উদ্ভাবন

শ্রীবরদীর মেগাদল বাজারে আগাম বরবটিতে বাম্পার ফলন: স্বপ্ন পূরণের হাসি কৃষকের মুখে

  প্রতিনিধি ৩ নভেম্বর ২০২৫ , ৪:৩৪:১৩ প্রিন্ট সংস্করণ

আব্দুল লতিফ ভ্রাম্যমান রিপোর্টারঃ

‎শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার মেগাদল বাজার এলাকায় এবার আগাম বরবটি চাষে পেয়েছেন বাম্পার ফলন। উপজেলার পাহাড়ি ও সমতল ভূমি মিলিয়ে এ অঞ্চলের কৃষকেরা আশানুরূপ ফলন পেয়ে দারুণভাবে উৎসাহিত হয়েছেন। অনুকূল আবহাওয়া, মানসম্মত বীজ, সার ও কীটনাশকের সঠিক ব্যবহার এবং সময়মতো পরিচর্যার কারণে এ বছর আগাম বরবটির ফলন আগের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।

‎মেগাদল বাজার, গাড়ো পাহাড়ের পাদদেশ ও আশপাশের এলাকায় দেখা গেছে সবুজে মোড়া বরবটির ক্ষেত। গাছে ঝুলছে লম্বা, তাজা ও কোমল বরবটি। ভোরবেলা থেকে কৃষকরা ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্ষেত থেকে বরবটি তোলার কাজে। বাজারে জমে উঠেছে বিক্রির হাট—যেখানে ক্রেতাদের ভিড় লেগেই থাকে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত।

‎স্থানীয় কৃষক মো. আব্দুল জলিল বলেন, “গত বছরের তুলনায় এবার ফলন প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। সময়মতো বৃষ্টি আর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গাছে প্রচুর ফুল এসেছে, ফলে ফলও হয়েছে ভালো। বাজারে প্রতি কেজি বরবটি ৬০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। এতে আমাদের খরচ উঠে লাভও হচ্ছে বেশ।”

‎একই এলাকার আরেক কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান, “আগাম বরবটি চাষ ঝুঁকিপূর্ণ হলেও লাভজনক। শুরুতে কিছু খরচ হয়, কিন্তু ফলন ভালো হলে তার পুরোটাই উঠে আসে। এবার যে ফলন হয়েছে তাতে আগের ক্ষতির চিন্তাও দূর হয়েছে।”

‎উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জানান, শ্রীবরদী উপজেলার পাহাড়ি ও সমতল মাটি বরবটি চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এ বছর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় প্রায় কয়েকশো একর জমিতে আগাম বরবটি চাষ হয়েছে, যার বেশিরভাগ ক্ষেতেই বাম্পার ফলন পাওয়া গেছে। তিনি আরও বলেন, “আমরা কৃষকদের নিয়মিত মাঠ পর্যায়ে পরামর্শ, প্রশিক্ষণ ও কীটনাশক ব্যবস্থাপনা সহায়তা দিয়ে যাচ্ছি। আগামী মৌসুমে আরও বেশি জমিতে বরবটি চাষ বাড়াতে আমরা কাজ করছি।”

‎মেগাদল বাজারের ব্যবসায়ী হাবিবুর রহমান জানান, প্রতিদিন সকালেই কৃষকেরা তাজা বরবটি নিয়ে আসছেন বাজারে। চাহিদা বেশি থাকায় পাইকাররা এখান থেকে কিনে জেলার বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করছেন। এতে স্থানীয় অর্থনীতিতেও প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে।

‎এদিকে আগাম বরবটির ভালো ফলন ও দাম পেয়ে কৃষকেরা নতুন আশায় বুক বাঁধছেন। অনেকে ইতিমধ্যে পরবর্তী মৌসুমের জমি প্রস্তুত করছেন। এ বাম্পার ফলনে শ্রীবরদীর কৃষি অঞ্চলে যেন এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে।

আরও খবর

Sponsered content