• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • রাজনীতি

    জনপ্রিয়তার তুঙ্গে তৃনমুলের আস্থাশীল রাব্বানীকেই চাই তৃণমূল

      প্রতিনিধি ১ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:১৮:৪৯ প্রিন্ট সংস্করণ

    তানোর প্রতিনিধি:

    তৃনমুল ত্যাগী নেতাকর্মীদের আস্থার প্রতীক ও ভরশার জায়গা ক্লিন ইমেজের নেতা গোলাম রাব্বানীর জনপ্রিয়তা এখন সবার শীর্ষে। রাব্বানী রাজশাহী -১ ( তানোর – গোদাগাড়ী) আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী। সে ক্ষমতা সীন আ”লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী। নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে ততই জনপ্রিয়তা বাড়ছে গোলাম রাব্বানীর। তার বাড়ি তানোর উপজেলার প্রকাশ নগর গ্রামে। রাব্বানী একেবারেই তৃনমুল থেকে উঠে আসা পরিক্ষিত নেতা। পরপর দুবার পাঁচন্দর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও দুবারের মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র ছিলেন। শুধুমাত্র এমপি নির্বাচন করার জন্য দলীয় হাই কমান্ডেই গত ২০২১ সালের মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচন করেন নি। টানা দীর্ঘ সময় ধরে উপজেলা আ”লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তৃনমুলের নেতা রাব্বানী। কিন্তু রাজনৈতিক গ্যাড়াকলে গত বছর জুলাই মাসে ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে পদ হারাতে হয়। তবে পদ হারালেও জনপ্রিয়তা হারাননি তিনি। বৃহত্তর তৃনমুল আ”লীগ আগামী নির্বাচনে রাব্বানীর উপর নির্ভর করে আছেন। কারন এসব তৃনমুলের নেতাকর্মী নিজ ঘরে পরবাসীর মত অবস্থা।

    জানা গেছে, গত বছরের জুলাই মাসে ক্ষমতার কাছে হার মেনে পদপদবি হারাতে হয় গোলাম রাব্বানী ও আব্দুল্লাহ আল মামুন কে। পদ হারানোর পরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার উন্নয়নের বার্তা পৌছিয়ে দিচ্ছেন দুই উপজেলা বাসীর মাঝে। অনেকে পদ পদবি হারিয়ে রাজনীতি ছেড়ে দেন। কিন্তু রাব্বানী এমন এক ব্যক্তি ঘাতপ্রতিঘাতের মধ্যেও প্রতিটি সময় তৃনমুল নেতাকর্মীদের পাশে থাকেন। শুধু তাই না এমপির লোকজন রাব্বানী কে তানোরেও প্রবেশ করতে দেন নি। থানা মোড়ে বিএনপি পন্থী লোকজন ও মাদকসেবিদের দিয়ে গাড়ীতে আক্রমণ পর্যন্ত করা হয়েছিল। নিজ দল কর্তৃক এত নির্যাতনের শিকার হলেও সবকিছুই ধৈর্যের সাথে মোকাবিলা করেছেন।
    তার নিজগ্রাম প্রকাশনগরসহ আশপাশের বাসিন্দা আব্দুস সালাম, রবিউল,মাসুমসহ প্রবীন ব্যক্তিরা বলেন, গোলাম রাব্বানী একেবারেই তৃনমুল থেকে উঠে আসা নেতা। তিনি ১৯৯৭ সালে প্রথম পাঁচন্দর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন করে জয়লাভ করেন। তখন তিনি একেবারেই তরুন। ২০০৩ সালে পুনরায় পাচন্দর ইউপির চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরে ২০১১ ও ২০১৬ সালে মুন্ডুমালা পৌরসভার মেয়র হয়ে তাক লাগিয়ে দেন। কারন মুন্ডুমালা পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র ছিলেন বিএনপির হেভিওয়েট প্রয়াত নেতা শীষ মোহাম্মাদকে পরাজিত করে মেয়র নির্বাচিত হন গোলাম রাব্বানী। যা উপজেলা না জেলার নেতারাও অবাক হয়ে পড়েন। এতই ক্লিন ইমেজের নেতা যে ওয়ান এলেভেনে সব নেতারা উধাও ও কত জনকে আটক করেছিল, কিন্তু রাব্বানী ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন। রাব্বানী ২০০৫ সাল থেকে ২০২২ সালের জুলাই পর্যন্ত উপজেলা আ”লীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। সকলের উপরে যাওয়ার একটা ইচ্ছে থাকে। সেটাই তার জন্য কাল হয়ে যায়। রাব্বানী এমপি হবে এটা মানতে পারেননি বর্তমান এমপি ফারুক চৌধুরী। শুরু হয় দ্বন্দ্ব। তারপরও ২০১৮ সালে জাতীয় নির্বাচনে এমপি ফারুক চৌধুরী নৌকা প্রতীক পেয়েছিলেন। কিন্তু রাব্বানী অকান্ত পরিশ্রম করেছিলেন ভোটের মাঠে।
    সাবেক ছাত্র লীগ নেতা পাপুল সরকার, মৃদূল, সোহেল রানাসহ অনেকে বলেন, রাজশাহী – ১ আসনে সবচেয়ে জনপ্রিয় নেতা গোলাম রাব্বানী। তিনি প্রতিহিংসার রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন না। তারমত ধৈর্যশীল বিনয়ী নেতা পাওয়া খুবই কষ্টকর। তৃনমুল নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সেটা বুঝতে পারলেও তাকে প্রতিটি সময় হেয় করেছেন ক্ষমতার দাম্ভিকতারা। তার উপর যতই জুলুম নির্যাতন করা হয়েছে সেটা ভাষায় প্রকাশ করা যাবেনা। রাব্বানী কতটা জনপ্রিয় তার জলন্ত দৃষ্টান্ত তানোর পৌরসভার নির্বাচন। ১৯৯৯, ২০০৪,২০০১১ ও ২০১৬ সালে বিএনপির নেতারাই হয়েছিলেন মেয়র। সেই প্রায় ২৬ বছরের ইতিহাস ভেঙে নৌকার প্রার্থী ইমরুল হক কে বিপুল ভোটে বিজয়ী করেছিলেন। তিনি দলীয় হাই কমান্ডের নির্দেশে মুন্ডুমালা পৌরসভার নির্বাচন করেন নি। জাতীয় নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে, কিন্তু দলকে এককাতারে আনতে সম্পূর্ণ রুপে ব্যর্থ হয়েছেন বর্তমান ক্ষমতা ধরেরা। চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে ইউনিয়ন ও পৌরসভার সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। দলকে এক কাতারে আনতে নাকি সম্মেলন করেছেন। কিন্তু কেন্দ্র থেকে জাতীয় নির্বাচনের আগে সম্মেলন হবে না সাব জানিয়ে দেন। কিন্তু সেটাকে গুরুত্ব না দিয়ে অতিথি মৌসুমি কিছু উড়ে আসা ব্যক্তিদের কথায় সম্মেলন করে যাদের হাতে নেতৃত্ব দেয়া হয়েছে তাতে করে দলে আরো লবিংগ্রপিং প্রকট আকার ধারণ করেছে। এক মঞ্চে একাধিক কমিটির নাম ঘোষণা করে নতুন ভাবে দলীয় গঠনতন্ত্র তৈরি করা হয়েছে। তানোর গোদাগাড়ী উপজেলার আ”লীগ ও সহযোগী সংগঠন কে এক করতে হলে গোলাম রাব্বানীর বিকল্প নেই। যারা ইউনিয়ন ও পৌরসভার স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে ছিলেন সবাইকে দলীয় ভাবে ক্ষমা করা হলেও এখানে তাদের কে ক্ষমা করা হয়নি। যার প্রমান তানোর পৌর সভাপতি ও পৌর মেয়র ইমরুল হক ও মুন্ডুমালা পৌর মেয়র পৌর সাংগঠনিক সম্পাদক সাইদুর রহমান কে সম্মেলনে ডাকাও হয়নি এবং কোন পদেও রাখা হয়নি।
    দুই পৌর মেয়র বলেন, আমরা ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধি হয়েছি। আ”লীগ করতাম বলেই জনগন ভোট দিয়েছে। পদে না থাকলেও আমাদেরকে রাজনীতি করতে হবে দেশরত্নের উন্নয়নের ধারা বজায় রাখতে সবকিছুই করা হবে। আমরা তাদের কাছে মূল্যায়ন চায়না, তৃনমুল নেতাকর্মীরাই আমাদের মুল ভরসা। আমরা রাব্বানীর লোক এজন্য পদে রাখা হয়নি। আমরা কোন ব্যক্তির রাজনীতি করিনা। আমরা জাতির পিতার আদর্শ বুকে ধারন করে দল করি। স্থানীয় নির্বাচন আর জাতীয় নির্বাচন এক জিনিস না। সম্মেলনে যাদেরকে নেতা বানিয়েছেন তারা কতটা গ্রহণ যোগ্য সেটা তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই বিচার করবেন।
    মনোনায়ন প্রত্যাশী গোলাম রাব্বানী বলেন, কেন্দ্র থেকে মাঠে থাকতে বলেছেন এজন্য মাঠে আছি। শুধুমাত্র এমপি মনোনায়নের জন্য অনেক জুলুম নির্যাতন ও পৌরসভা ভোটে অংশগ্রহণ করিনি। গত শনিবার আমার পক্ষে প্রায় ১৫০০ মত মোটরসাইকেল নিয়ে শোডাউন দিয়েছেন মেয়র সাইদুর রহমান। রাজশাহী -১ আসনে অনেক মনোনায়ন প্রত্যাশীরা মাঠে উন্নয়নের বার্তা পৌছে দিচ্ছেন। আমরা যারা মনোনায়ন প্রত্যাশী সবার একটাই দাবি দাম্ভিকতা ব্যক্তিকে বাদ রেখে যে কেউকে নৌকা দিলে সবাই এক কাতারে এসে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করবেন। আপনি মনোনয়নের বিষয়ে কতটুকু আশাবাদী বা বর্তমান এমপি নৌকা পেলে কি করবেন জানতে চাইলে তিনি জানান আমার দৃঢ বিশ্বাস আমি মনোনায়ন না পেলেও বর্তমান এমপি পাবেনা। তারপরও দেশরত্ন যাকে নৌকা দিবেন তার হয়েই কাজ করা হবে। তবে বর্তমান এমপি কে নৌকা প্রতীক দিলে দলকে সুসংগঠিত করা দুরহ ব্যাপার হয়ে পড়বে বলে আমার ধারণা। যেহেতু আগামী নির্বাচন অনেক চ্যালেঞ্জিং সেহেতু অনেক যাচাই বাছাই করে দলীয় ভাবে মনোনয়ন দিবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

    আরও খবর

    Sponsered content