• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • চট্টগ্রাম

    বর্তমানে পার্বত্য এলাকা লেবু জাতীয় ফসল মাল্টা চাষে এগিয়ে যাচ্ছে

      প্রতিনিধি ৬ আগস্ট ২০২৩ , ৭:৪২:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ

    এম. জুলফিকার আলী ভুট্টো, বিশেষ প্রতিনিধি-

    দিন দিন পার্বত্য অঞ্চলে লেবু জাতীয় ফসল মাল্টা চাষে এলাকার কৃষকরা এগিয়ে যাচ্ছে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা ও উৎপাদন বৃদ্ধির কল্পে ইতিমধ্য একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ বাস্তবায়নকারী সংস্থা হ’ল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প, যার আওতায় ৭ টি বিভাগের ৩০ টি জেলার ১২৩ টি উপজেলায় মাল্টা চাষের কার্যক্রম বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে বর্ণিত প্রকল্পের যাবতীয় কৃষি কার্যক্রম পরিচালনা করে আসছে। এই প্রকল্পের মেয়াদ মার্চ-২০১৯ হতে ডিসেম্বর-২০২৩ সাল পর্যন্ত।

    লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ, ব্যবস্থাপনা উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, রাঙ্গামাটি অঞ্চলের ৩ টি জেলা যথাক্রমে-রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান এই প্রকল্পের আওতায় অন্তর্ভুক্ত করেছে। প্রকল্পভুক্ত রাঙ্গামাটি জেলার উপজেলা সমূহ হ’ল-রাঙ্গামাটি সদর, নানিয়ারচর, বরকল, বাঘাইছড়ি, কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও লংগদু উপজেলা। খাগড়াছড়ি উপজেলার, উপজেলা সমূহ হ’ল-খাগড়াছড়ি সদর, পানছড়ি, দীঘিনালা, মহালছড়ি, মাটিরাঙ্গা, মানিকছড়ি, লক্ষ্মীছড়ি ও গুইমারা উপজেলা। বান্দরবান জেলার উপজেলা সমূহ হ’ল যথাক্রমে, বান্দরবান সদর, রুমা, নাইক্ষ্যংছড়ি, লামা, আলীকদম ও রোয়াংছড়ি উপজেলা।

    মিষ্টি  কমলা বা সুইট অরেঞ্জ বাংলাদেশে মাল্টা নামে পরিচিত, কমলার সাথে এর মূল পার্থক্য হ’ল কমলার খোসা ঢিলা সহজে ছাড়ানো যায় কিন্তু মাল্টার খোসা পাল্বের সাথে শক্ত ভাবে সংযুক্ত বিধায় সহজে ছাড়ানো যায় না ফলে কেটে খেতে হয়। সাইট্রাস লেবু জাতীয় ফসলের মধ্যে মাল্টা এখন অত্যন্ত জনপ্রিয় ফল। বাংলাদেশে এই ফলটির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে এবং দিন দিন এর জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে।

    কমলার তুলনায় অভিযোজন ক্ষমতা অধিক হওয়ায় পাহাড়ী এলাকাসহ দেশের অন্যান্য অঞ্চলে এর চাষ বৃদ্ধি পাচ্ছে, উন্নত জাত ও আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে বাংলাদেশে এর উৎপাদন বহুগুনে বাড়ানো হতে যাচ্ছে।

    সুনির্দিষ্ট গ্রীষ্ম ও শীতকাল বিশিষ্ট শুষ্ক, উষ্ণ জলবায়ু মাল্টা চাষের জন্য সবচেয়ে উপযোগী। শুষ্ক আবহাওয়া ফলের স্বাদ উন্নত মানের হয়। মাল্টা গাছ আলো পছন্দ করে এবং অধিক আলোতে গাছের বৃদ্ধি ও ফলের উৎপাদন ভালো হয় তবে আংশিক ছায়াযুক্ত স্থানেও এ ফসলের চাষ করা যায়।

    বাংলাদেশের বাজারে বিদেশ থেকে আমদানিকৃত কমলা রঙের মাল্টা ব্যাপক হারে বিক্রি করতে দেখা যায়। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বারি মাল্টা-১ ও বারি-২ মাল্টা দুই নামে মাল্টার দুটি জাত উদ্ভাবন করেছে।
    নিয়মিত ফল দানকারী উচ্চ ফলনশীল জাত গাছ খাটো ঝোপালো মধ্য ফাল্গুন থেকে মধ্য চিত্র পর্যন্ত সময়ে গাছে ফুল আসে এবং কার্তিক মাসে ফল আহরণ করার উপযোগী হয়।

    উক্ত প্রকল্পের আওতায় লেবু জাতীয় ফল চাষের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি, অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা, হাতে-কলমে চারা তৈরির কৌশল, রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমন বিষয়ের উপর সকল প্রদর্শনীভুক্ত কৃষকদের ১ দিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করে এই লেবুর জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর অগ্রণী ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে বলে প্রকল্পভুক্ত কৃষকদের অভিমত।

    সর্বাপরি বলা যায়, লেবু জাতীয় ফল চাষের আধুনিক কলাকৌশল সম্পর্কে কৃষকদের দক্ষতা বৃদ্ধি পেলে অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা ও হাতে-কলমে চারা তৈরির কৌশল এবং রোগ বালাই ও পোকামাকড় দমন বিষয়ের উপর জ্ঞান অর্জন করলে এবং প্রদর্শনী প্লট সফল ভাবে বাস্তবায়ন হলে পাহাড়ী এলাকায় লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ঘটবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content