প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহ্বায়ক বাংলা রিডিং পড়তে পারে না

হবিগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ

একাডেমিক সার্টিফিকেট ছাড়াও অনেকে দেশ ও জাতির জন্য অবদান রাখার নজির রয়েছে। তবে সাংবাদিকতা করতে গেলে একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ একাডেমিক জ্ঞানের প্রয়োজন রয়েছে বলে জানাচ্ছেন সাংবাদিক মহলের বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দগন।

ইদানিং হবিগঞ্জ জেলার মাধবপুর উপজেলায় একাধিক সাংবাদিক সংগঠন গড়ে উঠেছে। যার মধ্যে রয়েছে অনেক মানহীন সাংবাদিক পরিচয়দানকারী অনেক হলুদ সাংবাদিক। অনুসন্ধানে দেখা যায়, গড়ে ওঠা একাধিক প্রেসক্লাবের মধ্যে মাধবপুর মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক মাথু মিয়া। তিনি পেষায় একজন পরিবহন ব্যবসায়ী। কিন্তু তিনি আলোকিত প্রতিদিন নামে একটি দৈনিকের প্রেসকার্ড লাগিয়ে ঘুরতে দেখা যায়।

বিভিন্ন মহলে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে জনমনে আতঙ্ক বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি জানান, সে ভালো বাংলা লিখতে পড়তেই জানেন না। সে ব্যবসা কিংবা অন্যান্য ক্ষেত্রে ভালো অবদান রাখতে পারতো। সাংবাদিকতায় এসে তিনি এ পেশার মান ক্ষুন্ন করছেন।বরং নিজেকেই নিজে ছোট করছেন। তিনি আবার মডেল প্রেসক্লাবের যুগ্ম আহবায়ক পদও ধরে আছেন।

বিষয়টি জেলা তথ্য কর্মকর্তা ও সচেতন সাংবাদিক মহলের পদক্ষেপের আওতায় আসা উচিত বলে মনে করেন সাংবাদিক মহলের নেতৃবৃন্দরা।

এ ব্যাপারে মাথু মিয়ার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, “আমার আইডি কার্ড আছে”। “নিউজও নিয়মিত আসতেছে”। পড়ালেখা আছে কিনা সেটা খোঁজ নিয়ে দেখেন। একটা মহল আমাকে নিয়ে চক্রান্ত- ষড়যন্ত্র করছে।

মাধবপুরের বাংলা টিভির প্রতিনিধি হামিদুর রহমান সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, মাধবপুরে সাংবাদিকের বাম্পার ফলন হয়েছে বেড়ে গেছে হলুদ সাংবাদিকতা।

দেশ রূপান্তর পত্রিকার সাংবাদিক জালাল উদ্দিন লস্কর তিনি লেখেন, সাংবাদিকতা করতে গেলে একটা মিনিমাম পড়াশোনা জানা থাকতে হয়। অন্যথায় পেশার দূর্নাম আসে।

হবিগঞ্জ জেলার তথ্য অফিসের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মকর্তা জানান, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই হলুদ সাংবাদিক ও পেশাদার সাংবাদিকদের বিষয় নিয়ে ডাটাবেজ তৈরি হতে পারে। সাংবাদিকতা একটি সেবা এটি যাতে অপব্যবহার না হয়।