• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    পুলিশ ও ডিবির নাম বিক্রি করে ভারতীয় চিনি মাদক পাচারে ৩ দরবেশ

      প্রতিনিধি ৬ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:১২:৪৭ প্রিন্ট সংস্করণ

    গোয়াইনঘাট প্রতিনিধিঃ

    সিলেটের গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ কর্তৃক চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার উপর বৃদ্ধাঙ্গুলী প্রদর্শন করে সীমান্ত চোরাচালান আমদানি ও পাচার করে আসছে তিন দরবেশ।
    দীর্ঘদিন থেকে গোয়াইনঘাট উপজেলার পশ্চিম জাফলং ইউনিয়ন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ও ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের পান্তুুমাই সোনারহাট,বাবুর কোনা সিঁড়িরঘাট,হাজিপুর লামাপুঞ্জি,প্রতাপপুর বিজিবি ক্যম্প,লক্ষণ ছড়া,ঢালারপার, নকশিয়া পুঞ্জি,কাটারি, সংগ্রাম পুঞ্জি, এসব এলাকা সীমান্তের চোরাইপথে আসা ভারতীয় পণ্য, গরু মহিষ,পান সুপারি,,বিভিন্ন ব্রান্ডের মোটরসাইকেল, মাদক ব্যান্ড,বিভিন্ন ব্রান্ডের স্মার্ট ফোন,বিপুল পরিমাণ চিনি, কসমেটিকস্ নাসির উদ্দীন বিড়ি চা পাতা সহ্ চোরাইপথে আসা ভারতীয় সকল পণ্যের উপর পুলিশ ও ডিবি পুলিশের নামে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা আদায় করে ঐসকল পণ্য রাতের গভীরে নিরাপত্তা মহড়ায় পাচার করে আসছে পুলিশের লাইনম্যান নামে পরিচিত মানিক মিয়া(৪৫) উজ্জ্বল মিয়া(৩৫) ডিবি উত্তর শাখার লাইনম্যান জুবের আহমদ (৩৫)সহ একটি চোরাচালান পাচারকারী দরবেশ চক্র।

    স্থানীয় সুত্রে জানা যায়,দীর্ঘদিন থেকে ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের বাউরভাগ গ্রামের মানিক মিয়া উজ্জ্বল মিয়া ও কাপাউরা গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে ডিবি পুলিশের লাইন নিয়ন্ত্রক জুবের আহমদ রাতের আধারে বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে আসা চিনি,মাদক,কসমেটিকস, গরু মহিষ,মোটরসাইকেল ,অগ্নিয়াস্ত্র উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের রাধানগর বাজারের আশপাশে মজুদ রেখে রাত ৪টা বা ভোর ৫ টা হলেই পিকআপ অথবা নৌ পথে পাচার করে আসছেন। গোয়াইনঘাট থানাপুলিশ সীমান্ত চোরাচালান প্রতিরোধে জিরো টলারেন্স ঘোষণার পরও থেমে নেই এই তিন দরবেশের চোরাচালান পাচারের অপকৌশল।
    গত.. উপজেলার ১১নং মধ্য জাফলং ইউনিয়নের রাধানগর বাজারের আসকর আলী মার্কেটে অবস্থান করে মানিক উজ্জ্বল ও ডিবির লাইনম্যান জুবের আহমদ এই তিন দরবেশের কর্মকান্ডের মুখোশ উন্মোচন ধরতে উপজেলার দুই অনুসন্ধানী সংবাদকর্মী তাদের কাছে গিয়ে ব্যবসায়ি সেজে দুইটি ডিআই পিক-আপে ভারতীয় চিনি নিয়ে যাওয়ার কথা বললে তিন দরবেশ তাঁদেরকে পুলিশের লাইনে বস্তা প্রতি ২০০শত টাকা এবং ডিবি পুলিশের নামে ১০০ টাকা পরিশোধ করে চিনি নেওয়ার জন্য বলেন, তখন সংবাদকর্মীরা আরো তথ্য সংগ্রহের লক্ষে তাঁদেরকে বলেন যে, আমরা টাকা দিবো কেন? আমরা এই ইউনিয়নের বিট অফিসারকে বলে আসছি এবং কে কোথায় রাত্রিকালীন ডিউটি করছেন সেটাও জেনে আসছি, আপনারা আমাদের দুই গাড়ি চিনি দিন।

    অন্যদিকে এমন কথোপকথন ঐ দুই সংবাদকর্মী তাঁদের গোপন স্পাই কলম ক্যামেরায় ভিডিও ধারণ করছেন।হঠাৎ কলমে সবুজ সিগনাল জলে উঠলে দেখে ফেলে ডিবির লাইনম্যান জুবের পুলিশের লাইনম্যান মানিক মিয়া ও উজ্জ্বল দরবেশ, পরে তাদের সাথে দস্তা দস্তি করে জোরপূর্বক স্পাই ক্যামেরা কেঁড়ে নিয়ে ভেঙ্গে ফেলে। পরে মানিক মিয়া তার পিছন থেকে হাসি দা ও দেশীয় অস্ত্র বের করে ঐ দুই সংবাদকর্মীকে কুপিয়ে হত্যা করার চেষ্টা করলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে গোয়াইনঘাট থানা বাজারে আশ্রয় নেয়।
    পরে বিষয়টি রাত্রি কালীন সময়ে কিলো ১০ টিউটিতে থাকা গোয়াইনঘাট থানাপুলিশের এসআই জাকিরুল ইসলাম ও এসআই পিন্টু সরকার এসআই নুরুল আমিনকে তাদের ব্যবহৃত মোট ফোনে দস্তা দস্তির কারণ ও স্পাই ক্যামেরা ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনা জানিয়ে রাখলে মঙ্গলবার ভোরে উজ্জ্বল মানিক ও জুবের চক্রের ব্যবসায়ি কর্তৃক নির্ধারিত চাঁদা আদায় করে মোটরসাইকেল মহড়ায় রাধানগর থেকে ছেড়ে আসা দুটি পিকআপ গাড়ি থানা পাস করার সময় ৯৯ বস্তা ভারতীয় চিনি ও দুইটি পিকআপ গাড়ি দুজন চালক কে আটক করা হয়।এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ঐতিন দরবেশ পালিয়ে যায়।

    তাঁদের অপকর্মের মুখোশ উন্মোচন হওয়ায় স্থানীয় দুই সংবাদকর্মীদের স্পাই কলম ক্যামেরায় ধারণ করা কথোপকথন ভিডিও গুলোর মেমোরি কার্ড ডিবির লাইনম্যান জুবের নিয়ে যায়।

    আরও খবর

    Sponsered content