• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    তাহিরপুরে পিটিয়ে স্বামী-স্ত্রীর হাত-পা ভেঙে ফেলে প্রতিপক্ষ

      প্রতিনিধি ২৪ জুলাই ২০২৩ , ৩:৩৩:০০ প্রিন্ট সংস্করণ

    তাহিরপুর(সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধি::
    সুনামগঞ্জ জেলার তাহিরপুর উপজেলায় পূর্ব বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন রাস্তায় ফেলে পিটিয়ে স্বামী-স্ত্রীর চার হাত-পা ভেঙে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল (২৩ জুলাই রোববার) সন্ধ্যা ৭ টার সময় উপজেলার সীমান্ত সংলগ্ন ট্যাকেরঘাট গ্রামে।পরে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সুনামগঞ্জ প্রেরণা করে। তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য রাতেই তাদের সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। আহতরা হলেন, আব্দুল গফুর(৪৮) ও তার স্ত্রী হাসেনা খাতুন(৩৫)। আহত আব্দুল গফুর উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বিন্নারবন্দ গ্রামের মৃত আব্দুল হাসিমের ছেলে।

    এ ঘটনায় আজ (২৪ জুলাই সোমবার) দুপুরে আহতর বড় ভাই সফল আলী(৫১) বাদী হয়ে উপজেলার দক্ষিণ বড়দল ইউনিয়নের বিন্নারবন্দ গ্রামের মৃত গিদু মিয়ার ছেলে রইছ মিয়(৪৫) তার ভাই সুকু মিয়া(৫২) ও মঙ্গল মিয়া(৬০) সহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। থানায় লিখিত অভিযোগ ও আহতদের পরিবার সূত্রে জানাযায়, বিন্নারবন্দ গ্রামে মৃত আব্দুল গফুর ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে একই গ্রামের প্রতিপক্ষ মৃত গিদু মিয়ার ছেলে রইছ মিয়ার পরিবারের লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে গতকাল রোববার সন্ধ্যায় ট্যাকেরঘাট বাজার সংলগ্ন আব্দুল গফুরের বসতবাড়ি লাগোয়া রাস্তায় প্রতিপক্ষ রইছ মিয় তার ভাই সুকু মিয়াও মঙ্গল মিয়াসহ ১৫/২০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ রাম দা, রড, বাঁশের লাঠি ও রোলসহ বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রসহ উৎ পেতে থাকে। এ সময় আব্দুল গফুর বাজার থেকে বাড়ি যাওয়ার পথে প্রতিপক্ষ রইছ মিয় তার ভাই সুকু মিয়া ও মঙ্গল মিয়া, ইদ্রিস আলী, ফরসু মিয়া, ছায়েদ মিয়া ও হাসু মিয়াসহ ১৫/২০ জন আব্দুল গফুরের উপর হামলা চালায়। এ সময় আব্দুল গফুরকে লোহার রড, রোল ও বাঁশের লাঠি দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ও বাম হাত ভেঙে ফেলে। তার চিৎকারে তার স্ত্রী হাসেনা খাতুন এগিয়ে এলে সন্ত্রাসীরা তাকেও পিছিয়ে পা ভেঙে ফেলে গুরুতর আহত করে রাস্তায় ফেলে চলে যায় । পরে স্থানীয়রা ও আহতদের পরিবারের লোকজন তাদের উদ্ধার করে প্রথমে তাহিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সুনামগঞ্জ প্রেরণা করে। এবং তাদের অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় রাতেই উন্নত চিকিৎসার জন্য সুনামগঞ্জ থেকে সিলেট উসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ব্যপারে তাহিরপুর থানার ওসি সৈয়দ ইফতেখার হোসেন বলেন, আমি বাহিরে আছি। অভিযোগ ফেলে এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content