• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • সিলেট

    ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, চিকিৎসক না হয়েও তিনি রোগীদের দিচ্ছেন পরীক্ষা নিরীক্ষা

      প্রতিনিধি ১ আগস্ট ২০২৩ , ১:৫৭:৩২ প্রিন্ট সংস্করণ

    নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

    ধর্মপাশা সরকারি নির্দেশনা না মেনে সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স মো. শ্যামল মিয়া (৩৩) বিধিবহির্ভূত ভাবে গত দুই মাস ধরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদেরকে বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা ও প্রেসক্রিপশন দিয়ে আসছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও তাঁর বিরুদ্ধে রহস্যজনক কারণে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচেছ না। অভিযোগ উঠেছে,হাসপাতালের বাইরে থাকা ক্লিনিকগুলোর মালিকদের কাছ থেকে তিনি পরীক্ষা নিরীক্ষা বাবদ আর্থিক সুবিধা পেয়ে আসছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে , উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের দায়িত্বে থাকা সংশ্লিষ্ট মেডিকেল অফিসাার (চিকিৎসা কর্মকর্তার) নির্দেশনা অনুযায়ী সেখানে থাকা সিনিয়র স্টাফ নার্স ও অন্যান্যদের দায়িত্ব পালন করার কথা রয়েছে। কিন্তু সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্যামল মিয়া এসব আইন কানুনের কোনোরকম পাত্তাই দিচেছন না। হাসপাতালের জরুরি বিভাগে যখন ডাক্তার (চিকিৎসক) থাকেন না তখন তিনি নিজেই ডাক্তার বনে গিয়ে গত ‍দুই মাস ধরে রোগীদেরকে ব্যবস্থাপত্র ( প্রেস ক্রিপসন )ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা দিয়ে আসছেন। কর্তৃপক্ষ বিষয়টি অবগত থাকলেও রহস্যজনক কারণে তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হচেছ না।
    নাম প্রকাশ করার শর্তে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে ভূক্তভোগী ৮/১০জন রোগীর অভিযোগ, হাসপাতালের ডাক্তারদেরকে তাঁরা চেনেন না। কয়েকদিন আগে তাঁরা হাসপাতালের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসেন। এ সময় শ্যামল মিয়া নিজেকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে হাসপাতালের বাইরে থাকা ক্লিনিকে বিভিন্ন পরীক্ষা করাতে বলেন। পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে তিনি আমাদেরকে প্রেস ক্রিপশনও লিখে দিয়েছেন। পরে আমরা জানতে পেরেছি তিনি এমবিবিএস ডাক্তার নন। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স। উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ দ্রুত তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জোর দাবি জানাচিছ। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্যামল মিয়া বলেন, আমি নিজেকে কখনো ডাক্তার পরিচয় দিইনি এবং কোনো রোগীকে প্রেসক্রিপশন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা দিইনি। ক্লিনিকগুলোর মালিকদের কাছ থেকে আমি আর্থিক সুবিধা নেইনি। আমাকে জড়িয়ে মিথ্যা অপবাদ রটানো হচেছ।

    উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ মোসতানশির বিল্লাহ বলেন, সিনিয়র স্টাফ নার্সরা কোনো অবস্থাতেই রোগীদের প্রেসক্রিপশন ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়ার কোনোরকম এখতিয়ার নেই। বিষয়টি এতদিন আমাকে কেউ জানায়নি। হাসপাতালের সিনিয়র স্টাফ নার্স শ্যামল মিয়া কোনো রোগীকে প্রেস ক্রিপশন ও পরীক্ষা নিরীক্ষা দেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেলে তাঁর বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    আরও খবর

    Sponsered content