চাঁদপুর জেলা কারাগারে ৯০ শতাংশই মাদক মামলার আসামি

চাঁদপুর জেলা কারাগারে বন্দির ৯০ শতাংশই মাদক মামলার আসামি। এদের কেউ মাদক সেবনকারী, কেউ মাদক বিক্রেতা। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মাদক সেবনকারী ও বিক্রেতাও বাড়ছে। এ ব্যাধি নিয়ন্ত্রণে দরকার গণ সচেতনতা। জেলা প্রশাসন তথ্য জানিয়েছেন, শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলা হলরুমে বিভিন্ন পেশার লোকদের অংশগ্রহণে মাদকদ্রব্য অপব্যবহার রোধকল্পে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার জন্য সমন্বিত কর্মপরিকল্পনা প্রণয়নে কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ তথ্য জানান জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান।
তিনি বলেন, ‘জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে প্রতিমাসেই জেলা কারাগার পরিদর্শনে যেতে হয়। চলতি মাসে গিয়েও জানতে পারলাম, ৯০০ বন্দির মধ্যে আট শতাধিক মাদক মামলার আসামি।’ উপস্থিত নানা শ্রেণিপেশার মানুষকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আমরা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো পেশার সঙ্গে জড়িত। আমরা যদি একটু গভীরভাবে চিন্তা করি, তাহলে দেখবেন আমার সবচেয়ে বড় বিনিয়োগ হচ্ছে আমার পরিবার ও সন্তান। আমাদের সব আসলে পরিবার ও সন্তানের জন্য। আমি চাইব না, আমার সবচাইতে বড় বিনিয়োগ নষ্ট হয়ে যাক।’
তিনি আজকের অনুষ্ঠান বিষয়ে বলেন, ‘গত দুটি বছর করোনার ধকল সামলে এখন আমাদের পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। আজকে অনুষ্ঠান মূলত মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ। কেনো নিয়ন্ত্রণ! এটি আসলে বন্ধ করে দেয়া যাবে না। আমাদের পরিচিত অনেক মাদকদ্রব্য চিকিৎসার কাজে ব্যবহার হয়। তাই এগুলো মূলত নিয়ন্ত্রণের বিষয়। এগুলো কেন নিয়ন্ত্রণ করা দরকার এসব বিষয়ে বিগত ২০ বছরে অনেক আলোচনা হয়েছে গণমাধ্যমের টকশোতে, প্রামাণ্য চিত্র দেখানো হয়েছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ নামে অধিদফতর খোলা হয়েছে। তবু আমরা পারছি না। এর জন্য আমাদের সৎ ইচ্ছে খুব জরুরি। আমরা ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানের স্বপ্ন দেখছি। সেই স্বপ্ন যদি আমরা বাস্তবে পরিণত করতে চাই, তাহলে আমাদের বর্তমান যে তরুণ প্রজন্ম আছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যে শিক্ষার্থী আছে, তাদেরকে সেভাবে গড়ে তুলতে হবে।’
মতলব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রেণু দাসের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বি.এইচ.এম. কবির আহমেদ। কর্মশালার মূল বিষয় পরিসংখ্যান ভিত্তিক প্রেজেন্টেশন উপস্থাপন করেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. ইমদাদুল ইসলাম মিঠুন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মতলব দক্ষিণ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সেটু কুমার বড়ুয়া, উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফেরদৌসি বেগম রুনু, মতলব দক্ষিণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাহিদুল ইসলাম ও বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীন