প্রতিনিধি ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩ , ৭:৪৫:৫০ প্রিন্ট সংস্করণ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় নির্বিচারে গাছ কাটার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করে এক ইউপি চেয়ারম্যানের বিচার দাবি করেছে ভুক্তভোগী একটি পরিবার। বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার বাসুদেব ইউনিয়নের ঘাটিয়ারা গ্রামে বাড়ির আঙ্গিনায় সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে পরিবারটি।এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ক্ষতিগ্রস্ত ধন মিয়ার মেয়ে আঁখি বেগম। তিনি বলেন, গত ২১ নভেম্বর সন্ধ্যার দিকে বাসুদেব ইউপি চেয়ারম্যানের নির্দেশে আব্দুল হকে ছেলে মো. নুরু মিয়া, তার বড় ভাই শামীম মিয়া ও কাশেম মিয়াসহ ৮/১০ জনের ভাড়াটিয়া লোক পূর্ব শত্রুতার জেরে তাদের তফসিলভুক্ত জায়গায় থাকা ২২টি কাঁঠাল গাছ, ১০টি আকাশি গাছসহ তিনলাখ ২০ হাজার টাকার গাছ জোরপূর্বক কেটে ফেলেন। কাঁঠাল গাছগুলোয় বছরে দুই লাখ টাকার ফলন হত। এ সময় রোপন করা বিভিন্ন জাতের শাক সবজিও নষ্ট করে ফেলা হয়।তিনি অভিযোগ করে বলেন, অভিযুক্ত লোকজন আমাদের বাড়ির পশ্চিম দিকের প্রায় দুই শতক জায়গাও দখল করে রেখেছেন। বিভিন্ন সময় আমাদের মারার জন্য দেশিয় অস্ত্র নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকেন।ফলে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এসব বিষয়ে আমরা আইনিভাবে বিচার পাওয়ার জন্য দোষীদের বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া আদালতে দুটি মামলা দায়ের করি। আদালত মামলা দুটি তদন্তের জন্য পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছেন।
তিনি আরও বলেন, গাছ কাটার বিষয়ে লিখিতভাবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা চেয়ারম্যানকে ও অবগত করি। এরপর থেকে ওই পক্ষের লোকজন আরও বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছেন। তাদের অত্যাচারে গ্রামের অন্যান্য সাধারণ মানুষও অতিষ্ঠ। আমাদের দাবি, তাদের আইনের আওতায় এনে সুষ্ঠু বিচার করা হোক। এ বিষয়ে বাসুদেব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল হাকিম মোল্লা বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগটি মিথ্যা। এ বিষয়ে আমি কিছু জানি না। এ সময় সরাসরি এসে কথা বলুন বলে মোবাইল ফোনের সংযোগটি কেটে দেন তিনি।