প্রতিনিধি ১৭ আগস্ট ২০২৩ , ৮:৩৩:২২ প্রিন্ট সংস্করণ
এ কে আজাদ, বিশেষ প্রতিনিধিঃ
খাগড়াছড়ি জেলার মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ খায়রুল আলমের বিরুদ্ধে চরম অনিয়ম,দুর্নীতি, উদাসীনতা ও নিয়মবহিভূতভাবে হাসপাতাল অঙ্গনের ৩০ বছরের পূরনো ২১টি গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ উঠেছে।
এর প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার( ১৭ আগষ্ট) সকাল ১১টায় মাটিরাঙ্গা উপজেলা পরিষদের সামনে উপজেলার সর্বস্তরের জনগণকে নিয়ে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরাবর স্মারকলিপি প্রদান ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখা। মানববন্ধন হতে আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ খায়রুল আলমের অপসারন সহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন( বাপা) মাটিরাঙ্গা উপজেলা শাখার আহবায়ক অধ্যক্ষ কেফায়েত উল্ল্যাহর সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ এর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ খাগড়াছড়ি জেলা শাখার ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ হানিফ হাওলাদার। বিশেষ অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ি জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাংগঠনিক কমান্ডার সালামত উল্লাহ মাষ্টার, মাটিরাঙ্গা সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি আলী হোসেন, সমাজকর্মী আমান উল্যাহ ভূইয়া, সমাজকর্মী অদুদ তালুকদার, উপজেলা শাখার বাপা’র সহসভাপতি আবু রাসেল সুমন,
সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন, মোঃ সালাউদ্দিন প্রমুখ।
মানবন্ধনে বক্তরা অভিযোগ করে বলেন, পরিবেশ বিনাশকারী ও নানা অনিয়মে জর্জরিত এ মাটিরাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে দীর্ঘ একযুগ ধরে দায়িত্বে থাকা (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ খায়রুল আলম বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি করে হাসপাতালটিকে গোয়ালঘরে পরিনিত করে রেখেছে, নিজের মনগড়া মত হাসপাতাল পরিচালনা করছেন, তার অসৎ আচরণের কারণে ডাক্তার স্টাপ নার্স কেউ এখানে থাকতে চায় না। এখানে প্যাথলজি, এক্সরে, ওটি সেবা নাই। সন্তান প্রসূতিদের কোনো ব্যবস্থা নাই। উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিয়ম নীতি অনুসরন না করে হাসপাতালের ভিতরে থাকা ত্রিশ বছরের পূরনো ২১ টি গাছ কেটে পরিবেশ ধংস করে অমানবিক ও শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে। তাই বক্তারা অনতিলম্বে (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ খায়রুল আলম কে আগামী চব্বিশ ঘন্টার মধ্যে অপসারন সহ দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবি করেন।
বক্তরা আরোও অভিযোগ করেন, হাসপাতালের রোগীদের ওয়ার্ড গুলোতে দুর্গন্ধে বমি চলে আসে, অস্বস্তিতে থাকেন রোগীদের সাথে আসা লোকজন, বর্হিবিভাগের বাথরুম ও রোগীদের ব্যহারিত বাথরুম গুলো অনেক আগেই ব্যবহারের অনুপযোগি হয়েগেছে, ডাস্টবিন বিন গুলো দুর থেকে দেখলে মনে হয় উচু পাহাড়, দুর্গন্ধে হাসপাতালের চারপাশে চলাফেরা করাটাই দুর্সাধ্য।
মানববন্ধন শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে স্বাস্থ্য মহাপরিচালক বরাবরে স্বারক লিপি প্রদান করা হয়।