• Archive Calendar

  • <img class=”alignnone size-full wp-image-10168″ src=”https://bdnewstoday24.com/wp-content/uploads/2023/05/IMG-20230504-WA0053.jpg” alt=”” width=100% height=”auto/>

  • তথ্যকণিকা

    বগুড়া সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির পাশেই দু:সাহসিক চুরি

      প্রতিনিধি ২১ অক্টোবর ২০২৩ , ১:১৪:৪৪ প্রিন্ট সংস্করণ

    সজীব হাসান, স্টাফ রিপোর্টার:

    বগুড়া আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহার পৌর সভা রোডে, সান্তাহার টাউন পুলিশ ফাঁড়ির মাত্র ২’ শ গজ দূরে লাকি এন্টারপ্রাইজ নামক এক দোকানে দু:সাহসিক চুরির ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে সান্তাহার পৌর সভা রোডে এই চুরির ঘটনা ঘটে। উক্ত ঘটনায় জনগণের মনে এখন চুরির আতঙ্ক বিরাজ করছে। দোকান মালিক হেলাল উদ্দিন ও আদমদীঘি থানায় অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, চোরেরা দোকান ঘরের ছাউনির টিন কেটে ভিতরে প্রবেশ করে, গ্যাস সিলিন্ডার ১১ টি, গ্যাসের চুলা ৬ টি, রেগুরেটর ১ কার্টুন, মিনিট কার্ড ও এমবি কার্ড সহ যাহার আনু মালিক মূল্য ৯৭,০০০ ( সাতানব্বই) হাজার টাকা, দোকানের ক্যাশ বক্স ভেঙ্গে নগদ ২৩, ০০০ ( তেইশ হাজার) টাকা ও মালপত্র চুরি করে নিয়ে যায়। দোকান মালিক আরো জানান, গত বৃহস্পতিবার সারাদিন বেচাকেনার পর রাত ৮টায় দোনার বন্ধ করে বাসায় যান। পরদিন শুক্রবার ভোরে ফজরের নামাজ আদায়ের সময় জানতে পারেন তার দোকান ঘর চুরি গেছে। এসে দেখেন দোকান ঘরের ছাউনির টিন কেটে চোরেরা ঘরে প্রবেশ করে ক্যাশ থেকে নগদ ২৩,০০০ হাজার টাকা, গ্যাসের চুলা ৬টি গ্যাস সিলিন্ডার ১১ টি, রেগুরেটর ১ কার্টুন, মিনিট কার্ড ও এমবি কার্ড যাহার আনুমানিক মূল্য, ৯৭,০০০ হাজার টাকা সহ সর্বমোট এক লক্ষ বিশ হাজার টাকার মালামাল চুরি হয়ে গেছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, সান্তাহার পৌর এলাকায়, কিছু কিছু অসাধু ওষুধ ব্যবসায়ী ও পল্লী চিকিৎসক মাদক দ্রব্য নেশা জাতীয় ঔষধ ও ইনজেকশন বিক্রি করছেন। এলাকা বাসী আরো জানান, প্রতিদিন ভোর থেকে, মাদক সেবনকারীরা এসব দোকানে এসে ভীড় করে, নেশা জাতীয় মাদক ট্যাবলেট ও ইনজেকশন দীর্ঘদিন ধরে বিক্রি করে আসছে। তারা আরো জানান এসব নেশার টাকার খরছ যোগাতে এলাকায়, একের পর এক চুরি, ও ছিনতাই দিন দিন বেড়েই চলেছে। এ বিষয়ে আদমদীঘি উপজেলার ড্রাগ অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মো: নাজিমুল হুদা খন্দকারের সাথে যোগাযোগ করা হলে, তিনি জানান আদমদীঘি উপজেলায় মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিং এ বারবার এ বিষয়ে প্রশাসনকে জানালেও কোন প্রতিকার পাওয়া যায় না। এছাড়া মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সদস্যরা মাঝেমধ্যে অভিযান চালিয়ে শুধু মাদক সেবনকারীদের গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে ও ভ্রাম্যমান আদালতে দেন। আর মূল রাঘব বোয়ালরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যান। এ বিষয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সান্তাহার ” খ” সার্কেল পরিদর্শক মো: রফিকুল ইসলামের সাথে মুঠো ফোনে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না, এমন কোন তথ্য তার কাছে নেই। এ ব্যাপারে সান্তাহার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আলমাস আলী সরকার চুরির বিষয় নিশ্চিত করে জানান বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে আদমদীঘি থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল করিম রেজার সাথে একাধিকবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি মোবাইল ফোন রিসিভ না করাই তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

    আরও খবর

    Sponsered content