• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    বগুড়ায় ফ্রিল্যান্সিং পেশার অন্তরালে মাদক ও নারী ব্যবসায় জড়িত কে এই লিখন ওরফে নীরব চৌধুরী

      প্রতিনিধি ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩ , ২:৪২:২৩ প্রিন্ট সংস্করণ

    মো কাওসার মিয়া দিপু, বগুড়া জেলা প্রতিনিধি

    বগুড়ায় ফ্রিল্যান্সিং পেশার আড়ালে মাদক ব্যবসা ও একাধিক নারীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে দৈহিক সম্পর্কে জড়ানোর অভিযোগ এক যুবকের বিরুদ্ধে।

    বগুড়া সদর উপজেলার সাবগ্রাম ইউনিয়নের জিগাতলা গ্রামের আবু বক্করের বড় ছেলে মো: লিখন হোসেন ওরফে নিরব চৌধুরী। ছোট থেকেই বেড়ে ওঠা জিগাতলা গ্রামের নিম্ম মধ্যবিত্ত পরিবারে। তার বাবা আবু বক্কর পেশায় একজন মৌসুমী আলু ব্যবসায়ী। দুই বছর আগে একজন ধননার্ড্য পরিবারের ব্যবসায়িক বউকে প্রেমের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে তাকে ভাগিয়ে নিয়ে গিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি করে এই নীরব চৌধুরীর রূপে লিখন।

    তার এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম র‍্যাবের সহযোগিতায় নীরব চৌধুরীকে চট্রগ্রাম এলাকায় থেকে সেই নারীসহ আটক করা হয়। পরে নারী ধর্ষণ মামলায় ৪ মাস জেলে খেটে জামিনে বের হয়ে আসে। তার মামলা এখনো বগুড়া জজ কোট আদালতে (নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুনালে এখনো চলমান রয়েছে।

    জেল থেকে সে বের হয়ে অনলাইন আউটসোর্সিং পেশায় নিজেকে যুক্ত করে। অল্প বয়সেই অল্প সময়ে তার হাতে টাকা আসায় সেই টাকাকে পুঁজি করে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। গড়ে তোলে অন্ধকার জগতের সম্রাজ্য। একের পর এক পরিচয় হতে থাকে অন্ধকার জগতের লোকের সাথে। সে তার আয়ের একমাত্র উৎস অনলাইনে ফিন্যান্সের কাজ দেখালেও বাস্তবে তার চিত্র ঠিক উল্টো।

    এ বিষয়ে বগুড়া বেশ কিছু ফিনান্সের উদ্যোক্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তারা জানাই, মোটামুটি কাজ শিখতে এবং মাসে দশ হাজার টাকা ইনকাম করতে কম করে হলেও ৬ মাস সময় লাগে আর মোটামুটি পাঁচ সাত বছর কাজ করার পরে মাসে ৬০ ৭০ হাজার এমনকি ১ লাখ টাকাও ইনকাম করা যায়।

    কিন্তু নীরব চৌধুরী তার ক্ষেত্রে ঘটনাটা উল্টো। নিরবের দেওয়া বক্তব্য অনুযায়ী সে ৬-৭ মাসেই কাজ শিখে প্রতি মাসে ইনকাম শুরু করেছে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা। যেটা নিয়ে অন্যান্য ফিনান্সের উদ্যোক্তাদের মধ্যেও নানান প্রশ্ন উকি মারছে। সবাই ভাবছে যে ফিনান্সের কাজে অন্তরালে আসলেই সে অন্য কোন অনৈতিক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত কিনা। কারণ এত অল্প সময়ে কেউ কখনো মাসে এক থেকে দুই লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারে না।

    বর্তমানে সে কলোনির একটি ১৫ হাজার টাকা দামের ফ্ল্যাট বাসায় গড়ে তুলেছে মাদক ব্যবসার রমরমা আসর। সপ্তাহে ২দিন বগুড়ার বনানীতে অবস্থিত হোটেল Sise Ta তে চালায় ডিজে প্রোগ্রামের নামে নারীদের দিয়ে অশ্লীল নৃত্য ও দেহ ব্যবসার কাজ যায় তো। সেখানে সে মেয়ে নিয়ে যায় তো এবং প্রত্যেকটা ডিজে প্রোগ্রামের তার ইনকাম হতো কত সেটা সে বলেনি কিন্তু প্রতি ডিজে প্রোগ্রামে তার ১৮ থেকে বিশ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হয়তো সেটা সে তার বক্তব্য উল্লেখ করেছে।

    তার বিরুদ্ধে একাধিক নারীর সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে তাদেরকে প্রথমে ধর্ষন করে। এরপর চলে সেই নারীকে ব্লাকমেইল করে তাকে দিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে বাধ্য করার মতো ঘৃণিত কাজ। আর এই কাজের প্রভাব খাটাতে সে বগুড়া শহরে রাজা বাজারে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী জনাব আলহাজ্ব গফুর সাহেব তার ভগ্নিপতি হয় এই পরিচয়কে কাজে লাগায়।

    এ বিষয়ে নিরবের ছোট ভাইয়ের সঙ্গে কথা বললে সে ভাইয়ের মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে স্বীকার করে এবং অন্য একটা মেয়ের সঙ্গে যে কথা হয় সে বিষয়ে সে স্বীকার করে। এবং সে বলে আমি নিজেও সে মেয়ের সঙ্গে কথা বলেছি। এদিকে দাদীর সঙ্গে কথা বললে নীরবে দাদি বলে মেয়ের বিষয়ে আমি কিছু জানি না তবে আমার নাতির মামলার বিষয়ে আছে এটা সঠিক। নিরবে চাচা চাচী এ প্রসঙ্গে একই কথা বলে যে তারা মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে জানে কিন্তু বগুড়ায় মেয়েলি বা মাদকের বিষয়ে তারা কোন কিছুই জানে না।

    এদিকে সরজমিনে নীরব চৌধুরীর এলাকায় গিয়ে তার খোঁজখবর নিলে এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তি এবং জনপ্রতিনিধিরা তার নারী গঠিত ঘটনা সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলে যে হ্যাঁ সে নারীর ঘটিত ঘটনার সঙ্গে জড়িত এবং তার নামে বগুড়ায় নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে মামলা চলছে। বর্তমান এলাকায় খুব কম আসে। বগুড়ায় কি করে তারা এই বিষয়ে কিছু বলতে পারেনা। তবে তার চলাফেরা ও গতিবিধি সন্দেহজনক বলে তারা মনে করেন।

    এ বিষয়ে আমরা নিরবের বক্তব্য নেওয়ার জন্য ফোনে নীরবে সঙ্গে যোগাযোগ করলে নিরব ফোন রিসিভ করে নাই এবং হোয়াটসঅ্যাপে আমরা তার সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি সে সেখানেও মেসেজে কোন রিপ্লাই দেয় নাই বা পরবর্তীতে সে আমাদের সঙ্গে আর যোগাযোগ করে নাই।।

    আরও খবর

    Sponsered content