সারাদেশ

একাধিক মামলার আসামী ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ জামিনে বেরিয়ে আবারো বেপরোয়া

  প্রতিনিধি ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩:০৭:৪৮ প্রিন্ট সংস্করণ

স্টাফ রিপোর্টারঃ

নারায়ণগঞ্জে নাশকতা, বিষ্ফোরক, চাঁদাবাজি ও প্রতারণাসহ একাধিক মামলার আসামী ভেজাইল্যা সুলতান মাহমুদ দীর্ঘ দুই মাস কারাভোগের পর জামিনে মুক্ত হয়েই আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। যার ফলে শঙ্কিত ও আতঙ্কিত রয়েছে মামলার বাদী ও সুলতানের দ্বারা ক্ষতিগ্রস্থ বিভিন্ন ভুক্তভোগীরা।

সোনারগা উপজেলার বৈদ্যের বাজার হাড়িয়া গ্রামের মৃত চাঁন মিয়া সরকারের পুত্র সুলতান মাহমুদ সোনারগাঁয়ে অরাজকতা সৃষ্টি করে বিতাড়িত হয়ে নারায়ণগঞ্জ শহরে এসে বিভিন্ন জায়গায় চাঁদাবাজি ও প্রতারণ শুরু করে। কেউ প্রতিবাদ করলে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট ভিত্তিহীন তথ্য পরিবেশন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অপপ্রচার ও মিথ্যা মামলা মোকদ্দমার ভয়ভীতি দেখিয়ে মোটা অংকের চাঁদা দাবী করে। দাবীকৃত চাঁদার টাকা কেউ দিতে অস্বীকৃতি জানালে মারধোরসহ হামলা চালিয়ে আহত করার মতো অনেক ঘটনা সে ঘটিয়েছে। ফতুল্লার জামতলা এলাকায় বাসা ভাড়া করে থাকলেও ফতুল্লা মাহমুদ নগর, শহরের উত্তর চাষাড়া, আমলাপাড়া ও নবাব সলিমুল্লাহ রোডে প্রাইম জেনারেল হাসপাতালের ঠিকানা ব্যবহার করে বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে চাঁদাবাজ সুলতান মাহমুদ ও তার বাহিনীর সদস্যরা। এছাড়াও কোন পুলিশ তার কথা মতো কাজ না করলে অথবা মিথ্যা অভিযোগ গ্রহন না করলে সেই তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তাদের ছাড় দেয় না। সুলতানের নিজের ফেইস বুক আইডি ছাড়াও দপ্তর বার্তাসহ আরো কয়েকটি ফেক আইডি খুলে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর প্রতি বিশেদাগার এবং অপপ্রচার চালিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে প্রতারক সুলতান মাহমুদ ও তার সঙ্গিরা। সুলতানের রয়েছে কয়েকজন বদমায়েশ নারী সদস্য। এই নারীদের দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে ব্লাক মেইল করে সম্মানি ব্যক্তিদের সামাজিকভাবে মান সম্মান নষ্ট করছে।

সুলতান মাহমুদের বিরুদ্ধে সোনারগা থানা, নারায়ণগঞ্জ সদর থানা, সিদ্ধিরগঞ্জ থানাসহ নারায়ণগঞ্জ আদালতে বেশ কয়েকটি ফৌজদারী মামলা রয়েছে। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে তার বিরুদ্ধে একাধিক লিখিত অভিযোগ রয়েছে। তারপরও থামছেনা তার প্রতারণা এবং চাঁদাবাজী। ফেইসবুক খুললেই দেখা যায় বিভিন্ন মানুষের বিরুদ্ধে তার মানহানীকর পোষ্ট। যাকে তাকেই মামলার হুমকি প্রদর্শন করে এবং স্থানীয় সাংবাদিকদের দেখে নেবারও হুঙ্কার দিয়ে যাচ্ছে। বেশ কিছুদিন আগে সুলতান গণধোলাই খেয়ে জেল হাজতে যায়। আর তার বিরুদ্ধে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারীরও অভিযোগ। এব্যাপারে সুলতান ও তার বাহিনীর সদস্যদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির জন্য ডিসি এসপিসহ জেলার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর আশু হস্তক্ষেপ করেছে সচেতন মহল।

আরও খবর

Sponsered content