• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজধানী

    তরুণ শিল্পপতি দেলোয়ার হোসেনের প্রচেষ্টায় বদলে গেল কাদিরদী উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ

      প্রতিনিধি ৩০ জুলাই ২০২৩ , ৫:৩২:১০ প্রিন্ট সংস্করণ

    মুকুল বসু বোয়ালমারী প্রতিনিধি:

    স্বদিচ্ছা থাকলে সমাজের অনেক কিছুই বদলে দেওয়া যায়, তা প্রমাণ করলেন কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের অভিভাবক কমিটির সভাপতি, তরুণ শিল্পপতি, রাজধানীর স্বনামধন্য বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান আমানা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. দেলোয়ার হোসেন। জানা যায়, গত বছরের মাঝামাঝি সময় কাদিরদী দ্বিমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন দেলোয়ার হোসেন। এসময় তিনি প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষক অভিভাবকদের সাথে কথা বলে প্রতিষ্ঠানটির সমস্যাগুলো চিহ্নিত করেন তিনি। প্রতিষ্ঠানটিতে একই সাথে ধরা পড়ে নানাবিধ সমস্যা। প্রথমেই অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে উদ্যোগ নেন তা সমাধানের। সকলের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সফলও হন নানা ক্ষেত্রে। সবচেয়ে বড় বাধা ছিল শিক্ষার পরিবেশ নিয়ে। তিনি বিদ্যালয়টির ঝরে পড়া ও পাঠ গ্রহণের অনাগ্রহী শিক্ষার্থীদের চিহ্নিত করে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে একের পর এক সভা করে তাদের নিয়মিত বিদ্যালয়ে আনার ব্যবস্থা করেন। অভিভাবকদের শিক্ষার সুফল সম্পর্কে বুঝাতে চেষ্টা করেন এতে সুফল আসে। বিদ্যালয়ের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেই তিনি শিক্ষার্থীদের বেতন মৌকুফ করে নিজ অর্থায়নে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা করেন। নিজ অর্থায়নে বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ, দ্বিতল ভবন সংস্কার, গেট নির্মাণ, মাটি ভরাটসহ শিক্ষার পরিবেশ তৈরিতে একাধিক উদ্যোগ নেন। উচ্ছৃঙ্খল ও বখাটে ছেলেদের চিহ্নিত করে তাদের মোটিভেশনাল ওয়ার্কের মাধ্যমে শিক্ষাস্রোতে ফিরিয়ে আনেন। যার ফলে এবছর এসএসসি পরীক্ষায় প্রতিষ্ঠানটি উপজেলার মধ্যে যৌথ ভাবে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্য মেধাহীন তিনি একটি বড় সমস্যা চিহ্নিত করেছেন – সেটা হলো বৈশ্বিক মহামারী করনা পরিস্থিতিতে বন্ধ থাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের যে সব শিক্ষার্থী নতুন ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হয়েছে তাদের মধ্যে বেশির ভাগ শিক্ষার্থী ইংরেজি ও গণিতে ভীষণ দুর্বল, অনেকে রয়েছে যারা বাংলাটাও সঠিকভাবে উচ্চারণ করে পড়তে অপারগ তাদের কথা চিন্তা করে প্রতিদিনই তাদের নিয়ে একটি আলাদা ক্লাসের ব্যবস্থা করেছেন তিনি। এতে শিক্ষার্থীদের বর্ণ পরিচয় থেকে শুরু করে উচ্চারণ, শব্দ গঠন, অনর্গল পাঠ ও কথা বলার উপর জোর দেওয়া হয়েছে। এতে তাদের অতীত ঘাটতি পূরণে সহায়ক ভূমিকা পালন করছে। এ ছাড়াও সহপাঠ হিসেবে বিভিন্ন খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের প্রসার ঘটাতে নিয়মিত সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা। রাষ্ট্রীয় অনুষ্ঠান পালন সহ রোভারস্কাউটস দল গঠন করে শৃঙ্খলাবদ্ধ জীবনাচারে উদ্বুদ্ধকরণ করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে আবারও বলতে হয় স্বদিচ্ছা থাকলে পরিবর্তন কেবল সময়ের ব্যাপার। যার প্রমাণ রাখলেন দেলোয়ার হোসেন।

    আরও খবর

    Sponsered content