নোয়াখালী প্রতিনধি: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ , ৬:৪০:২১ প্রিন্ট সংস্করণ
নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী আবু তাহেরের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম আর দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।বিভিন্ন হাসপাতাল মালিকদের জিম্মি করে টাকা আদায় আর জনবল নিয়োগ দেয়ার নাম করে সাধারণ মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন লক্ষ লক্ষ টাকা। নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিস থেকে ২০২১ সালের ১০ নভেম্বর তাকে বদলি করা হয় বেগমগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। কিন্তু সেখানে গিয়ে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেন আবু তাহের। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঔষধ দোকান দেয়ার নাম করে প্রায় ১৭ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠে তার বিরুদ্ধে। এমন বিভিন্ন অভিযোগ থাকার পরও আবদুল মালেক উকিল মেডিকেল কলেজে তার বদলির আদেশ হলেও কোন এক অদৃশ্য কারনে তাকে আবারও নোয়াখালী সিভিল সার্জন অফিসের প্রধান সহকারী হিসেবে বদলি করা হয়। এতে করে ফুঁসে উঠেছে সেবাপ্রার্থী সাধারণ মানুষ এবং অফিসে কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারীরা। সবার একই প্রশ্ন, তার খুঁটির জোর কোথায়? শুধুই তাই নয়,গত বছর তার বদলি ঠেকাতে স্বাস্হ্য মন্ত্রী জাহেদ মালেক স্বপন এবং স্থানীয় সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ রয়েছে।
এবিষয়ে স্থানীয় সাংসদের সাথে কথা বললে তিনি এই স্বাক্ষর অস্বীকার করেন।
এবিষয়ে স্হানীয় একটি গণমাধ্যম সেসময় তার দুর্নীতির চিত্র তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রকাশ করে।প্রতিবেদনের সুত্র ধরে চট্টগ্রাম বিভাগীয় মহাপরিচালকের কার্যালয় থেকে তিন সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কিন্তু সেই তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন আজো আলোর মুখ দেখেনি। জেলার স্বাস্থ্য খাতে জনবল নিয়োগে অর্থের লেনদেন ও প্রতারনার অভিযোগ অনেক আগে থেকেই রয়েছে আবু তাহেরের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতি এ বিষয়ে তার অবৈধ অর্থ লেনদেনের কথপোকথনের একটি ভাইরাল হওয়া কল রেকর্ড হাতে আসে। সেখানে আবু তাহেরের এক যুবককে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগের বিনিময়ে তাকে অর্থ সংগ্রহ করে দেয়ার অনুরোধ জানান। এই কথোপকথনের মাধ্যমে অবৈধ অর্থ লেনদেনের মাধ্যমে আউটসোর্সিংয়ে নিয়োগের বিষয়টি স্পষ্ট প্রকাশ পায়।
নোয়াখালী জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ মাসুম ইফতেখার জানান এ বিষয়ে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।তদন্ত সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।