সিলেটের ভোলাগঞ্জে সাদা পাথরখ্যাত পর্যটনে আনন্দ ভ্রমণ ও ডিএক্স আড্ডা

এম. জুলফিকার আলী ভুট্টো, বিশেষ প্রতিনিধি-

আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব কিশোরগঞ্জের উদ্যোগে ও কিশোরগঞ্জ কেন্দ্রীয় বেতার শ্রোতা সংঘের সহযোগিতায় সাদা পাথরখ্যাত সিলেটের ভোলাগঞ্জে রেডিও তেহরানের শ্রোতাদের আনন্দ ভ্রমণ ও ডিএক্স আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

২৬ আগস্ট-২০২৩ শনিবার সকালে সিলেটে এসে পৌঁছান শ্রোতা প্রতিনিধি দল। সিলেটে হযরত শাহজালাল (রহ.) এর মাজারে তাদেরকে স্বাগত জানান ডিএক্সার মো. চান মিয়া। পবিত্র মাজার জিয়ারত শেষ করে তারা ভোলাগঞ্জ পৌঁছান।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গুরুদয়াল সরকারি কলেজের ভূগোল ও পরিবেশ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. শাহাদত হোসেন। উক্ত অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে যোগ দেন সিলেটের ডিএক্সার ও ব্যবসায়ী মো. চান মিয়া। এর আগে পাঁচ সদস্যের একটি শ্রোতাদল গতকাল রাতে কিশোরগঞ্জ থেকে বাস যোগে তারা ভোলাগঞ্জ পৌঁছান।

আজকের শ্রোতা আড্ডায় আরও উপস্থিত ছিলেন- তানভীর আকন্দ, ইশরাক ইসলাম, রাতুল কর্মকার, আবিদ ইসলাম, ফেরদৌস আহম্মেদ, তাপসি আক্তার, নুসরাত জাহান নৌরিন, নুসরাত তাবাসসুম শারিন, পূজা ঘোষ, কামরুল ইসলাম প্রমুখ।

কিশোরগঞ্জ ও সিলেটের শ্রোতারা ভোলগঞ্জের সাদা পাথর এলাকায় ঘুরে বেড়ানোর পর উন্মুক্ত স্থানেই শ্রোতা আড্ডা ও আলোচনা সভায় যোগ দেন। তারা রেডিও তেহরানের শ্রোতা বৃদ্ধি এবং নিজেরা নিয়মিত শোনার ব্যাপারে ঐক্যমত পোষণ করেন।

আমন্ত্রিত অতিথির বক্তব্যে চান মিয়া বলেন, বিশ্বে যখন বেতার বিলুপ্ত হতে বসেছে তখন রেডিও তেহরান বেশ জোড়ালো ভাবে তার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছে। ফলে পুরাতন ডিএক্সারগণ রেডিও তেহরানের সাথে সম্পৃক্ত হতে বরাবরই আগ্রহী। তিনি এমন আকর্ষণীয় একটি অনুষ্ঠান আয়োজন করার জন্য আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব কিশোরগঞ্জকে ধন্যবাদ জানান।

সভাপতির বক্তব্যে শাহাদত হোসেন বলেন, রেডিওর গুরুত্ব শেষ হয়ে যায় নি। নতুন মাধ্যমে রেডিও আবার জনপ্রিয় মাধ্যম হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। রেডিও তেহরানসহ কয়েকটি আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্র এবং বাংলাদেশ বেতারও শ্রোতাদের দোড়গোড়ায় পৌঁছতে চেষ্টা করছে। তাদের প্রচেষ্টা সফল হলে বাংলাদেশ বেতারসহ আন্তর্জাতিক বেতার কেন্দ্রগুলো তাদের হারানো গৌরব আবার ফিরে পাবে।

অনুষ্ঠান শেষে আইআরআইবি ফ্যান ক্লাব কিশোরগঞ্জের পক্ষ থেকে ডিএক্সার ও শ্রোতা সংগঠক, মো. চান মিয়াকে রেডিও তেহরানের কলম ও চাবির রিং উপহার দেয়া হয়।