প্রতিনিধি ৮ আগস্ট ২০২৩ , ৫:৩৬:৩৬ প্রিন্ট সংস্করণ
এম. জুলফিকার আলী ভুট্টো, বিশেষ প্রতিনিধি-
ক্রীড়া ধারাবর্ণনা বাংলাদেশের গোড়ার দিকে বাংলায় এই শিল্পের চর্চা যাদের হাত ধরে এগিয়েছে, তাদের মধ্য অন্যতম হলেন মরহুম আতাউল হক মল্লিক। হয়েছেন ক্রীড়া সংগঠক, ক্রীড়া সাংবাদিক। সব ছাপিয়ে জনপ্রিয় ছিলেন ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসেবে। ক্রীড়া ভাষ্যকারদের কর্মকান্ড আজ জানার চেষ্টা করব ক্রীড়া ভাষ্যকার ও ক্রীড়ানুরাগী মরহুম আতাউল হক মল্লিক। গুণী এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্বের জন্ম বিগত ৪ জুন ১৯৪১ এবং মৃত্যু ৮ আগস্ট ২০০১ খ্রি. তারিখে আজকের এই দিনে।
বাংলাদেশের আরো একজন কৃতি ক্রীড়াবিদ, আম্পায়ার, রেফারি, ক্রীড়া ভাষ্যকার এবং লেখক আতাউল হক মল্লিকের জন্ম পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। বাবা আব্দুল ওয়াদুদ মল্লিক। শৈশবে ঢাকার পগোজ স্কুলেই তার শিক্ষা এবং খেলোয়াড়ি জীবনের শুরু। যশোর এম.এম কলেজের ছাত্র মল্লিক ১৯৬৭ সালে বি.এ পাশ করেন। ১৯৫৩ থেকে ১৯৮২ সাল পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে তিনি ফুটবল এবং ক্রিকেট লীগে খেলেছেন।
১৯৫৯ সালে ক্রিকেট আম্পায়ার, ১৯৬৯ সালে ভলিবলের রেফারি, ১৯৭০ সালে ফুটবল রেফারি এবং ১৯৭২ সালে হকির আম্পায়ার হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটে আতাউল হক মল্লিকের। ১৯৮৪ সালে ফুটবল রেফারি হিসেবে ফিফা ব্যাজ অর্জন করেন। ১৯৭২ সাল থেকে তিনি বেতার এবং টেলিভিশনে ক্রীড়া ভাষ্যকার হিসেবে কাজ শুরু করেন এবং তা নিয়মিত ভাবে অব্যাহত রাখেন।
আম্পায়ার এবং রেফারিংয়ের সাথে সম্পৃক্ত থাকার ফলে তিনি ধারাভাষ্যে টেকনিক্যাল বিষয়াদী সমন্ধে বেশ সাবলীল এবং আত্মবিশ্বাসী খাকতেন। ছাত্র জীবন থেকেই ক্রীড়া বিষয়ক লেখালেখির অভ্যাস গড়ে উঠে, পরবর্তিতে ক্রীড়া সাংবাদিকতাকে পেশা হিসেবে বেছে নেন গুণী এই ক্রীড়া ব্যক্তিত্ব।
ক্রীড়া ভাষ্যকার মরহুম আতাউল হক মল্লিক সম্পর্কে এ সময়ের জনপ্রিয় ক্রীড়া ধারাভাষ্যকার মো. সামসুল ইসলাম বললেন-ক্রীড়া ভাষ্যকার আতাউল হক মল্লিক একজন অজাতশত্রু গুণী মানুষ ছিলেন। তিনি মুলত আম্পায়ার এবং রেফারি হিসেবে অধিক জনপ্রিয় ছিলেন। ক্রীড়া আইন বা ‘ল’ সম্পর্কিত যে কোন বিষয়ে তাঁর অগাধ জ্ঞান ছিল। পরে তিনি লেখালেখি এবং ধারাভাষ্যে যুক্ত হন। ক্রীড়াঙ্গনের সব্যসাচী ব্যক্তিত্ব ছিলেন এই আতাউল হক মল্লিক ভাই।
আমরা তাঁর ভাল গুণ এবং বৈশিষ্ট্যগুলো নিজেদের চলার পথে চর্চা ও সাধনা করলে তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধা প্রদর্শন করা হবে। আজ তাঁর ২২ তম মৃত্যু বার্ষিকীতে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং প্রার্থনা করছি আল্লাহ যেন তাঁকে জান্নাতবাসী করেন।
মরহুম মল্লিকের অলিম্পিক যুগে যুগে শিরোনামে প্রথম বই প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি সাফ গেমস এবং আইসিসি ট্রফিতে বাংলাদেশ শিরোনামে আরও দুইটি বই প্রকাশের উদ্যোগ নেন। আমাদের পরিবারের বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই মানুষটিকে আজকের এই দিনে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুন। আমিন।