• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজশাহী

    বগুড়ায় কাজে আসছে না চার কোটি টাকার ফল মার্কেট!

      প্রতিনিধি ১৪ জুলাই ২০২৩ , ৮:১৮:৫৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    কাউসার মিয়া দিপু জেলা প্রতিনিধি বগুড়া

    যানজটে নাকাল বগুড়ার প্রাণকেন্দ্র সাতমাথায় বসবাসকারীরা। প্রতিদিন ভোর থেকে দুপুর পর্যন্ত সড়ক দখল করে চলে ফল বেচাকেনা। দুই বছর আগে যানজট কমাতে শহরের অদূরে তিনমাথা এলাকায় চার কোটি টাকায় একটি মার্কেট নির্মাণ করা হয়। তবে ব্যবসায়ীদের একটি পক্ষ বলছে, নতুন মার্কেটে পাইকারিভাবে ফল বিক্রি কম হবে। এ কারণে তারা সেখানে যেতে রাজি নন।

    প্রতিদিন ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে জমে উঠে ফল বাজার। শহরের ব্যস্ততম স্টেশন রোডের ওপর ফলের পাইকারি বাজার। এ ফলপট্টিতে স্থায়ী ৩৯টি ও অস্থায়ী আটটি পাইকারি আড়ৎ রয়েছে। প্রতিদিন গড়ে দুই কোটি টাকার বেচাবিক্রি হয় এই বাজারে।

    ফলের আড়তের সামনেই প্রধান সড়ক। সড়কের ওপরই ফলবাহী ট্রাক বা গাড়ি থেকে মালপত্র লোড-আনলোড করা হয়। পাশাপাশি চলে পাইকারি বেচাকেনা। পুরো সড়কই ফল ব্যবসায়ীদের দখলে। এতে সাতমাথা থেকে ফলপট্টি হয়ে রেলস্টেশন কিংবা তিনমাথায় তীব্র যানজট তৈরি হয়। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে অফিসগামী লোকজনকে দীর্ঘ সময় আটকে থাকতে হয় এই যানজটের কারণে।

    মোশারফ আবদুল হান্নান নামে এক ফল ব্যবসায়ী বলেন, তিনমাথা শহর থেকে অনেক দূরে। পাইকারি ক্রেতারা সেখানে যেতে চান না। ভ্যান আর কুলি পাওয়াও কঠিন। তিনি বলেন, কাছাকাছি জায়গা করে দিলে সেখানে গিয়ে উঠবো।

    ব্যবসায়ী আতোয়ার রহমান বলেন, সন্ধ্যার পর ক্ষতি হয়ে যাবে। পাইকারদের কাছ থেকে টাকা কালেকশন করে আড়তে হিসাব করা হয়। এতো টাকা নিয়ে তিনমাথা এলাকায় চলাচল করাও নিরাপদ নয়।

    সমিতির অর্থায়নে তিনমাথা এলাকায় চার কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক মার্কেট নির্মাণ করা হয়। ক্যান্টিন, শৌচাগার, লোড-আনলোডের পর্যাপ্ত জায়গাসহ প্রয়োজনীয় সুযোগ-সুবিধা রয়েছে সেখানে। শহরে ৪৭ জন ফলের আড়তদারের বিপরীতে ৬০টি দোকান বরাদ্দ হয়। এর মধ্যে ৩১ জন ব্যবসায়ী ২ লাখ থেকে ১০ লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। গত ১১ মার্চ মার্কেটটি উদ্বোধন করা হয়। কিন্তু গুটিকয়েক ব্যবসায়ীর কারণে ভেস্তে যাচ্ছে এ উদ্যোগ।

    হোসেন নামে এক ব্যবসায়ী নতুন ফল মার্কেটে সাড়ে ৮ লাখ টাকা জামানত দিয়ে দোকান বরাদ্দ নিয়েছেন। তিনি বলেন, নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করেই দোকান বরাদ্দ নিয়েছি। এখন সেখানে না গেলে অনেক টাকা লোকসান হবে।

    বগুড়া ফল ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি শফিকুল ইসলাম আরফান বলেন, শহরে যে দোকানের ভাড়া ৫০ হাজার, নতুন মার্কেটে তা সাত থেকে আট হাজার টাকা। সবাই এক সঙ্গে গেলে ক্রেতা অবশ্যই আসবে।

    পৌরসভার নির্বাহী কর্মকর্তা শাহাজাহান আলম জানান, নতুন ফল মার্কেট ইজারা দিতে পৌরসভার প্রক্রিয়া চলমান। দুবার বিজ্ঞপ্তি দিলেও কেউ আবেদন করেনি। এবার তৃতীয় দফায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়েছে। ব্যবসায়ীদের অনাগ্রহের কারণেই কেউ ইজারা নেওয়ার আগ্রহ দেখাচ্ছে না।

    বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) স্নিগ্ধ আখতার বলেন, ব্যবসায়ীদের সরিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব পৌরসভার। তবে যানজটের বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক সাইফুল ইসলাম বলেন, বাজার স্থানান্তরের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবসায়ীদের নির্দিষ্ট সময়ে চিঠি দেওয়া হবে। এরপরও তারা না গেলে উচ্ছেদ অভিযান চলবে।।

    আরও খবর

    Sponsered content