প্রতিনিধি ২৬ অক্টোবর ২০২৩ , ১২:২৬:৫১ প্রিন্ট সংস্করণ
তানোর প্রতিনিধি:
রাজশাহীর তানোরে গোপনে ঝড়ে পরা ও মরা গাছ নিলামের অনিয়মের ঘটনা তদন্তেও ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নিলামের চেয়ে বেশি গাছ কাটলেও তদন্তে পাননি তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আব্দুল লতিফ। এমন তদন্ত কে শুভংকরের ফাঁকি ছাড়া কিছুই না বলে মনে করেন সচেতন মহল। কারন তত্ববধায়ক প্রকৌশলী সরাসরি গাছ কাটার জায়গায় না গিয়ে অফিসে বসে কাগজপত্র দেখার পর গাছ কাটার জায়গায় যান।
তত্ববধায়ক প্রকৌশলী বলেন,আমি পাঁচন্দর কাউন্সিল মোড় থেকে প্রকাশনগর বা( সোনামূখী রাস্তা হতে কালিকান্দর) পর্যন্ত রাস্তার কাটা গাছ দেখেছি, তাতে যে কয়টি নিলাম দেয়া হয়েছে ৪১ টি গাছ কাটা আছে। ওই রাস্তায় ৪১ টি না ৬২টি গাছ কাটা হয়েছে জানতে চাইলে তিনি জানান বাড়তি কাটা গাছগুলো আগের কাটা।
স্থানীয়রা জানান, তদন্তে এসে কয়েক জায়গায় গাড়ি থেকে নেমে নামমাত্র দেখে দ্রুত চলে যান কর্মকর্তা। তদন্ত মানে রাস্তার আশপাশে বসবাসরত ব্যক্তি বা স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কথা বলতে হবে। সেটা না করে রাস্তা ঘুরে চলে যান। কাউকে কথা বলতে দেয়নি এবং কর্মকর্তাও কারো সাথে কথা বলেন নি। তদন্ত করতে হলে অফিসে না গিয়ে প্রথমে রাস্তায় আসতে হত তাহলে বাড়তি গাছ কাটা হয়েছে কিনা প্রমান পেত। কাগজে কলমে সব নিয়ম সঠিক থাকবে এটাই স্বাভাবিক। কারন গাছ চুরি করে বিক্রি করা গেলেও কাগজ চুরি করা যাবেনা এটাই বাস্তব।
বেশকিছু ব্যক্তিরা জানান, শুধু সোনামূখী হতে কালিকান্দর পর্যন্ত গাছ কাটা হয়নি। দূবইল থেকে প্রকাশনগর পর্যন্ত প্রায় ৩০ টির মত গাছ কাটা হয়েছে। এক রাস্তার গাছের নিলাম নিয়ে আরেক রাস্তার গাছ কেটে উজাড় করা হয়েছে। অথচ দুবইল রাস্তার কোন ধরনের তদন্ত করা হয়নি।
সুত্রে জানা যায়, এতগুলো গাছ নিলাম দিতে হলে পত্রিকার মাধ্যমে টেন্ডার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করতে হবে। কিন্তু তানোর বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামান কোন নিয়মের তোয়াক্কা না করে এতপরিমান গাছ অতি গোপনে পছন্দের দুজন ব্যক্তিকে দিয়েছেন।
গাছ দেখভাল করা ব্যক্তি হারুন ও নিলাম পাওয়া রাজ্জাক এবং বকুল মিয়ার কাছে বাড়তি গাছ, এক রাস্তায় নিলাম নিয়ে আরেক রাস্তার গাছ কাটার বিষয়ে জানতে চাইলে তারা জানান, এসব অফিস দেখবে বলে দায় সারেন।
বিএমডিএর সহকারী প্রকৌশলী কামরুজ্জামানের মোবাইলে একাধিকবার ফোন দেয়া হলেও তিনি রিসিভ করেন নি।
নির্বাহী পরিচালক গত ২৩ অক্টোবর বলেছিলেন তদন্ত করার পর ব্যবস্থা নেয়া হয়ে। নির্বাহী পরিচালক কে তদন্তের বিষয় বৃহস্পতিবার বিকেলে মোবাইল করা হলে বন্ধ পাওয়া যায়।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের ১৮ অক্টোবর রাজশাহীর কাসিয়াডাঙ্গা এলাকার বকুল মিয়া কে ২১ টি ও আমশো মথুরাপুর ও জিওল মোড়ের স্ব মিল ব্যবসায়ী রাজ্জাক দেয়া হয় ২০ টি গাছ। সোনামূখী হতে কালিকান্দর রাস্তার ৪১ টি গাছ নিলাম দিলেও কাটেন ৬২ টি গাছ।