খেয়ে চলেছেন চা-বিস্কুট,পান-সুপারিসহ সকালের নাস্তা। বলছিলাম,যশোরের অভয়নগরের ঐতিহ্যবাহী নওয়াপাড়া শংকরপাশা সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ভোকেশনাল বিভাগের সহকারী শিক্ষক (টেকনিক্যাল) মো: মফিজুর রহমানের কথা। তথ্য অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে তার বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ। শিক্ষার্থীদের মানসিক চাপ প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের জিম্মি করে কোচিং বাণিজ্য করাসহ তাদের কাছ থেকে গ্রহণ করে চলেছেন হাজার হাজার টাকা। প্রতিনিয়ত শিক্ষার্থীদের জিম্মি করে খেয়ে চলেছেন চা-বিস্কুট,পান-সুপারিসহ প্রতিদিনের সকালের নাস্তা। এসএসসি পাশের পর তিন বছর মেয়াদী ডিপ্লোমাধারী এই শিক্ষক শিক্ষার্থীদের পড়ান গণিত ও পদার্থ বিজ্ঞান বিষয়। বছরে একদিনও করেননি ব্যবহারিকের কোনো ক্লাস অথচ ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাশের নিশ্চয়তা দিয়ে গ্রহণ করেন টাকা-পয়সা এবং উপহার সামগ্রী। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০২২সালের একজন (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) পরীক্ষার্থীর কাছ থেকে গ্রহণ করেন একটি শার্ট, পরে বিদায়ী দিনের ক্লাসের মধ্যে তার কাছ থেকে আদায় করেন একটি প্যান্ট। ওই শিক্ষার্থী জানান, খুব কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে তার ওই শিক্ষককে শাট-প্যান্ট কিনে দেন। ইব্রাহিম হোসেন নামের একজন শিক্ষার্থী জানান, ব্যবহারিক পরীক্ষায় পাশের জন্য তার কাছ থেকে গ্রহণ করেন একটি পানজাবী। মনিরামপুর উপজেলার হানুয়ার গ্রামের বাসিন্দা টেকনিক্যাল শিক্ষক মো: মফিজুর রহমান নওয়াপাড়া শহরের প্রাণ কেন্দ্রে গড়ে তুলেছেন চারতলা একটি ভবন। ওই ভবনের দ্বিতীয় তলায় কোচিং বাণিজ্য করে বছরে আয় করেন লাখ লাখ টাকা। সকাল সাতটায় শুরু করে প্রথম ব্যাচের কোচিং চলে আটটা পর্যন্ত। আটটায় শুরু করেন দ্বিতীয় ব্যাচের ক্লাস, সেটি শেষ হয় নয়টায়। দুই ব্যাচে ক্লাসের নবম শ্রেণির ৩০-৩৫জনকে পড়িয়ে মাসে আয় করেন ৩০-৩৫হাজার টাকা। তথ্য অনুসন্ধানে আরো জানা গেছে ওই শিক্ষক স্কুলে ১মে ১৯৯৮ সালে যোগদান করেন, দীর্ঘ চাকরির পাশাপাশি করেছেন, নওয়াপাড়া মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে আলিশান ৪র্থতলা বাড়ি। তথ্য সূত্রে একাধিক শিক্ষার্থী অভিযোগ করে জানান, একজন শিক্ষার্থী মাসে ২-৪দিন পড়লেও তার কাছ থেকে আদায় করা হয় ধার্যকরা মাসের সমুদয় টাকা। টাকা দিতে অস্বীকার করলে ওই শিক্ষার্থীদের বেত দিয়ে পেটানো হয়। ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থী জানান, বেত দিয়ে পেটানো সরকারিভাবে নিষেধ থাকলেও ওই শিক্ষক সেই নিয়ম উপক্ষো করে টাকা আদায়ে বেতের ব্যবহার করেন প্রতিনিয়ত। কোচিং বাণিজ্য করানোর ঘরের মধ্যে হোয়াইট বোর্ডের নীচে লুকানো থাকে বেতের লাঠি। ওই শিক্ষকের এধরণের কর্মকান্ডে ভয়ে মুখ খোলেনা কোনো শিক্ষার্থী। ব্যবহারিক পরীক্ষাসহ পাসের জন্য নিরব থাকে শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিদিন সকালে ওই শিক্ষকের নাস্তার তালিকায় থাকে রুটি,পরোটা, ডিম-ডাল ও দুধ চা। সকালের এই নাস্তা সরবরাহ করতে হয় শিক্ষার্থীদের। তানভীর নামের এক শিক্ষার্থী জানান, কোচিংবাজ ওই শিক্ষকের স্ত্রী নওয়াপাড়া শহর থেকে ৭-৮কিলোমিটার দূরে অবস্থিত অন্য একটি বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। তার কোনো জরুরী কাগজপত্র প্রয়োজন হলে প্রাইভেট পড়তে আসা এসব শিক্ষার্থীদের সেটা পৌঁছে দিতে হয়। তাছাড়া তার চারতলা বাড়ি নির্মাণে ব্যবহৃত ইটের কাজও শিক্ষার্থীদের দিয়ে করানো হয়। শিক্ষার্থীদের দেয়া এসব অভিযোগ সম্পর্কে টেকনিক্যাল শিক্ষক মো: মফিজুর রহমান জানান, এসব অভিযোগ কিছু বাজে শিক্ষার্থীদের ষড়যন্ত্র আমার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ মিথ্যা। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: শহিদুল ইসলাম বলেন, যে অভিযোগের কথা শুনলাম, এটা সঠিক হলে উনি একজন কোচিংবাজ শিক্ষক হিসেবে পরিগণিত হবেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content