প্রতিনিধি ২৬ জুলাই ২০২৩ , ৯:১৩:২০ প্রিন্ট সংস্করণ
আব্দুর রশিদ কলমাকান্দা নেত্রকোনা প্রতিনিধিঃ
নেত্রকোনার কলমাকান্দায় ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস পালিত হয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই কলমাকান্দার নাজিরপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে শহীদ হন সাত মুক্তিযোদ্ধা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, কলমাকান্দা উপজেলা কমান্ড, নেত্রকোনা জেলা কমান্ড ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি পালিত হয়।
দিনব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকালে নাজিরপুর স্মৃতিসৌধে ও লেংগুরা সাত শহীদের মাজারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আশরাফ আলী খান খসরু, স্থানীয় সংসদ সদস্য মানু মজুমদার, সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য হাবিবা রহমান খান শেফালী, জেলা প্রশাসক শাহেদ পারভেজ,জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা অসিত কুমার সজল, পুলিশ সুপার মো. ফয়েজ আহমেদ,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আমিরুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান লিটন,কলমাকান্দা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল খালেক তালুকদার, নারীনেত্রী ক্যামেলিয়া মজুমদারসহ মুক্তিযোদ্ধা ও আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীরা।
পরে লেংগুরা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।জানা যায়, ১৯৭১ সালের ২৬ জুলাই, সকাল সাড়ে ১০টা অথবা বেলা পৌনে ১১টার দিকে কলমাকান্দার নাজিরপুরে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে মুক্তিপাগল বীর সেনারা সম্মুখযুদ্ধে অংশ নেন।
এতে শত্রুপক্ষের আক্রমণে মুক্তিযোদ্ধা ডা. আব্দুল আজিজ, মো. ফজলুল হক, মো. ইয়ার মাহমুদ, ভবতোষ চন্দ্র দাস, মো. নুরুজ্জামান, দ্বিজেন্দ্র চন্দ্র বিশ্বাস ও মো. জামাল উদ্দিন শহীদ হন। পরে শহীদের লেঙ্গুরার ফুলবাড়ি গনেশ্বরী নদীর তীরে ভারত বাংলাদেশ সীমান্তে ১১৭২ নম্বর পিলারের কাছে সমাহিত করা হয়েছে।
সেদিনের ওই যুদ্ধে নাজিরপুর তথা কলমাকান্দা শত্রু মুক্ত হওয়ার পর থেকেই দিনটিকে ঐতিহাসিক নাজিরপুর যুদ্ধ দিবস হিসেবে প্রতিবছর পালন করা হয়।